ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনে আইজিপি আসবেন বলে রাস্তার দুই পাশ, পার্কিং ইয়ার্ড, পন্টুন হকার মুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য ২০ জন হকার আটক করে নৌ ও ডিএমপি পুলিশ।
সরেজমিন, গিয়ে দেখা গেছে সদরঘাট এলাকার বাটা সিগন্যাল থেকে দুই পাশের রাস্তা, টার্মিনাল গাড়ি পার্কিং (সাইকেল মাঠ) ও পন্টুনে হকারদের ধাওয়া ও আটক করছে পুলিশ। আবার কারো কারো মালামাল ফেলে দেয়া হয়েছে।
টার্মিনাল পন্টুন : গতকাল বিকেলে সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শনে যান আইজিপি। এর আগে এ সংবাদ পাওয়া মাত্র বেলা ২টা থেকে সোয়া ৩টা পর্যন্ত পন্টুনে অভিযান চালিয়ে ঝুড়িতে মালামালসহ ২০ জন হকার আটক করা হয়। তাদের নৌ-পুলিশের একটি রুমে আটকে রাখা হয়।
বাটা সিগন্যাল থেকে টার্মিনাল ভবন : সদরঘাট এলাকার বাটা সিগন্যাল থেকে টার্মিনাল ভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এক থেকে দেড় শ’ ছোট ছোট চৌকি দিয়ে দোকান বসানো হয়েছে। এসবের কারণে রিকশা সিএনজি তো দূরের কথা মানুষও হাঁটতে পারছে না। তাই আইজিপি আসায় সব দোকান
উঠিয়ে দেয়া হয়। পরে আইজিপি চলে গেলে সন্ধ্যার দিকে আবারো বসানো হয় ওই সব অবৈধ দোকান।
টার্মিনাল গাড়ি পার্কিং (সাইকেল মাঠ) : দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে ভ্যানগাড়ি দিয়ে হকার বসানো হয়। আইজিপি আসবে বলে দুপুরে দেখা যায় হকারদের তাড়াচ্ছে পুলিশ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক হকার এ প্রতিবেদককে বলেন, নিয়মিত বসার জন্য টার্মিনাল ফাঁড়ি পুলিশকে দোকান প্রতি দৈনিক ২০০ টাকা দিতে হয়। তারপরেও নানাভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। তারা আরো বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরও দোকান প্রতি দেয়া হয় ৫০ টাকা। এসব দেয়ার পরেও ঠিকমতো বসতে পারছি না।
নৌ-পুলিশ সদরঘাট থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক নয়া দিগন্তকে বলেন, টার্মিনাল পন্টুনে কোনোভাবে হকার বসতে দেয়া যাবে না। তাই ১৫ থেকে ১৭ জন হকার আটক করা হয়েছে। এসব হকারকে বিআইডব্লিউটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা