২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটি সেতুর দাবি ৪০ হাজার মানুষের

একটি সেতুর দাবি ৪০ হাজার মানুষের - ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নাউলী, গাবুখালি, প্রতাপকাটি, সুবলকাঠি, কাটাখালী গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের একটি সেতুর দাবি আজও পূর্ণ হয়নি। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীর ওপর তৈরি বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে। আর পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাচ্ছেন বাজার বা উপজেলা শহরে। পাঁচ গ্রামেরর মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এতে সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের।

জানা গেছে, উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে নাউলী, গাবুখালি, প্রতাপকাটি, সুবলকাঠি, কাটাখালী গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করে । এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করে। একটি ব্রিজের অভাবে গ্রামবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন।

এলাকার বিশিষ্টজনেরা জানান, এই সাকোঁ দিয়ে পাঁচ গ্রামের মানুষ ঢাকুরিয়া বাজার, উপজেলা যাতায়াত করে। এছাড়াও গ্রামের স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে।

প্রতিদিন শত শত নারী, শিশু, পুরুষ এ সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করে। সেতু না থাকায় ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত সময় এ গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না। সেতুর অভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে। অত্র এলাকার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। যা বর্ষার সময় মানুষের দুর্ভোগ এর শেষ থাকে না।

এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।

নাউলী গ্রামের কৃষক প্রদীপ মল্লিক বলেন, ক্ষেতের ফসল হাটে (বাজারে) বিক্রি করতে (কয়েক কিলোমিটার) ঘুরে যেতে হয়। ফলে পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। গ্রামের ছেলে মেয়েরা পাশের গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয়ে যেতে হলে এই সাকোঁর বিকল্প থাকে না।

আব্দুল মতিন জানান, প্রতি বছরই সাকোঁটির বাশঁ ভেঙ্গে যায়, নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তাতে জীবনে ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই ছড়ার উপর পাকা ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

এলাকাবাসীরা জানান, গর্ভবতী মহিলাদেরকে জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে এই সাকোঁর উপড় দিয়ে হাসপাতালে আসা যাওয়া করতে হয়।

ইউপি সদস্য গৌর চন্দ্র দে বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৭ সাল থেকে মাপামাপি হচ্ছে। এখনো দৃশ্যত কিছুই হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের সময় আসলে প্রার্থীরা আশ্বাস দিয়ে থাকেন। কার্যকর এখনো পর্যন্ত তা দেখা যায়নি। বছরের পর বছর ধরে নেতাদের আশ্বাসের মধ্যে বসবাস করেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ব্রিজ নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাবনা আকারে এলজিইডি সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement