৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভে পাকিস্তানকে ধমকাচ্ছেন সৌরভ!

জাভেদ মিয়ানদাদ ও সৌরভ গাঙ্গুলি - ছবি : সংগৃহীত

কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা নিয়ে ভারতজুড়েই যে পাকিস্তানী হাওয়া বইছিল তাতে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে জানিয়েছিলেন, ১০ দলের টুর্নামেন্ট বিশ্বকাপ। যেখানে প্রতিটি দলই একে অন্যের বিরুদ্ধে খেলবে। আমার মনে হয় পাকিস্তানের সাথে ভারতের ম্যাচ খেলা উচিত হবে না।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পুরো দেশের যুদ্ধাংদেহী ভাবের প্রতিও সমর্থন জানান তিনি। ওই সাক্ষাতকারে আক্রমণাত্মকভাবে তিনি আরো বলেছিলেন, ‘পুরো দেশ যেভাবে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে, সেটা একদম ঠিক। এমন ঘটনার পরে পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। এমন আক্রমণের পর শুধু ক্রিকেট, হকি বা ফুটবল নয়, বরং সমস্ত ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

সৌরভের এসব কথার জবাবে এবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের লিজেন্ড জাভেদ মিয়ানদাদ। পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় তিনি সৌরভের পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ডেরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। সোজা কথায় জানালেন, সৌরভ গাঙ্গুলি এখন মুখ্যমন্ত্রী হতে চায়, তাই সে এরকম কথা বলছে।

সৌরভের বিধ্বংসী কথাবার্তাগুলোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আসন্ন দিনে সৌরভ নির্বাচনে লড়তে চায়। অথবা মুখ্যমন্ত্রী হতে চায়। তাই এভাবে দেশের লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। ভারতের এ ধরনের কথাবার্তায় ব্যস্ত না হয়ে আমাদের নিজেদের ব্যাপারে আরো উন্নতির ব্যবস্থা করা উচিত। পাকিস্তান সবসময় ভারতকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু ভারত সবসময়ই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়।

সৌরভের পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ডকেও কথা শুনিয়েছেন মিয়ানদাদ। পাকিস্তানের সাবেক এই বিখ্যাত ক্রিকেটার নিজের দেশের ‘ডন’ পত্রিকায় বলেছেন, ‘আইসিসি ভারতের কথা শুনবে, এরকম কোনো সুযোগই নেই। কারণ আইসিসির সংবিধানেই সাফ বলা রয়েছে, তার সদস্য দেশগুলিকে ইভেন্টে খেলতে দিতে হবে।’

সূত্র : দ্য স্টেটসম্যানস, হিন্দুস্তান টাইমস


আরো পড়ুন : পাকিস্তানের শুটারদের ভিসা না দেয়ায় অলিম্পিকের নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারত
নয়াদিগন্ত অনলাইন, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
কাশ্মিরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের একটি গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জয়েশ-ই মোহাম্মদ। ওই ঘটনায় বাহিনীটির ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছিল।

ভারত এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে বিশ^জুড়ে পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। বরং এখন নিজেদের নেয়া এক পদক্ষেপে উল্টো নিজেরাই একঘরে হয়ে পড়তে যাচ্ছে।
ভারত আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সেটাতে সফল হয়নি। বেশ কিছু দেশ এ হামলার নিন্দা জানালেও তাতে পাকিস্তানকে তেমনভাবে দায়ী করা হয়নি। বরং সৌদি ও চীন বেশ ভালোভাবেই পাকিস্তানের পক্ষ নেয়। ভারত স্বাভাবিকভাবে এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।

ফলে ভারত নিজেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামে। প্রথমে বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করে এবং পাকিস্তানি পণ্যে দুইশ শতাংশ শুল্কারোপ করে। আওয়াজ উঠছিল খেলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে বয়কট করবে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় নয়াদিল্লির শুটিং বিশ্বকাপে দুই পাকিস্তানি শুটারকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। তাতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির তোপের মুখে পড়ে ভারত। এক বিবৃতিতে তারা ভারতের সঙ্গে আগামী দিনে সব ধরনের আলোচনা বন্ধ করার কথা জানাল তারা। এর ফলে আগামী দিনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি অনুমোদিত কোনো প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারবে না ভারত। পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাকেও ভারতে প্রতিযোগিতা না করার অনুরোধ জানায় তারা।

অলিম্পিক কমিটির বক্তব্য, প্রতিযোগীদের ভিসা না দেয়ার ঘটনা ‘অলিম্পিক চার্টার’-এর বিরোধী। রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে কোনো আয়োজক দেশ কাউকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া থেকে আটকাতে পারে না।

অলিম্পিক কমিটি তাদের বিবৃতিতে আরো জানায়, ‘আমরা পুরো বিষয়টি জানার পর শেষ চেষ্টা করেছিলাম। ভারত সরকারের সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু পাকিস্তানি প্রতিযোগীদের ভারতে হতে চলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়াতে পারিনি। তাই বাধ্য হয়েই অলিম্পিক নির্বাহী বোর্ড ভারত সরকার এবং ভারতের জাতীয় অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে সব রকমের আলোচনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী দিনে ভারত অলিম্পিক কমিটি অনুমোদিত যে সমস্ত প্রতিযোগিতার আবেদন করেছিল বা করবে বলে ভেবেছে, বাতিল করা হয় তার সব কিছুই।’

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিযোগীদের জন্য কোনো রাজনৈতিক বাধা থাকবে না, এ লিখিত অঙ্গীকার দেয়ার পরই কেবল ভারতকে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে দেওয়ার কথা ভাবা হবে।

আগামী দিনে অলিম্পিক সংস্থা অনুমোদিত বেশ কয়েকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা করার লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করছিল ভারত। ২০২৬ সালে যুব অলিম্পিকস, ২০৩০ সালে এশিয়ান গেমস এবং ২০৩২ সালে অলিম্পিকস করার কথা ভেবেছিল নয়াদিল্লি।

অলিম্পিক কমিটির সর্বশেষ ঘোষণায় ভারতের এসব পরিকল্পনায় নিশ্চিতভাবেই বাধার সৃষ্টি হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের ইলিশ শিকারে উপকূলের ৪ লাখ জেলে চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু ইসতিসকার নামাজে পুলিশের বাধা ও গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড পর্যটন গন্তব্য থেকে যেভাবে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য দেশে ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড পিরোজপুরে আ’লীগ নেতার চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা স্থগিত শ্রমিকের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত, প্যানল মেয়রকে দায়িত্ব অর্পণ বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে : আইনমন্ত্রী

সকল