২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


খুলনাকে আরো একবার হারাল চিটাগং

ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে মুশফিকুর রহীমের একটি শর্ট : নয়া দিগন্ত -

স্কোর বোর্ডে ২১৪ রান জমা করে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের পাহাড়ে অবস্থান করছিল চিটাগং ভাইকিংস। অনুমিতই ছিল খুলনা টাইটান্স এই রান টপকাতে চাপে থাকবে। হয়েছেও তাই। শুরু থেকেই মেরে খেলতে গিয়ে আরো চাপে পড়েছে তারা। তবে শেষ দিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে টাইটান্সের বিদেশী রিক্রুট ডেভিড উইসে। টার্গেটের কিছুটা কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন। ১৮তম ওভারে তিনি আউট হওয়ার পরই ম্লান হয়ে যায় খুলনার ইনিংস। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান করলে চিটাগং ভাইকিংস ২৬ রানে জয়ী হয়। প্রথম সাক্ষাতে সুপার ওভারে খুলনাকে হারিয়েছিল চিটাগং। ৫ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে গেল চিটাগং। আর ৭ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে খুলনা।
২১৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে খুলনার ব্যাটসম্যানরা তাড়াহুড়ায় উইকেট বিলিয়ে দেন। ওপেনার স্টালিং খালি হাতে ফেরার পর আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিক ফিরেন ১২ রানে। আল আমিন ৫ রানে ফিরলে হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও টেইলর। ৯.১ ওভারে দলীয় ৮৬ রানে টেইলর (১৬ বলে ২৮ রান) সাজঘরে ফিরলে আরিফুল হককে নিয়ে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রিয়াদ। ২৬ বলে তিনটি ৪ ও চারটি ছক্কায় কাটায় কাটায় ৫০ রান করে ডেলপোর্টের বলে বোল্ড হন। উইসে ক্রিজে নেমেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটান। এ সময়ে ১১ রান করে ফিরেন আরিফুল হক। ওয়েসি তাইজুলকে নিয়ে কাঁপন ধরান চিটাগং শিবিরে। মাত্র ২০ বলে দু’টি ৪ ও চারটি ছক্কায় ৪০ রান করার পর খালেদের বলে উইকেট কিপারকে ক্যাচ দেন। শরিফুল ৯ রান করে আবু জায়েদের শিকার হন। ফলে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রানেই শেষ হয় খুলনার ইনিংস। তাইজুল ২২ রানে এবং মালিঙ্গা ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। আবু জায়েদ তিনটি, খালেদ ও ডেলপোর্ট দু’টি করে এবং নাইম হাসান একটি উইকেট পান।


আরো সংবাদ



premium cement