১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


কান্না হাসির পর বিশ্বকাপে

-

১৯৯০ সালে তার শুধু কান্নার কথাই মনে আছে। বয়স তখন অনেক কম। মাত্র পাঁচ বছর। এর চার বছর পর তার বয়স গিয়ে ঠেকে ৯-এ। ফলে তখনকার কথাও স্মরণ করতে পারছেন। টাইব্রেকারে ব্রাজিলের জয়ের পর কী আনন্দই না করেছেন পুরো পরিবার মিলে। সেই ছোট্ট ছেলেটি এখন বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে। রোববার সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেকের অপেক্ষা। বলা হচ্ছে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ফিলিপে লুইস সম্পর্কে। লেফট ব্যাক পজিশনে খেলেন স্পেনের অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ এই ফুটবলার।
১৯৯০-এর বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। সেই ম্যাচে ব্রাজিল ১-০তে হারে আর্জেন্টিনার কাছে। ম্যারাডোনার পাসে কাওডিও ক্যানেজিয়ার গোল। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা। আর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় ব্রাজিলের। তখন ফিলিপে লুইসের বয়স ছিল মাত্র পাঁচ। ওই দুঃখজনক হারের পর তিনি কেঁদেছিলেন। শুধু এটাই মনে আছে তার। জানান তিনি। ১৯৯৪ সালে তার অবশ্য শুধু ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে টাইব্রেকারের কথা তার স্মৃতিতে স্পষ্ট। বললেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিশ্বকাপে যখন ফাইনালের ১২০ মিনিট শেষে টাইব্রেকার হচ্ছিল তখন আমরা সবাই দাদীর বাসায় বসে খেলা দেখছিলাম। সবাই মিলে হাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছিলাম স্পটকিকে জেতার জন্য। শেষ পর্যন্ত হলো জয়। তারপর সে কী আনন্দ। ব্রাজিল তখন চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমার খুব ভালো করে মনে আছে সেই টাইব্রেকারের দৃশ্যটাই। জানান ফিলিপে লুইস।
তার ভালোভাবে বিশ্বকাপ দেখা ২০০২ সাল থেকে। জাপান-কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই আসরে তাকে শেষ রাতের দিকে উঠে খেলা দেখতে হতো। কারণ এশিয়ার এই দুই দেশের সাথে সময়ের বিস্তর ফারাক ছিল ব্রাজিলের। তখন তার চোখের সামনে রোনালদো, রোনলদিনহো, রিভালদোদের কারিশমা। তাই এদের আদর্শ মেনেই তার ফুটবলার হওয়া। অবশ্য তখন ফিলিপে লুইস নিয়মিত ফুটবল খেলা শুরু করেন। এই রাত জাগার জন্য অবশ্য কোচের বকা শুনতে হয়েছে আমাকে।। তিনিসহ সব ফুটবলার মিলে খেলা দেখতে উঠতেন শেষ রাতে। কোচের রাগ করার নেপথ্য, তারা ফুটবল প্র্যাকটিস করে কান্ত। ঠিক মতো ঘুম না হলে যে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। যা ইনজুরি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে। উল্লেখ করলেন এই লেফটব্যাক।
সব ফুটবলারের স্বপ্নই থাকে বিশ্বকাপে খেলা। ফিলিপে লুইসও এর ব্যতিক্রম নন। এবার তার আশা পূরণের পর্ব। অবশ্য মার্সেলো যদি না খেলেন। রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকার বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে। মার্সেলোর কার্ড সমস্যা বা ইনজুরিই দরজা খুলে দিতে পারে তার। তা না হলে অপেক্ষায় থাকতে হবে। সুইজারল্যান্ড ছাড়াও ব্রাজিলের বাকি দুই ম্যাচ কোস্টারিকা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
এক বছর পর দাউদকান্দিতে ড. মোশাররফ গোপালগঞ্জ বশেমুরবিপ্রবিতে সুষ্ঠুভাবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন রাজধানীতে আ’লীগের শান্তি সমাবেশ আজ কুয়াকাটা সৈকতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সমুদ্রস্নান সরকারি হাসপাতালে অবৈধ ক্যান্টিন ও ওষুধের দোকান বন্ধের নির্দেশ ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আ’লীগ জনগণকে নাগরিক হিসেবে বাতিল করেছে : জোনায়েদ সাকি ইবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন মালয়েশিয়ায় বিএমইটি কার্ডের নামে প্রতারণার ফাঁদ : সতর্ক করল দূতাবাস ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল আল মাহমুদপুত্র মীর তারিকের ইন্তেকাল

সকল