২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
অর্থনৈতিক অঞ্চলে উন্নয়ন ব্যয় বেড়ে চলা

এ প্রবণতা বন্ধে প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ

-

বাংলাদেশে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং এসব প্রকল্পের ব্যয় ধাপে ধাপে বাড়ানো এক সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে জাতীয়ভাবে আমরা বিপুল অর্থের অপচয় করে চলেছি। সেই সাথে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে কার্যত একধরনের বিশৃঙ্খলাকেই লালন করে চলেছি। গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে মাঝে মধ্যেই আলোচনা- সমালোচনা চলে। বিভিন্ন সভা সমাবেশেও এ নিয়ে চলে নানা বিতর্ক। দেয়া হচ্ছে নানা সুপারিশ ও পরামর্শ। কিন্তু এরপর ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ব্যয় স্থিতিশীল রাখার লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। নিশ্চিত করা যাচ্ছে না নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ।
নয়া দিগন্ত গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনুমোদিত তথা নির্ধারিত ব্যয়ে বেশির ভাগ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। এর ফলে প্রতি বছরই সরকারকে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম পর্যায়ের ব্যয় দু’লাফেই আকাশচুম্বী। প্রায় ৮২ কোটি টাকার অনুমোদিত ব্যয় এখন ৯০৫ কোটি ৩১ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। যেখানে প্রকল্প ৩০ মাসে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল, সেই সময় এখন আট বছরে ঠেকেছে। পাঁচ বছর চার মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি মাত্র ৩০.৩১ শতাংশ। পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে ১১টি জায়গায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে মাত্র দু’টি জায়গায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি ও প্রকল্প ব্যয় ধাপে ধাপে বাড়িয়ে নেয়ার জন্য জাতীয়ভাবে আমরা যে পরিমাণ লোকসানের মুখোমুখি, তা দেখার কি কেউ নেই?
আইএমইডির প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। তাই উন্নয়নশীল বাংলাদেশের উন্নয়নের এই গতিকে ত্বরান্বিত করতে দ্রুত শিল্পায়ন অবশ্যই জরুরি। কিন্তু উপরে উল্লিখিত তথ্য কি ত্বরান্বিত উন্নয়ন গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ৩০ মাসে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সে সময় এখন গিয়ে ঠেকেছে আট বছরে। ৮২ কোটি ব্যয়ের স্থান এখন পর্যন্ত দখল করেছে ৯০৫ কোটি টাকার অঙ্ক।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে বেজার মাধ্যমে নেয়া বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প প্রথম পর্যায় অনুমোদন করা হয়। তখন প্রকল্পের কার্যক্রম ছিল দেশের ১১টি উপজেলায় এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা। চলতি বছরের জুনের সরেজমিন তথ্য অনুযায়ী, দেশে সার্বিক সুষম উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষ্যেই এসব প্রকল্প পাঁচ বছর চার মাসে কাজের মূল্যায়নে দেখা যায়, মোংলায় ভূমি উন্নয়নসহ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। মোংলাতে ভূমি উন্নয়নের পর পিপিপি মডেল অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। মিরসরাই জোন-১ ভূমি উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজ করে পিপিপি ডেভেলপারকে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সোনাগাজী অঞ্চলে ভূমি উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। অন্য আটটি অঞ্চলে এ প্রকল্পের আওতায় কোনো কাজ হয়নি। এ দিকে, মোংলাতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এখনো হয়নি। প্রকল্পের ব্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপক বাড়িয়ে তোলার ঘটনা ঘটেছে।
আমরা মনে করি, প্রকল্প বাস্তবায়নে এই বিলম্ব ও প্রকল্প ব্যয় ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে নেয়া কোনোটাই গ্রহণযোগ্য নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ক্ষেত্রে জরুরি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু

সকল