মো: আবদুস সালিম
- মো: আবদুস সালিম
- ০৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
তোমরা এখন যে বড় একধরনের প্রাণীর নাম শুনতে তার নাম বঙ্গো। এরা বড় বা দীর্ঘদেহের হলেও আসলে শান্ত স্বভাবের। অর্থাৎ বঙ্গোরা কাউকে আক্রমণ করে না। এমনও বলা হয়ে থাকে, এরা খুবই লাজুক প্রাণী। মানুষ দেখলে দূরে চলে যায়।
বঙ্গোরা কিন্তু একধরনের অ্যান্টিলোপ। এরা দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা নিচু জমির বঙ্গো। এদের ওয়েস্টার্নও বলা হয়ে থাকে। আরেক ধরন বা জাতকে বলা হয়ে থাকে পাহাড়ি বঙ্গো। ইস্টার্নও বলা হয়ে থাকে এদের। তবে এরা দেখতে অনেকটা প্রায় একই রকমের। যে কারণে অনেকেই এর জাত চিনতে ভুল করে। অ্যান্টিলোপদের মধ্যে বেশি বড় হয় বঙ্গোরাই। ওজন প্রায় ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উচ্চতা এক মিটার কিংবা দেড় মিটার আর দেখতে বঙ্গোরা খুবই সুন্দর। এদের শরীরে ডোরা দাগ আছে অনেকগুলো। আর লালচে বাদামি হয় গায়ের চামড়া। এদের আরেক আকর্ষণীয় বিষয় হলো শিং। শিং দুটো বেশ বাঁকানো। লম্বাও অনেক। এরা গভীর জঙ্গলের নিরীহ প্রাণী। শিং বড় বলে মাঝে মধ্যে জঙ্গলে চলাফেরা করতে বেশ সমস্যাও হয়। এদের একটা মজার স্বভাব হলো, কাদায় গড়াগড়ি করা। কিছু অ্যান্টিলোপ চলাফেরা করে দিনে। তবে বঙ্গোরা নিশাচর।
এরা অবাক করা নানা ধরনের ডাক দেয়। নিরামিষই বেশি খায়। বেশি পছন্দ করে ঘাস, লতাপাতা, গাছের কচি ডাল, ফলমূল ইত্যাদি। লবণও পছন্দ এদের। তা খুঁজেও পায় সহজে। পুরুষ বঙ্গোরা একা চলাফেরা করলেও মেয়ে বঙ্গোরা থাকে দলবদ্ধভাবে। মেয়ে বঙ্গোরা একবারে একটি বাচ্চা দেয়। মা বঙ্গো বাচ্চাকে সাত-আট দিন দেখাশোনা করে। তারপর বাচ্চা নিজেই একা চলাফেরা করতে পারে। এদের আয়ুষ্কাল প্রায় ২০ বছর।
বঙ্গোদের বেশি দেখা যায় আফ্রিকায়। তবে পরিবেশগত কারণে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। বিশেষ করে বেশি হ্রাস পাচ্ছে পাহাড়ি বঙ্গোরা। সুন্দর এ প্রাণী এখনো কমবেশি দেখা যায় পূর্ব, মধ্য আর পশ্চিম আফ্রিকার কিছু এলাকায়। এদের সংখ্যা বাড়ানোর কাজ চলছে অনেক দেশে, যা ভালো উদ্যোগ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা