২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাটোরে তিন কলেজছাত্রী অগ্নিদগ্ধ : সানজিদার পর চলে গেলেন শামিমাও

-

নাটোরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর তিন মেধাবী ছাত্রী চুলা বিস্ফোরনে আহত হওয়ার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ সানজিদা ইয়াসমিন মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। এর সতের ঘন্টা পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপর অগ্নিদগ্ধ শামীমা খাতুনও মারা গেছে। দুই মেধাবী কলেজ ছাত্রীর এই অকাল মৃত্যুতে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। কলেজেও নেমে আসে শোকের ছায়া।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে তাদের উভয়ের লাশ নাটোরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

পুলিশ, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর তিন ছাত্রী নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকায় আবুল কাশেমের জ্যোতি ছাত্রী নিবাসে বসবাস করতো। অন্য দুই সহপাঠি শামিমা ও ফাতেমাতুজ্জোহার সাথে ২৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে কেরোসিনের চুলায় রান্না করছিলেন সানজিদা ইয়াসমিন। এসময় হঠাৎ চুলাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে ওই তিন ছাত্রী একই সাথে দগ্ধ হয়।

স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে সানজিদা ও শামিমাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে সানজিদা ইয়াসমিন মারা যায়। নিহত সানজিদা ইয়াসমিন নাটোরের লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বড়বিলশা গ্রামের সাহাবুল ইসলামের মেয়ে। এর প্রায় সতের ঘন্টা পর মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে একই সাথে চিকিৎসাধীন শামীমা খাতুনও মারা যায়। শামিমা খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সোহরাব মন্ডলের মেয়ে।

শামিমার ভাই আকরাম হোসেন শামীমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতেই তার বোনের লাশ গ্রামের বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে নিয়ে রওনা হয়েছে। গ্রামের করবস্থানেই তাকে দাফন করা হবে।

অপরদিকে লালপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইছাহাক আলী সানজিদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানজিদা মারা গেছে। চুলার আগুনে তার শরীরের প্রায় ৬৫ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। সানজিদার লাশ এলাকায় পৌঁছানোর পর জানাজা নামাজ ও দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সানজিদার বাবা কৃষক সাহাবুল ইসলাম বলেন, তিনি তার মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন তার মেয়ে একদিন সরকারের বড় কর্মকর্তা হবে। অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে চলেই গেল পৃথিবী ছেড়ে। নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজে এ খবর পৌছলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বুধবার নাটোর নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুজ্জোহা বলেন, শামীমা ও সানজিদার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন যারা কলেজ হোস্টেলের বাহিরে মেসে থাকে তাদের খবর সব সময় নেওয়া সম্ভব হয় না। মেয়েদের কলেজ হোস্টেলে থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের জন্য আসনও বরাদ্দ করা হয়। কিন্ত তারা গিয়ে কোন একটি মেসে ওঠে। শামীমা ও সানজিদার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
ডাসারে শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের শরবত বিতরণ কর্মসূচি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক বাধা দূর করতে সম্মত ভুটান ও বাংলাদেশ চরমোনাই পীরের অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেল জামায়াতের প্রতিনিধি দল ব্যাঙ্কিং খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা গাজীপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল নেপাল, সতর্ক সংকেত বাংলাদেশের জন্যও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা : ১ মে ‘এ' ইউনিটের ফল, ১ আগস্টে ক্লাস শুরু শায়েস্তাগঞ্জে নদীতে গোসলে নেমে এক ভাইয়ের মৃত্যু, নিখোঁজ আরেকজন রোববার থেকে চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক

সকল