৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ

-

ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী ও তার স্ত্রী উভয়েরই সম্পদ বেড়েছে গত পাঁচ বছরে। এবারের নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এই সংসদ সদস্য ও তার স্ত্রী জমি ও বাড়িসহ প্রচুর সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বিগত পাঁচ বছরের ব্যবধানে শুধু কৃষিজমিই বেড়েছে আগের চেয়ে ২৬ গুণ। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। স্ত্রীর নামে ঢাকার সাভার এলাকায় ৩ দশমিক ২৮২৫ একর কৃষিজমি কিনেছেন এক লাখ ৮৩ হাজার টাকায়। ভাঙ্গার ব্রাহ্মণপাড়াতে একটি দোতলা ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। পাঁচ বছর পর হেবামূলে ঢাকার বনানীতে দশমিক ৮১ শতাংশ জমির উপর ৩৭১৬ দশমিক ১১ বর্গ ফুট আয়তনের একটি বাড়ির মালিক হয়েছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে ঢাকার পূর্বাঞ্চল রাজউকের ১০ কাঠা প্লটের মালিক হয়েছেন।
২০১৪ সালে ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন পাশের মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান নিক্সন। আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে বিশাল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিলেন অন্য এলাকার বাসিন্দা (পাশের মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রাম) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। তখন তার কৃষিজমির পরিমাণ ছিল ৩৮ শতাংশ। ওই সময় ভাঙ্গায় তার কোনো কৃষিজমি ছিল না। সাংসদ হওয়ার পর গত পাঁচ বছর পর শুধু ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার ৯৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি কিনেছেন। তার স্ত্রীর নামে ঢাকার প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড ও গুলশানে দু’টি ফ্ল¬্যাট কিনেছেন। এই দু’টি ফ্ল¬্যাটের দাম তিনি দেখিয়েছেন যথাক্রমে ৪০ লাখ ও এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
মজিবুর রহমান সংসদ সদস্য হওয়ার পর ভাঙ্গার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে তিনি ৯৭৫ দশমিক ২৩ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ জমি তিনি কিনেতে ব্যয় দেখিয়েছেন তিন কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৯১০ টাকা
এ ছাড়া তার স্ত্রী ঢাকার সাভার এলাকার ৩ দশমিক ২৮২৫ একর জমির মালিক যার দাম, দেখানো হয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে তার স্ত্রীর নামে কোনো কৃষিজমি ছিল না।
পাঁচ বছর আগে তার অকৃষি জমির পরিমাণ ছিল নিজের নামে ১৭.১০ শতাংশ ও স্ত্রীর নামে ৭ দশমিক ৫ কাঠা জমি। পাঁচ বছর পর অকৃষি জমির মধ্যে শিবচর হাউজিং প্রকল্প এলাকায় ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ১৫০ টাকা ব্যয়ে ৫ কাঠা জমি, ঢাকার পূর্বাঞ্চল রাজকের ১০ কাঠা প্লট যৌথ নামে যা তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। ঢাকার আদাবর এলাকায় দশমিক ২১৫ অজুতাংশ জমি। শিবচর দত্তপাড়া এলাকায় দশমিক ৩৮ শতাংশ জমি যার মূল্য দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে গুলশান ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ৫ কাঠা জমি যার দাম দেখানো হয়েছে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পাঁচ বছর আগে তার নিজের কোনো ফ্ল্যাট ছিল না। তিনি তার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট দেখিয়েছিলেন। পাঁচ বছর পর তার নামে ঢাকার বনানীতে দশমিক ৮১ শতাংশ ভূমি ৩৭১৬ দশমিক ১১ বর্গ ফুটবিশিষ্ট (হেবা মূলে) এবং ভাঙ্গার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় দুইতলা একটি ভবনের কাজ চলমান রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।
স্ত্রীর নামে ঢাকার প্রোপার্টি ভেলেপমেন্ট লিমিটেডের একটি ফ্ল্যাট যার মূল্য ৪০ লাখ টাকা এবং গুলশানে ১ দশমিক ৪৯ কাঠার ওপর ৪ দশমিক ৮৯১ বর্গ ফুটের একটি ফ্ল্যাট যার দাম দেখানো হয়েছে এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ বছর আগে তার আয় হতো ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। পাঁচ বছর পর নীপা পরিবহন লিমিটেড, রিতা, কনস্ট্রাকশন ও স্বাধীন বাংলা ফিলিং স্টেশন নামের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তার বার্ষিক আয় মোট আট লাখ ৩০ হাজার ৮৫৬ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ছিল দুই কোটি এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। পাঁচ বছর পর ব্যাংকে মুনাফার পরিমাণ পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৬৬৭ টাকা।
তার আয়ের ক্ষেত্রে নতুন যেসব খাত যুক্ত হয়েছে তা হলো, জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে প্রাপ্ত পারিতুষিক হিসেবে বছরে পান ২৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৮ টাকা এবং স্টক ব্যবসা থেকে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯০০ টাকা।
পাঁচ বছর আগে তার হাতে নগদ টাকা ছিল ২৮ লাখ ১০ হাজার ২২০ টাকা। বর্তমানে তার পরিমাণ নিজের কাছে ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫৭ টাকা এবং স্ত্রীর কাছে ৮৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৪১ টাকা রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৫ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭২ টাকা বর্তমানে তার নামে ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫৪ ও স্ত্রীর নামে ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৯ টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র স্টক একচেঞ্জ কোম্পানির শেয়ারের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৩১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা।
বর্তমানে তার ৭০ লাখ টাকার এফডিআর রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানিতে তার শেয়ারের পরিমাণ ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৮ টাকা। সোয়ার হোল্ডিং লি. কোম্পানিতে তার স্ত্রীর শেয়ার পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা। পাঁচ বছর আগে তার কোনো গাড়ি ছিল না। বর্তমানে তিনি ৫৫ লাখ এক হাজার ৩৮৪ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ির মালিক।
পাঁচ বছর আগে তার নিজের কোনো সোনা ছিল না, স্ত্রীর নামে ছিল ২৫ তোলা সোনা। পাঁচ বছর পর তার নামে ৩০ তোলা ও স্ত্রীর নামে ৫০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে তার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ছিল দুই লাখ ৬০ হাজার ৭৫০ টাকার। বর্তমানে তার নামে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ও স্ত্রীর নামে চার লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। তার লাইফ ইনস্যুরেন্স রয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৬৫৫ টাকার।
পাঁচ বছর আগে তার কোনো ঋণ ছিল না। তবে বর্তমানে তিনি নীপা পরিবহন লি.-এর পরচালক হিসেবে ২৪ কোটি ৪১ টাকা এবং যৌথ মালিকানা হিসেবে চার কোটি টাকা ঋণ রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুক হামলা, নিহত ৬ দেশের বেসরকারি সৌর প্রকল্পে ১২১.৫৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন এডিবির কটিয়াদীতে কালের সাক্ষী ৫০০ বছরের কোটামন দিঘি সখীপুরে ৩০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ স্কুল-মাদরাসার ছুটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বহাল থাকছে রাজবাড়ীতে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ বাকিতে সিগারেট না দেয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা ট্রেনে বন্ধুর ব্যাগ তুলে দিতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের গাজা উপকূলে বন্দর নির্মাণের ছবি প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র মানুষের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই : রিজভী রেলের ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান জাতীয় কমিটির

সকল