যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মহান বিজয় দিবস উপলে যুক্তফ্রন্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন, সব মতার মালিক, সংবিধান তাদের এই মতা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন রাষ্ট্রপতির অধীনে, সরকারের অধীনে নেই। তাই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
যুক্তফ্রন্ট প্রধান বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে যেমন আনন্দের তেমনি বেদনার। দেশের ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, দুই লাখ মা-বোনের অশ্রু এবং রক্ত ঝরেছে, এই দিনটি আমাদের প্রতিজ্ঞা নেয়ার দিন। পাকিস্তানে আমরা উন্নয়নবঞ্চিত ছিলাম, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। এখন আমরা উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করেছি। আমরা চাই গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন হাতে হাত ধরে চলবে।
বি. চৌধুরী বলেন, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে দুর্নীতি। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে দুর্নীতি উচ্ছেদের। দুর্নীতি কমাতে পারলে প্রবৃদ্ধির মাত্রা শতকরা ১০ ভাগ বাড়ানো সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, সত্যিকার শান্তি-সুখের বাংলাদেশের জন্য দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
যুক্তফ্রন্টের সমন্বয়ক সরদার শামস আল মামুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার যুক্তরাজ্য শাখার নেতা ও সিলেট জেলা বিকল্পধারার আহ্বায়ক মিছবাহ জামাল কবি নীতিশ সাহা রচিত ‘শহীদের চিঠি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন। বক্তৃতা করেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি মজহারুল হক শাহ চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বিকল্পধারার কেন্দ্রীয় নেতা ডা: রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, বরিশাল-৩ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী এনায়েত কবীর জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দিলীপ কুমার দাসগুপ্ত, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, লেবার পার্টির মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা