প্রয়োজনের তুলনায় পুলিশের সংখ্যা কম, সময় স্বল্পতার কারণে আসামি চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না, তার ওপর গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবসার অভিযোগ ছিল বরাবরই। তাই এবার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হাতে গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত আসামিদের নামের তালিকা তুলে দিয়েছে ফতুল্লা থানা পুলিশ। আসামিদের ধরিয়ে দিতে তাদের কাছে সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার সভা কক্ষে এক আলোচনা সভায় পরোয়ানাপ্রাপ্ত আসামিদের নামের তালিকা তুলে ধরেন। এ সময় সাংবাদিকদের হাতেও এসব আসামির নামের তালিকা তুলে দেয়া হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ওসি তদন্ত হাসানুজ্জান, কমিউনিটি পুলিশ ফতুল্লা থানা কমিটির সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও ব্যবসায়ী তৈয়বুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জিআর, সিআর ও সাজাপ্রাপ্ত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে আসামিদের তালিকা। এর মধ্যে কুতুবপুর ইউনিয়নে প্রায় দুই হাজার ২০০ আসামি, ফতুল্লা ইউনিয়নে দুই হাজার ২০০-এর বেশি, এনায়েতনগরে এক হাজার ৬৪০, কাশিপুরে এক হাজার ৪৭৫, বক্তাবলীতে ৬০০ সহ বর্তমানে ফতুল্লা থানায় আট হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, ফতুল্লা থানায় ৮০ থেকে ১০০ জন পুলিশ অফিসার কাজ করে। সবাই ছয় মাস, এক বছর কিংবা দুই বছর কাজ করে চলে যাচ্ছে। তাই এ পুলিশ অফিসারগুলোর পক্ষে অপরাধী যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাই আপনারা এলাকার মানুষ, আপনারা চেনেন এরা কারা? তাই উপরস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ তালিকা আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি। আপনার এগুলো প্রচার করুন। আসামিদের চিহ্নিত করে আমাদের জানান।
উল্লেখ্য গত ২৯ জুলাই ফতুল্লা থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিদের নামের তালিকা লাগিয়েছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা