০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফিলিস্তিনি যুবকের ছবি যেন দেলাক্রোয়ার পেইন্টিং

ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীর ছবিটি তুলেছেন ফটোসাংবাদিক মুস্তাফা হাসোনা। ইনসেসেটে দেলাক্রোয়ার বিখ্যাত ছবি 'লিবার্টি লিডিং দ্য পিপল' - ছবি : সংগ্রহ

এটি এমন এক ছবি যা নিয়ে ইন্টারনেটে বহু শব্দ লেখা হয়েছে। তুলেছেন ফটোসাংবাদিক মুস্তাফা হাসোনা।খালি গায়ে, উদ্যত ভঙ্গিতে এক ফিলিস্তিনি যুবক, তার এক হাতে ফিলিস্তিনি পতাকা, আরেক হাতে পাথর ছোঁড়ার স্লিং।

ছবিটি তোলা হয়েছে সোমবার গাজায়, ইসরাইল সীমান্তের কাছে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভের সময়। বিক্ষোভকারীরা এসময় টায়ার পোড়ায়, ইসরাইলি সৈন্যদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। জবাবে ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি চালায়, টিয়ারগ্যাসও ছোঁড়ে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এসময় ৩২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়।

ছবিটি ব্যাপকভাবে শেযার হয়েছে অনলাইনে। অনেকেই একে তুলনা করেছেন বিখ্যাত চিত্রকর ইউজিন দেলাক্রোয়ার আঁকা ফরাসি বিপ্লবভিত্তিক ছবি 'লিবার্টি লিডিং দ্য পিপল'-এর সাথে। এর পর আলজাজিরা টিভি ছবির এ যুবকটিকে খুঁজে বের করেছে। তার নাম আয়েদ আবু আমরো, বয়েস ২০।

"আমি খুবই অবাক হয়েছি দেখে যে আমার একটা ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে' - টিভি চ্যানেলটিকে বলেন আবু আমরো।

তিনি বলেন, "আমি প্রতি সপ্তাহেই বিক্ষোভে যোগ দিই, কখনো কখনো তারও বেশি বার। আমি জানতামও না যে আমার কাছে ফটোগ্রাফার ছিল।"

"এই পতাকাটা আমি যত বিক্ষোভে গেছি সবখানেই সাথে নিয়ে গেছি। আমার বন্ধুরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে - বলে, তোমার এক হাতে পতাকা না থাকলে পাথর ছোঁড়া আরো সহজ হবে। কিন্তু আমার অভ্যাস হয়ে গেছে।"

লন্ডনের সোয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর লালেহ খলিলি ছবিটা ইউটারে শেয়ার করেন মঙ্গলবার। শুধু তার টুইটই ৩০ হাজারের বেশি বার রি-টুইট হয়েছে। 'লাইক' পেয়েছে ৮০ হাজার।

অবশ্য সব প্রতিক্রিয়াই যে ইতিবাচক হয়েছে তা নয়। অনেকে এর সাথে বিরাটকায় দানব গোলায়াথের সাথে ক্ষুদ্রকার ডেভিডের লড়াইয়ে তুলনা করেছেন।

অনেকে আবার বলেছেন, এ ছবিতে সহিংসতাকে মহত্ব দেবার চেষ্টা হয়েছে।

গত মার্চ মাস থেকে গাজা-ইসরাইল সীমান্তে প্রতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সৈন্যদের গুলিতে ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে অন্তত ২১৭ জন। আর ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছে ১ জন।

ইসরাইলের দেয়া ভূমি ইজারা চুক্তি নবায়ন করবে না জর্দান
আলজাজিরা ও বিবিসি
ইসরাইলের সাথে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির আওতায় ২৫ বছর মেয়াদি ভূমি চুক্তি নবায়ন না করার ঘোষণা দিয়েছে জর্দান। সেই অনুযায়ী জর্দান এখন ইসরাইলের কাছ থাকা দুটি ভূখণ্ড ফেরত নেবে। জর্দানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ইসরাইল বলছে, তারা চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনার পরিকল্পনা করছে। 
১৯৯৪ সালের শান্তি চুক্তি অনুসারে, ইসরাইল তাদের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী জর্দানের ‘আল-গুমার’ নামের ৪০৫ হেক্টর আবাদি জমি ইজারা নেয়। পাশাপাশি জর্দান ও ইয়ারমুক নদীর মিলনস্থলসংলগ্ন সীমান্তবর্তী ‘আল-বাকুরা’ নামক অঞ্চলও ইজারা নেয়া হয়।

চুক্তি অনুসারে পানিসমৃদ্ধ চাষাবাদ উপযোগী ওই জমি ২৫ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছিল ইসরাইল, যেখানে বর্তমানে সে দেশের কৃষকেরা চাষাবাদ করছে। এই চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৫ অক্টোবর। চুক্তির একটি বিশেষ ধারার আওতায়, ইসরাইলিদের সেখানে ভূমির ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকারের পাশপাশি অবাধ চলাচল করতে দেয়া হয়। আগামী বছর চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হবে।

জর্দানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পেত্রা জানিয়েছে, ইসরাইলের সাথে এ চুক্তি বাতিলের জন্য জনগণের ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে আছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তিনি জর্দানের সিনিয়র রাজনীতিকদের বলেছেন, জর্দান এখন ওই দুই এলাকায় পূর্ণ সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চায়। ইসরাইলকে ইজারা দেয়া ভূখণ্ড দুটি ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে সিরিয়া, পূর্বে ইরাক ও পশ্চিমে ইসরাইলের অবস্থান। বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘এগুলো জর্দানের ভূমি আর তাই থাকবে’। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে জর্দান তাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। রোববার বাদশাহ আবদুল্লাহর এ ঘোষণার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্বীকার করেছেন যে, জর্দান এ চুক্তি শেষ করতে চায়। তবে তিনি বলেন, বর্তমান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ইসরাইল আলোচনা শুরু করবে। জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, শান্তি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে যদি কোনো পক্ষ আরেক পক্ষকে না জানায় যে, তারা চুক্তিটি বাদ দিতে চায় তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়ে যাবে। এ জন্যই তা ইসরাইলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে চুক্তি হলেও ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ভূখণ্ড দু’টি দখলে রেখেছে ইসরাইল। কর্মকর্তারা বলছেন, বিশেষ শাসনের অধীনে থাকা অঞ্চল দুটির বিষয়ে জর্দানের সাথে আলোচনা করা ইসরাইলের জন্য কঠিন হবে। কারণ বর্তমানে ইসরাইলি আইনের আওতায় থাকা এলাকা দুটিতে অবস্থান ধরে রাখার ব্যাপারে আইনগত জটিলতা রয়েছে। জর্দান সেই দুই আরব দেশের একটি, যাদের সাথে ইসরাইলের শান্তি চুক্তি রয়েছে। এছাড়া দেশ দুটির মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাসও রয়েছে। দেশটি দু’টি নিজেদের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কও বিস্তৃত করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু করেছে ভারত-বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জে স্কুলছাত্রীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট লিডার তৌহিদুজ্জামান নিপু ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে শিশু অপহরণের একমাস পর উদ্ধার, এক দম্পতি গ্রেফতার আইসিজেতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমর্থন দেবে তুরস্ক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম লক্ষ্য সিরিজ জয় : শান্ত পেকুয়ায় বজ্রপাতে ২ লবণশ্রমিকের মৃত্যু গাজীপুরে নিখোঁজ পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার চলচ্চিত্রে সমস্যা ও উত্তরণে গোলটেবিল বৈঠক হ্যাটট্রিক হারে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশে বন্ধ হলো সেই বিলের মাটি কাটা

সকল