দামুড়হুদায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক আটক

রোববার সন্ধ্যায় দামুড়হুদার মজলিসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক কর্তৃক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শালিস বৈঠকে হট্টগোল হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দামুড়হুদার মজলিসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহিন আহমেদ একই স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। শনিবার রাতে পড়া শেষে সকলকে ছুটি দিয়ে চলে যেতে বলেন। পরে ওই ছাত্রীকে পর্নো ছবি দেখিয়ে ফুসলিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে অভিযোগ করেছে।

বিষয়টি ছাত্রীর বাবা স্কুল পরিচালনা কমিটিকে জানালে রোববার ঘটনাটি গোপনে মীমাংসা করতে সন্ধ্যায় স্কুলমাঠে শালিস বৈঠকে উভয় পক্ষই উপস্থিত হন। খবর পেয়ে স্থানীয় পত্রিকার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বৈঠকে পৌঁছলে সবাই তাদের দেখে রাগান্বিত হয়ে উঠেন এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন।

হামলায় সাংবাদিক রোকন আহত অবস্থায় দামুড়হুদা মডেল থানায় ফোন দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষক সাহিন আহমেদকে আটক করে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেলিম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার জন্য বাদি-বিবাদিকে নিয়ে স্কুল মাঠে বসেছিলাম।

দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালাম জানান, বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি শুকুমার বিশ্বাস জানান, উক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে ও ছাত্রীর মা বাদি হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা অভিযোগ এনে সোমবার মামলা দায়ের করেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি।