২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আগডুম বাগডুম কবিতাবলী

-

বৃষ্টি আসে
আবুল হোসেন আজাদ

আকাশের কালো মেঘে
বৃষ্টিটা আসে বেগে
পথঘাট নদীনালা জলে ভরভর
অবিরাম একটানা ঝরে ঝরঝর।

কদমের বোটা ছুঁয়ে
বৃষ্টিটা পড়ে চুয়ে
জুঁই আর চামেলি
ফুলেরাও পড়ে নুয়ে।

ঘন কালো ওই মেঘ
কোন দেশে থাকে
সেই দেশে সেইখানে
যেতে মন ডাকে।
ব্যাঙ ডাকে ঝিঁ ঝিঁ ডাকে জোনাকিরা রাতে
আলো জ্বেলে উঠে চলে বৃষ্টির সাথে।

ভিজে পাখি একাকার
ঝাপটায় পাখা তার
ডালে বসে চুপ করে
দায় হলো থাকা তার।

 

 

আমারও যে ইচ্ছে করে
ইসলাম তরিক

ওরে ও ভাই বনের পাখি
করিস কেন ডাকাডাকি
বসে গাছের ডালে,
আমি কি আর গাইতে পারি
তোদের মতো নাচতে পারি
মিষ্টি সুরের তালে?

আমার কেবল পড়াই পড়া
মা-বাবার শাসন কড়া
আছে অনেক মানা,
মনের দুঃখ কাকে বলি
গুরুর আদেশ মেনে চলি
নেই কি তোদের জানা?

কিন্তু আমার ইচ্ছে করে
তোদের মতো হৃদয়ভরে
দূর আকাশে ওড়াই
নেচে-গেয়ে মনের সুখে
এই ধরণীর সবুজ বুকে
প্রাণটা আমার জুড়াই।


আমাদের শৈশব
আখতারুল ইসলাম

বোনটা আমার এনে দিলো খাতা, কতগুলো রঙ, তুলি
বলছে যে ভাই আঁকতে পারো কী? মাছরাঙা বুলবুলি।
মেঘ রোদ্দুর দখিন হাওয়া সূর্যটা হাসে ফিক,
পাখিদের গানে সুরে সুরে কথা, মেতে ওঠে চার দিক।

আঁকতে বলে সে হাসিমাখা মুখ কাজল গাঁয়ের ছবি,
ডান দিকে ছুটে বামে মোড় নেয়া মাঠ ঘাট বিল সবই।
ফসলের ক্ষেতে সর্ষের ফুলে হলুদের মাখামাখি,
ভাঙা আলপথ ঝোপঝাড় ফুল, দিতে যদি ফের আঁকি।

থমকে দাঁড়াই কার্পেট মোড়া সবুজ দূর্বাঘাসে,
পাহাড়ের চূড়া দিগন্ত ছুঁয়ে আকাশের নীল হাসে।
গাছ পাতা বন নদী আর ঢেউ, পাখিদের কোলাহল,
হাঁড়ি পেতে বসা পুকুরের ঘাটে শেফালির চোখে জল।

চৌকাঠে বাবা উঠোনেতে খেলা, পুবে রামধনু আঁকা,
হাতের মুঠোয় মিশে আছে যেন আমাদের ভালো থাকা।
বলো তুমি ভাই, রঙতুলিটার ছোঁয়ায় মিলেছে সব?
মাঝখানে দেখো উঁকি দিয়ে কাঁদে আমাদের শৈশব।

 


ফুটবলের ভক্ত
ফরিদ আহমেদ হৃদয়

রাগ করেছে সোনামণি মান করেছে খুব
কয় না কথা কারো সনে এক্কেবাড়ে চুপ।
আম্মু সাধে আব্বু সাধে সাধে মনির ভাবী
বলল সবাই কও না সোনা কী যে তোমার দাবি।
আর্জেন্টিনার পতাকা চাই লাগাবে সে ছাদে
দেখবে খেলা বিশ্বকাপের তাই তো বসে কাঁদে।
বলল দাদু ভিনদেশীদের পতাকা না কিনে
নাও না তুমি লাল-সবুজের পতাকাটা চিনে।
এ পতাকা আনতে সোনা রক্ত গেছে মেলা
লাল-সবুজের পতাকাকে কেউ করো না হেলা।

 

বৃষ্টি পড়ে
মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

বৃষ্টি পড়ে রিমঝিম রিমঝিম
ডাকে হোলা ব্যাঙে
সুর উঠেছে নদীনালায়
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙে।

বৃষ্টি পড়ে সকালবেলা
স্কুল যাওয়ার সময়
ছাতা মাথায় স্কুলে যাও
পিতামাতা যে কয়।

বৃষ্টি পড়ে টিন গড়িয়ে
স্কুলের ওই মাঠে
খড়ের চালে বৃষ্টি পড়ে
কৃষাণীর ওই খাটে।

বৃষ্টি পড়ে মুষলধারে
মাঠে গরু ভেজে
ঘরের ভেতর মেয়েরা সব
আছে সবাই সেজে।


আরো সংবাদ



premium cement