৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হাটহাজারীতে শরিকদের প্রভাবে দুশ্চিন্তায় বিএনপি-আ’লীগ

চট্টগ্রাম-৫ আসন
-

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় সংসদের ২৮২ নম্বর আসন চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সরব হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে এলাকার লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করা ছাড়াও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। বিভিন্ন দলের নেতারা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন দিয়ে এলাকায় প্রার্থিতার বিষয়টি জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিভিন্ন জাতীয় দিবস কিংবা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিজেরা উপস্থিত থেকে অথবা অনুসারীদের মাধ্যমে নানামুখী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড, একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-৫ আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ তিন হাজার ৭২৬।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাটহাজারী আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীর ছড়াছড়ি রয়েছে জোট-মহাজোটের শরিক দলের কৌশলী প্রভাব। বিশেষ করে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং ২০ দলীয় জোট থেকে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে মনোনয়ন দিতে পারে এ দুশ্চিন্তায় পড়েছে নির্বাচনী মাঠে থাকা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
দশম জাতীয় সংসদ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে হাটহাজারী আসনের ভোটারেরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তখন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান পরিবেশ, বন ও জলবাযু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এক লাখ ৩২ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। এ সময় তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ভোট পেয়েছিলেন এক লাখ ছয় হাজার ৯৭৫। এর আগে ব্যারিস্টার আনিস ১৯৭৯ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির টিকিটে এ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন। তবে ১৯৯১ সাল, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে টানা চারবার এমপি হন সাবেক হুইপ মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম। ১৯৭৩ সালে এ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের এম এ ওহাব। ১৯৭৩ সালের পর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আর কেউ এমপি হতে পারেনি।
বিএনপির ভোটব্যাংক খ্যাত হাটহাজারী আসনটিতে বিএনপির টিকিটে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম চারবার এবং ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একবারসহ মোট পাঁচবার এমপি নির্বাচিত হয় বিএনপির। বর্তমানে হাটহাজারীর উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ তিন জনপ্রতিনিধি বিএনপি, ইসলামী এক্যজোট ও জামায়াতের।
এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাটহাজারী আসনের জটিল সমীকরণ নিয়ে মনোনয়ন পেতে মহাজোটের জাতীয় পার্টি, ২০ দলীয় জোটের কল্যাণ পার্টির কৌশলগত প্রভাব থাকলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় আছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ডজন প্রার্থী। মাঠে সক্রিয় আছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
বিএনপির দুর্গ বলে পরিচিত চট্টগ্রামের এ আসনটিতে ২০০৮ নির্বাচনে বিএনপি মহাজোট প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর হাতছাড়া হয়ে যায় তাদের এ ঘাঁটি। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে বড় ধরনের কোনো সঙ্কট তৈরি না হলে বিএনপি পুনরায় আসনটি ফিরে পাবে- এমন ধারণা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের। তবে বিএনপির দুর্গখ্যাত হাটহাজারী আসনটি পুনরুদ্ধারে বিএনপির বড় বাধা দলীয় কোন্দল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সাবেক নেতা এস এম ফজলুল হক, মরহুম বিএনপি নেতা সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: ফাওয়াজ হোসেন শুভ।
এ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কৌশলে মাঠে তৎপর রয়েছেন। ২০০৮ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেছিলেন। এবার জোটগত নির্বাচনে কল্যাণ পার্টি যদি একটি আসন পায় তা হবে চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসনটি। তাই একাদশ নির্বাচনে হাটহাজারী আসনটি শরিক দলকে ছেড়ে দেয়ার গুঞ্জন রয়েছে। তবে এ গুঞ্জনকে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা মাথায় না রেখে বলছে, শরিক দলকে নয়, জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও হাটহাজারীতে একক প্রার্থী দেবে বিএনপি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মীর নাছির ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র হাটহাজারী থেকে মনোনয়ন চাইবেন। সে লক্ষ্যে তিনি কৌশলে মাঠে রয়েছেন। মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মনে করেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড পেলে এবং গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হাটহাজারীতে বিজয়ী হবে বিএনপি এবং তিনি মনোনয়ন পেলে দল এবং নেত্রীর আস্থার প্রতিদানও তিনি দিতে পারবেন।
মনোনয়ন দৌড়ে আছেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ এস এম ফজলুল হক। তিনি দলের প্রতিকূল পরিবেশে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিগত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ময়দানে সরব ছিলেন। এ কারণে তিনি আশা করেন দল তাকেই মনোনয়ন দেবেন।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি নেতা সাবেক হুইপ মরহুম সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। তিনি সাবেক হুইপের মেয়ে হিসেবে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী। দলের একজন নারী নেত্রী হিসেবে তিনি জেলজুলুম নির্যাতন ভোগ করে মাঠে-ময়দানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মনে করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দল মনে করে রাজনৈতিক হয়রানির অংশ হিসেবে শাকিলা ফাজানাকে জেলজুলুমের শিকার হতে হয়েছে। নির্যাতিত নেত্রী হিসেবে এ আসনে মনোনয়নের দাবিদার শাকিলা।
বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে ব্যারিস্টার মীর হেলাল। তিনি বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মনোনয়নের আশায় দলের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ক্লিন ইমেজের বিএনপির কেন্দ্রীয় আরেক নেতা ডা: ফাওয়াজ হোসেন শুভ মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।
এদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ২০ দলীয় জোটের চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির জানান, এ আসনে নির্বাচন করার জন্য দলের পক্ষ থেকে মনোনীত করেছে। ২০ দলের শরিকদল হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ যদি নির্বাচনের জন্য একটি আসনও পায় তাহলে সে আসনটি হবে চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসন। তিনি আরো জানান, আমি বর্তমানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা রয়েছে এবং এ এলাকাটি হেফাজতে ইসলামের ঘাঁটি। আমি আশাবাদী এ আসনে মনোনয়ন পেলে জোটের জন্য অতীতের মতো এ আসনটিতে বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো ইনশা আল্লাহ।
অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে নির্বাচন না করলেও সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। তিনি মনে করেন বর্তমানে ইসলামী ঐক্যজোট মহাজোটের শরিকদল। শরিক দল হিসেবে আমার দল যে কয়টি আসন পাবে তার মধ্যে চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারীতে প্রার্থী নিশ্চিত বলা যায়। এ আশায় তিনি ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে এলাকায় সোচ্চার রয়েছেন।
অন্য দিকে হাটহাজারী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিভক্তি রেখা ক্রমেই গভীর হচ্ছে। এর প্রভাব প্রকটভাবে পড়েছে আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনে। বিগত কয়েক বছর নিজেদের মধ্যে মারামারি এবং সঙ্ঘাতের মাঠে ছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা এম এ সালাম গ্রুপ ও ইউনুচ গনি গ্রুপে বিভক্ত।
মহাজোটের এমপি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সরকারদলীয় একটি অংশ। শুরু থেকেই বর্তমান এমপির বিরোধিতা করে আসছে ওই অংশের নেতাকর্মীরা। এবারো তারা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের মনোনয়ন ঠেকাতে জোরালোভাবে মাঠে থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম-৫ আসনের এমপি বন ও জলবাযু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ভোটের জন্য প্রস্তুত। স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে এ আসনটি মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ বিগত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইউনুচ গণি চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পেলেও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামকে আসনটি ছেড়ে দেন। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ টানা দশ বছর সময় এমপি ও মন্ত্রী থাকার সুবাদে এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনসম্পৃক্ততায় তিনি নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন এবং যোগ দিচ্ছেন সভা-সমাবেশে।
এরপরেও আশায় বুক বেঁধে আছেন আওয়ামী লীগের ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হচ্ছেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বাস মালিক ফেডারেশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) সহসভাপতি জাফর আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী।
আওয়ামী লীগের আরো মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাফর আহমেদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী। দলের পক্ষ থেকে তিনিও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থিতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে এলাকায় উন্নয়নে চেষ্টা করেছি। তবে জনগণের সেবা করার জন্য জন্য প্রতিনিধি হওয়া দরকার। তাই দলের কাছে আমি আশাবাদী আমাকে এ আসনে প্রার্থী দেবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ এ আসনটিতে শরিকদল নয়, দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে একাট্টা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এ ছাড়া ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) অধ্যাপক সৈয়দ হাফেজ আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট থেকে অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন মনোনয়ন চাইবেন। সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রধান শরিক বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মো: রফিক নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।


আরো সংবাদ



premium cement