০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জাজিরায় জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে ভুয়া দলিলের অভিযোগ সাবরেজিস্ট্রারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

-

জমির মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে অপর এক ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে জাজিরা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে ভুয়া দলিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক বাদি হয়ে জাজিরা উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সাবরেজিস্ট্রার বলছেন, আমি কাগজপত্র সঠিক দেখেই দলিলে স্বাক্ষর করেছি। আমি তো জাজিরার সবাইকে চিনি না। দলিল লেখক বলছেন, দলিল হয়ে যাওয়ার পর তারা দলিলদাতা সঠিক নয় বিষয়টি জানতে পারেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ৯০নং ডঙ্গিকান্দি মৌজার ৭১নং বিআর এস খতিয়ানের ৮১, ৮৯ ও ৯৪নং দাগ হতে ৩৮.১০ শতাংশ নালজমি এবং একই খতিয়ানের বিআরএস ৮৮নং দাগ থেকে ১.৯০ শতাংশ বাড়ির জমিসহ ৪০ শতাংশ জমি ভুয়া মালিক সাজিয়ে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্বাক্ষর জাল করে দলিল করা হয়। গত ৫ এপ্রিল স্থানীয় দলিল সম্পাদন করা হয়। দলিল লেখক আদম আলী মোল্যাকে দিয়ে দলিল লিখে ইউনুছ মোল্যা শনাক্তকারী হিসেবে এবং সোহেল রানা ও কবির হোসেন সাক্ষী হয়ে হেবাবিল এওয়াজ দলিল রেজিস্ট্রি করে নেয়। স্থানীয় লোকজন জানান, উল্লিখিত জমির মূল মালিক জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কাদির মাদবর কান্দি গ্রামের আ: রশিদ মাদবর। ওই জালিয়াতি করে জাজিরা উপজেলার মহি মোল্যা কান্দি গ্রামের মৃত ওসমান মোল্যার ছেলে জামাল মোল্যা গ্রহীতা হয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে রশিদ মাদবর সাজিয়ে প্রকৃত রশিদ মাদবরের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তন করে জমিটি ভুয়া দলিল করে। জাজিরা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার আ: গনি মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, আমি কাগজপত্র সঠিক দেখেই দলিলে স্বাক্ষর করেছি।
আমি তো জাজিরার সবাইকে চিনি না। যেই ব্যক্তি দলিলে পরিচিতি দিয়েছেন তিনিই বলতে পারবেন দলিলের দাতা সঠিক ছিল কি না। আমি কাজে ব্যস্ত, এখন আর এর বেশি কিছু বলতে পারব না।


আরো সংবাদ



premium cement