০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


প্রাপ্তি-প্রত্যাশার ১৯-২০

-

বিদায় ২০১৯ সাল। স্বাগতম ২০২০। বিদায়ী বছরটি স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে অনেক স্মৃতি, যার কিছু কষ্টের, কিছু আনন্দের। আবার শিক্ষণীয়ও রয়েছে কিছু কিছু। সেইসাথে নানা হতাশার মধ্যেও নতুন বছরটিতে প্রত্যাশার হাল ছাড়ছে না আশাবাদী মানুষ। আসন্ন সালের নতুন সব কিছু নিয়েই মানুষের কৌতূহল চরমে থাকে। আর সেই হিসাবমতো, ২০২০ সাল কেমন কাটবে তা নিয়েও রয়েছে মানুষের মধ্যে বহু ভাবনা, কৌতুহল। ভাগ্য বা রাশিফল বিশ্বাস না করা অনেকের মধ্যেও নতুন বছর নিয়ে একটু আধটু নড়াচড়া তো রয়েছেই। বিভিন্ন রাশির জাতকদের কাছে বছরের গতটা তেমন ফ্যাক্টর হয় না। তারা বেশি কৌতূহলী আসন্নটা নিয়ে।

দেশে বছরের শেষ দিকে এসে তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে রাজাকারের তালিকা। বিজয়ের মাসে অপমানিত করা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে সেই তালিকায় ঢুকিয়ে ইতিহাসে স্বাধীনতাবিরোধীদের পাকাপাকিভাবে গেঁথে রাখার উদ্যোগটি মাঠে মারা গেছে। এ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নানা মন্তব্যে হাসির জোগান দিয়েছেন ডিসেম্বরজুড়েই। একপর্যায়ে বাতিল করা হলেও এ তালিকা কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধাদের একাকার করে দিলো। তাই ভবিষ্যতে তাদের আলাদা করার কাজটি কঠিন হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধ শব্দটিকে অন্যায়, অনৈতিক এবং নিষ্ঠুরতার সাথে যুক্ত করা এ বছরের আরেক দুর্ঘটনা-পরিহাস। ডাকসু ভিপি নুরকে দফায় দফায় পেটানো ছাড়াও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি, নৈরাজ্যে ঢাকা বিশ্বদ্যালয়সহ আশপাশের আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে দিলো মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে অর্বাচীন এক সংগঠন।

গোটা বছরই অস্থিরতায় কেটেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। নিয়োগ-দলীয়করণ, শিক্ষার বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় গেছে। ভিসি কাণ্ডে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর এবং গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বছরই ছিল মিডিয়ার গুরুত্ব পাওয়া সাবজেক্ট। আর শিক্ষাঙ্গনে সারা বছরই নানারকম খারাপ খবরের শিরোনামে থেকেছে ছাত্রলীগ। লিচু চুরি থেকে ধর্ষণ, খুন, নির্যাতন, শিক্ষককে পুকুরে ছুড়ে ফেলা কিছুই বাদ দেয়নি তারা। বুয়েটে আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় ঘটেছে তাদের সন্ত্রাসের উলঙ্গ প্রকাশ।

প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড উন্নতিকরণ, বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবসহ নানা দাবিতে বছরজুড়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন শিক্ষকরা। বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভিপি নুরকে নন-স্টপ পিটুনি, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিদায়ী বছরের কলঙ্ক হয়ে থাকবে। কিছু অনিয়ম হলেও ২৭৩০ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির উদ্যোগ ছিল প্রশংসনীয়। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে সরকারের উদ্যোগ কার্যকর হয়েছে। ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে, বরগুনায় রিফাত শরীফকে স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনাগুলো গোটা জাতিকে বিষে নীল করেছে। এ ছাড়া বছরটির আরো কিছু ঘটনা জাতীয় জীবনকে প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করেছে।

বছরের মাঝামাঝি ক্যাসিনো-কাণ্ড গোটা জাতিকে হতবাক করেছে। এতে নতুন এক দুষ্টচক্রের আবির্ভাব সম্পর্কে জেনেছে মানুষ। সরকার বছরের পর বছর ধরে চলা এই হায়েনা-লুটেরাকাণ্ডের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে। যদিও কাগজ-কলমে এ অভিযান এখনো চলমান। সারা দেশে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযানে যখন রাজনীতির মাঠ টালমাটাল তখন সংসদেও এর আঁচ লাগে। কয়েকজন সংসদ সদস্যের ব্যাংক হিসাব জব্দের মধ্য দিয়ে কালিমা লাগতে থাকে একাদশ সংসদের গায়ে।

ক্যাসিনো দমাতে না দমাতেই দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে পেঁয়াজ সিন্ডিকেট। সারা দেশকে পেঁয়াজের ঝাঁজে কাঁদিয়ে ছেড়েছে তারা। পেঁয়াজ আনতে উড়োজাহাজের সাহায্য নিয়েও পেরে ওঠেনি সরকার। এর মধ্য দিয়ে একটি কঠিন বার্তা পেয়েছে দেশ তথা সরকার। ভবিষ্যতে উৎপাদন-আমদানি, মজুদসহ পেঁয়াজের অন্যান্য হালনাগাদ সঠিক তথ্য কত জরুরি সেই আলোকে কর্মপরিকল্পনা নেয়ার শিক্ষা দিয়ে গেছে পেঁয়াজ।

গোটা বছরটা আগুন ছিল আরেক আতঙ্ক। রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনা মানুষের মধ্যে এ আতঙ্কের সৃষ্টি করে। যাদের অফিস এবং বসবাস বহুতল ভবনে, তাদের সবার মধ্যেই যেন আগুন হয়ে গেছে মূর্তিমান আতঙ্ক। ফেব্রুয়ারিতে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট টানা ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন ৭১ জন, আর আহত হন শতাধিক। ঢাকার অভিজাত এলাকা বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে মার্চে। ২২ তলা ভবনের অষ্টমতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, যা পরে অন্যান্য তলায়ও ছড়িয়ে পড়ে। ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা যায় বেশ কয়েকজন। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং ৭০ জন আহত হন। তথ্যমতে বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ২২ হাজার ২৮৩টি, যা ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ সময় নিহত হয়েছেন ১৫৪ জন, আর আহত ৩৭৭ জন। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২০৩ কোটি টাকার।

বিদায়ী বছরে প্রাকৃতিক আজাবের মতো মশা ভুগিয়েছে মানুষকে। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া কেড়ে নিয়েছে রেকর্ডসংখ্যক প্রাণ। সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ১২১ জন। বাস্তবে, তা আরো বেশি। যদিও এডিস মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ বিভিন্ন সংস্থা। সে অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এডিস মশা নিধনের এ ব্যর্থতার পর গেছে ২০১৯ সালে দেশে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে শেয়ারবাজার-ব্যাংকপাড়াসহ অর্থ সেক্টরে ভয়াবহ পরিস্থিতির খবর। ব্যাংকিং সেক্টরে নৈরাজ্য সীমা ছাড়িয়ে মূলধনের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে খেলাপি ঋণের অঙ্ক। সর্বশেষ হিসাবে দেশের সব ক’টি ব্যাংকের মোট মূলধন ৯২ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। অথচ সূত্রমতে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

আর এ দিকে শেয়ারবাজার পরিণত হয় আরেক ক্যাসিনো-রাজ্যে। বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে উত্থান দেখা গেলেও জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই ছন্দপতন ঘটতে থাকে। ক্রমাগত দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়, যার প্রভাবে বাড়তে থাকে বিক্রয় চাপ। একসময় সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায়। অবশ্য শেয়ারবাজারের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাঁচ কোম্পানির শেয়ার দর কমার বিষয়টিও বাজার পতনে ভূমিকা রেখেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সরকার একের পর এক প্রণোদনা-হুমকিসহ নরম-গরম উদ্যোগে লাগাম টানার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সাফল্য আসেনি।

মানুষের মধ্যে ২০ সালে এই বিষমুক্তির পরম কামনা থাকলেও বাস্তবে সেটি কোন পর্যায়ে যায়- এ নিয়ে অন্তহীন টেনশন। এর কারণও বিদ্যমান। ব্যাংকিং সেক্টরে এ দশার সাথে সমানে চলেছে বিদেশে অর্থপাচার। সেটার কোনো বিহিত করা যাচ্ছে না। শেয়ারবাজারের অবস্থাও এখন করুণ। এটা আরো গড়াবে না থামবে, হলফ করে বলার জো নেই। উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে করুণ অবস্থার মধ্যেও টিকে থাকা বিদেশে শ্রম রফতানি খাতটিও ঝুঁঁকিতে। সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কর্মী নিয়োগে ব্যাপক মাত্রায় সৌদিকরণ চলছে। এর অংশ হিসেবে অনেক পেশায় বিদেশী কর্মী নিয়োগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি নবায়ন করা হচ্ছে না বিদ্যমানদের কাজের অনুমতিপত্র (আকামা)। এতে চাকরি হারাচ্ছেন বহু বাংলাদেশী।

প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠানোর রেমিট্যান্স যোদ্ধা তথা প্রবাসীর মৃত্যু আরেক বেদনাগাথা ঘটনা। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সৌদি আরবে মোট ৫১ জন নারী গৃহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে আত্মহত্যাই করেছেন প্রায় ২৫ জন। খুনও হয়েছেন একজন। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশীদের অবস্থা করুণ। জাপান, মালয়েশিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশে বেশ খরা যাচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতেও আমাদের দেশের মানুষদের জন্য কড়াকড়ি।

অর্থনৈতিক-সামাজিক দুরবস্থার জন্য রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করার একটি রেওয়াজ সব দেশেই চলে আসছে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। বিদায়ী বছরেও এ প্রশ্নে সরকার ছিল চিন্তামুক্ত। বিরোধী দলের আন্দোলন বলতে কিছুই ছিল না। নানা জল্পনা কল্পনার পর বছরের গোড়ার দিকে প্রশ্নযুক্ত একাদশ সংসদ গঠন হলেও উত্তাপ ছড়েনি। ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু হয় একাদশ সংসদের। দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও সংসদীয় সৌন্দর্য দেখা হয়নি মানুষের। ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরা শপথ নিলেও বয়কট করেন বিরোধী জোটের নির্বাচিত আটজন।

এটি ছিল সংসদে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। অবশেষে ভোটের কারচুপি, আগের দিন রাতে ভোট প্রদানের অভিযোগে যখন পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুলে ব্যর্থ হলো বিএনপি জোট, তখন নতুন হিসাবের খাতা খুলে বসলেন তাদের বিজয়ীরা। নির্বাচিত হয়ে সংসদে না গিয়ে কোনো দাবি আদায় করা যাবে না বা শপথ না নিলেই এমন কী করতে পারবে- এসব হিসাব কষতে কষতে ‘মান ভেঙে’ দফায় দফায় শপথ নিলেন বিএনপি ও তাদের জোটের সংসদ সদস্যরা। শুধু নির্বাচিত ঘোষণার পরও শপথ নেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সব মিলিয়ে তাদের অবস্থা ছিল তথৈবচ।

কয়েকটি বিয়োগান্ত ঘটনাও ঘটেছে ২০১৯ সালে। ইচ্ছে থাকলেও সংসদে আসা হয়নি সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। তিনি শপথ না নিয়েই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আবার শপথ নিয়েও সংসদে কথা বলা হয়নি বিরোধীদলীয় নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের। অবশ্য বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দু-এক দিন সংসদে গেলেও কথা বলার ভাগ্য হয়নি তার। বিদায়ী বছরে সংসদে ভিন্ন ধাঁচের ঘটনা ঘটে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সংসদে বাজেট উপস্থাপনার মাধ্যমে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় একাদশ সংসদের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

এ বছর আরো কিছু ঘটনার সাক্ষী সংসদ। প্রথম জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অস্তিত্বের সঙ্কট, উপর্যুপরি দুর্যোগের ভয়াবহ আঘাত, জীববৈচিত্র্যের অপূরণীয় ক্ষতি এবং সম্পদের অমিতচারী ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে আনীত গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সাধারণ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। তাই বছর শেষে এখনো সরকারি দল, বিরোধী দল হিসাবে কষছেন একাদশ সংসদ গঠনের মধ্য দিয়ে কী পেলাম আর কী হারালাম। বিদায়ী ২০১৯ সাল কেবল হতাশ করেছে ভাবলে ভুল হবে। আমাদের দেশের শিশুরা এ বছর আন্তর্জাতিক রোবট-সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় অনেক সোনা-রুপা এবং ব্রোঞ্জপদক এনেছে দিয়েছে। এই সোনার শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি ভোলার চেষ্টা করা যায়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট
rintuanowar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement