০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা সুস্পষ্ট হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ

-

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় অবজ্ঞা, অবহেলা আজো সুস্পষ্ট। তারা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে আগেকার মতো ধর্মীয় বৈষম্য অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ জানান। তারা বলেন, লোক গণনার পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে প্রকল্প বাদে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ১১ থেকে ১২ টাকা আর সংখ্যালঘুর মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র তিন টাকা।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ বৈষম্যের পাওয়ার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, নির্মল রোজারিও, ভদন্ত সুনন্দপ্রিয় মহাথেরো, দীপেন চ্যাটার্জী, মিলন দত্ত, বাসুদেব ধর, মঞ্জু ধর প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তীর্থভ্রমণ, তাদের কেন্দ্রীয় উপাসনালয় পরিচালনা, পুরোহিত, সেবায়েত, যাজকদের কল্যাণে, দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে, মডেল মন্দির/প্যাগোডা/গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সামাজিক উন্নয়ন, গবেষণা কাজের জন্য চলতি অর্থবছরেও বাজেট কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরোহিত ও সেবায়েতদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে বিগত অর্থবছর পর্যন্ত বরাদ্দ থাকলেও এবারের অর্থ বছরে অনুরূপ কোন বরাদ্দ নেই। মন্দিরভিক্তিক শিশু ও গণশিক্ষা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য প্যাগোডাভিক্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার বিশেষ কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ অব্যাহত থাকলেও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ নেই। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা নামে বিদ্যমান প্রকল্পের ৪০ শতাংশ মুসলিম কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদেরই কল্যাণে তা ব্যয়িত হয়। এর মধ্যে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ধর্মীয় বৈষম্য নিরসনকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অন্যূন ২ হাজার কোটি টাকা, তীর্থভ্রমণের জন্য অন্যূন ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়। এর পাশাপাশি বিদ্যমান কল্যাণ ট্রাস্টগুলোকে বাতিল করে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঘোষিত ২০০ কোটি টাকা ছাড়, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, প্রতিটি জেলায় ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের দাবি করেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement