৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

নিহত স্কুলছাত্র আব্দুস সালাম - নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায় সহপাঠীদের সাথে গোসল করতে নেমে মনু নদীতে ডুবে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত স্কুলছাত্রের নাম আব্দুস সালাম (১৭)। সে চলতি বছর এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফলের অপেক্ষা করছিল। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে মনু নদীতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী আব্দুস সালাম নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার জয়নগর ইউনিয়নের আছকি তলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে শিবপুরের চৈতন্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

পারিবারিক ও সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নরসিংদী থেকে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা দেখার জন্য আব্দুস সালামসহ ১৩ জন বন্ধু (নওশাদ, হিমেল, রিফাত, কাওছার, সোহাগ, ফারুক, মোহাম্মদ, রাতুল, মেহেদী, হাসনাত, ফাহিম ও শুভ) ঘুরতে আসে। এই ভ্রমণে সকলের অভিভাবক হিসেবে শিক্ষক সুলেমান ভূঁইয়াও তাদের সাথে ছিলেন।

শুক্রবার সকালে মাধবকুণ্ড ভ্রমণ শেষে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকে যাওয়ার পথিমধ্যে কুলাউড়া উপজেলার কটারকোনা ব্রীজের পার্শ্বে মনু নদীতে সবাই গোসল করতে নামেন। সহপাঠীরা গোসল সেরে উপরে উঠে গেলেও আব্দুস সালাম নিজের শরীর ও মাথায় সাবান মেখে পানিতে ডুব দেবার পর সাঁতার না জানায় পানিতে তলিয়ে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসী কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে সহপাঠী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সালামকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।

আরো পড়ুন : বাঘায় বড়াল নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো ও বাঘা সংবাদদাতা, (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় বড়াল নদীতে ডুবে আবদুল্লাহ (১৩) নামে এক স্বুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বড়াল নদীর আড়ানী খয়েরমিল ভারতীপাড়া দহঘাটে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুল্লাহ আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র এবং হামিদকুড়া গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আবদুল্লাহ তার ফুফাত ভাই মোশারফ হোসেনকে সাথে নিয়ে বড়াল নদীতে গোসল করতে যায়। নদীতে নেমে একপর্যায়ে মোশারফ ওপরে উঠে এলেও আবদুল্লাহকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয়রা নদীতে অনেক খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধান পাননি। খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনার আড়াই ঘণ্টা পর এসে খোঁজাখুুঁজি করে নদী থেকে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। এরপর ১৫ মিনিট খোঁজাখুঁজির পর আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পরিবারেরর কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? আইডিবি ২৮ দশমিক ৯ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দিবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’

সকল