০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ছবিটি আবেগাপ্লুত করেছে মানুষদের

ভারত
মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তার পায়ে লুটিয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মকর্তা - ছবি: সংগৃহীত

আমাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাবা-মায়ের নিরন্তন চেষ্টা ও ত্যাগ। তাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা। মায়ের প্রতি পুলিশ অফিসার ছেলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই ছবিটি দেখে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন।

ভারতের কর্নাটকা রাজ্যের রিজার্ভ পুলিশের এডিশনাল ডাইরেক্টর জেনারেল আইপিএস ভাস্কর রাঁও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সাব-ইন্সপেক্টর ওই পুলিশ কর্মকর্তার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘একজন কৃতজ্ঞ সন্তান (পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর) তার মাকে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে, যিনি তার পাস করার প্যারেডে উপস্থিত হতে পারেননি।’

মায়ের একক চেষ্টায় সাফল্যে সন্তান যে কৃতজ্ঞতাবোধ জানিয়েছে, তা নেটিজেনদের নাড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যে পোস্টটিতে ১৭ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে। কেউ কেউ বলেছেন- এটা ছিল গর্বের মুহূর্ত। যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানদের সাফল্যের জন্য পৃথিবীর সবকিছু ছেড়ে দেন তাদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন অনেকে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

আরো পড়ুন :
‘হ্যাটট্রিক করে মায়ের কথা খুব মনে পড়েছে’
রফিকুল হায়দার ফরহাদ, ভুটান থেকে, ১৩ আগস্ট ২০১৮
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ দলে দুই শামসুন্নাহারের উপস্থিতি। একজন খেলেন ডিফেন্সে, অন্য জন মিডফিল্ডার। ডিফেন্ডার শামসুন্নাহারের পরিচিতি ‘বড় শামছুন্নাহার’ হিসেবে। ফলে অন্য জন চলে গেছেন জুনিয়রের কাতারে।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করেছেন দুই জনই। তবে সিনিয়রকে ছাড়িয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ছোট মেয়েটি। তার হ্যাটট্রিকই (চার গোল) ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জুটিয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচে ৪৬ মিনিটে বদলী হিসেবে নামেন ছোট শামসুন্নাহার। এই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে ১৪-০ গোলে।

এটি অবশ্য ‘ছোট’ শামসুন্নাহারের প্রথম হ্যাটট্রিক নয়। মার্চ-এপ্রিলে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত জকি কাপে তার হ্যাটট্রিক ছিল ইরানের বিপক্ষে। তার মতে, ‘হংকংয়ের সেই আসরের দলগুলোই ছিল বেশী শক্তিশালী।’

তবে গতপরশু বদলী হিসেবে মাঠে নেমেই ১৭ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে নিজের পায়ের কাজের অনন্য স্বাক্ষর রাখেন তিনি। শুক্রবার অনুশীলনের আগে এই মিডফিল্ডার জানান, ‘হ্যাটট্রিকের পর রাতে হোটেলে ফিরে খুব মনে পড়েছে মায়ের কথা। আমি যখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি তখন মা চলে যান দুনিয়া ছেড়ে।’

এখন নবম শ্রেণিতে পড়েন ছোট শামসুন্নাহার। ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের ছাত্রী তিনি। তার বাড়ী মুক্তাগাছায়। তার ছোট বেলাতেই মারা যান মা। অসুস্থ মাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল; কিন্তু ডাক্তারদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে চলে যান পরপারে। শামসুন্নাহার জানান, ম্যাচ শেষে খুব মনে পড়েছিল আমার আম্মাকে। কেঁদেছিও উনার জন্য। মা বেঁচে থাকলে খুব খুশী হতেন আমার এই সাফল্যে।

শামসুন্নাহারের বাবা অসুস্থ। তার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বিয়ে করেন শাছুন্নাহারের মাকে। তিনিও মারা গেছেন। এই ছোট মেয়ে এখন তাদের সংসারের আয়ের উৎস। বলেন, ‘বাবা অসুস্থ। ফলে ফুটবল থেকে যে টাকা পাই তা সংসারের খরচ মেটাতে বাবার হাতে তুলে দেই। আমার টাকা দিয়ে বাবা গরু কিনেছেন। গত বছর সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যে টাকা পেয়েছি বাবা তা আমার জন্য ব্যাংকে রেখেছেন। বলেছেন পরে আমার কাজে লাগবে।’

গত ডিসেম্বরে সাফের সময় বাংলাদেশ দলে ডাক পান তিনি। তখন অবশ্য তেমন একটা খেলার সুযোগ পাননি। তবে হংকংয়ের টুর্নামেন্টে তাকে মাঠে নামান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। সেখানে তিন ম্যাচে তার গোল পাঁচটি। হয়েছেন আসর সেরা।

গত সাফে করেন এক গোল। আর বৃহস্পতিবার ভুটানে ৪ গোল মিলে তার আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা এখন ১০টি। ২০১৪ বঙ্গমাতা ফুটবলে তিনি জেতেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডন বুট। পরের বার হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। দুই বারই পুরস্কার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে।

পরশুর হ্যাটিট্রক সম্পর্কে শামসুন্নাহার বলেন, পুরো দল ভালো খেলেছে বলেই আমি হ্যটট্রিক করতে পেরেছি। মিডফিল্ডাররা বল না দিলে তো আমি গোল দিতে পারতাম না। জানান , এখন আমাদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা । কোনো ভাবেই নিচে নামা যাবে না।

মায়ের সম্মানার্থে ২৩ বছর বয়সে অবসর আজমুনের
ক্রীড়া ডেস্ক, ৩০ জুন ২০১৮
মায়ের সম্মানের কথা চিন্তা করে মাত্র ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্বান্ত নিলেন ইরান ফুটবল দলের স্ট্রাইকার সরদার আজমুন। দেশের হয়ে ৩৬ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ২৩ গোল করা আজমুনকে ‘ইরানের মেসি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

চলতি বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপে খেলে ইরান। সেখানে তাদের প্রতিপ ছিল স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। ৩ খেলায় ১টি করে জয়-ড্র হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে ইরান। মরক্কোর বিপে ১-০ গোলে জিতলেও একই ব্যবধানে স্পেনের কাছে হার মানে তারা। আর গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী পর্তুগালের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে ইরান। এর পরই দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় দলের সমালোচনায় মেতে ওঠে; যা ভালো লাগেনি আজমুনের। যার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণাই দিয়ে ফেললেন তিনি।

আজমুন বলেন, ‘ইরানের কিছু মানুষ আমাকে এবং দলের অন্যান্য খেলোয়াড়ের খুব বাজেভাবে গালিগালাজ করেছে; যা শুনে আমার মা অসম্মানিতবোধ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এটি মোটেও প্রত্যাশিত ছিলো না। তাই আমার মায়ের সম্মান ও তার শরীরের কথা ভেবে জাতীয় দল থেকে অবসর নিচ্ছি।’

এভাবে অবসর নেয়ার সিদ্বান্তটা হৃদয়বিদারক বলে মনে করেন আজমুন নিজেও। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যথেষ্ট ভালো খেলেও আমাদের বাজে কথা শুনতে হচ্ছে। শুধু আমরা খেলোয়াড়রাই নই, আমাদের পরিবারকে শুনতে হচ্ছে। এভাবে অবসর নেয়াটা সত্যিই যন্ত্রণাদায়ক।’

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইরানের হয়ে ১১ গোল করেছিলেন আজমুন। তবে বিশ্বকাপের মূল আসরে গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই করতে পারেননি তিনি।

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement