ক্রিমিয়ার বন্দর নগরী কার্চের একটি পলিটেকনিক কলেজে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে ৫০ জন। ক্রিমিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, হতাহতদের বেশির ভাগই শিার্থী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, কলেজের শিার্থীরা প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পায় এবং ভবনের কাচগুলো ভেঙে যায়। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল এটি কোনো গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা। তবে পরে রাশিয়ার ন্যাশনাল গার্ডের একজন কর্মকর্তা বিষয়টিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেন।
ক্রেমলিন নিয়োগকৃত ক্রিমিয়ায় প্রধান প্রশাসক সের্গেই আকসিয়োনভ জানান, ২২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে এ বিস্ফোরণের জন্য দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। রাশিয়ার গণমাধ্যম ওই ছাত্রের নাম ভøাদিসøাভ রোসলিয়াকভ বলে উল্লেখ করেছে। তাকে গত মাসের প্রথম দিকে শিকারের রাইফেল ও শটগান কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। আকসিয়োনভ জানান, হামলার একপর্যায় সে নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করে।
সার্জেই মেলিকভ নামের এক কর্মকর্তা তাস নিউজ এজেন্সিকে জানান, হামলায় শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, কলেজ ক্যাফেটেরিয়ায় এক্সপ্লোসিভে আগুন লাগানোর পাশাপাশি রোসলিয়াকভ ছাত্র ও শিক্ষকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তারা হামলার তথ্য উদঘাটন করবেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক নারী জানান, বিস্ফোরণে কলেজটি উড়ে গেছে। গুলি ও বিস্ফোরণের আওয়াজে আমরা সেখান থেকে দৌড়ে পালাই। এ ঘটনায় আমার বন্ধু মারা যায়। আমার চোখের সামনেই সে পড়ে যায়। আমি সে সময় শুধু লোকজনকে পড়ে যেতে দেখেছি। কলেজটির পরিচালক এ হামলাকে ২০০৪ সালে বসলিনের স্কুল অবরোধের সাথে তুলনা করেন। ওই অবরোধে ৩৩০ জনের মতো লোক মারা গিয়েছিল।
গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়, কার্চ কলেজটি ক্রিমিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত, যেখান দিয়ে ক্রিমিয়ার সাথে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযোগকারী ১৯ কিলোমিটার লম্বা নতুন সেতুতে প্রবেশ করতে হয়। উল্লেখ্য, ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে ২০১৪ সালে সংযুক্ত করে নেয় রাশিয়া। এর আগে এটি ইউক্রেনের অংশ ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা