১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


গাদ্দাফির পর কেমন চলছে লিবিয়া?

-

অক্টোবর, ২০১১। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ‘আরব বসন্তের’ ঢেউ উঠেছিল। লিবিয়াতেও সেই ছোঁয়া লেগেছিল। এরই এক পর্যায়ে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়া শাসন করা গাদ্দাফি পালিয়ে যান। পরে অক্টোবরে তিনি ধরা পড়েন এবং তাকে হত্যা করা হয়। অদ্ভুত আচরণের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথেও তার সরকারের সম্পর্ক ছিল।

শান্তি প্রত্যাশা
গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা করা হয়েছিল। সেই লক্ষ্যে ২০১২ সালের জুনে সংসদ নির্বাচনেরও আয়োজন করা হয়৷ কিন্তু তারপর রাজনীতিবিদরা একটি কার্যকর সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হন।

উগ্রবাদের প্রসার
দেশটিতে কার্যকর সরকার না থাকায় উগ্রবাদের প্রসার হতে থাকে। গাদ্দাফিকে সরাতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে একতা গড়ে তুলতে পারলেও তার মৃত্যুর পর নিজেরা একসাথে থাকতে পারেনি। ফলে লিবিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংখ্যাও বাড়ছে। তাদেরই একটি অংশ ২০১২ সালে বেনগাজিতে মার্কিন মিশনে হামলা চালায়।

রাজনৈতিক বিভক্তি
লিবিয়ার বর্তমান জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত ‘গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল অ্যাকর্ড’ বা জিএনএ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু এর বাইরেও আরো কয়েকটি গোষ্ঠী লিবিয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে বলে দাবি করে। এই সুযোগে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস লিবিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে।

সহায়তা কামনা
লিবিয়ার জিএনএ ও স্বঘোষিত ‘লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি’ বা এলএনএ সম্প্রতি দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে ন্যাটোর সহায়তা চেয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট দূর করার আহ্বান জানিয়েছে জিএনএ ও এলএনএ।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement