০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সমস্যাসঙ্কুল পোশাক খাত

উত্তরণের উদ্যোগ জরুরি

-

দেশে তৈরী পোশাক খাত অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। বলা হয়, কয়েক দশক ধরে এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধানতম খাত। কিন্তু সময়ের সাথে এ খাতে সমস্যার পাহাড় জমছে। ফলে তৈরী পোশাক খাত এর সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলতে বসেছে। সমস্যাসঙ্কুল হয়ে পড়েছে এ খাত। মাঝে মধ্যে এ খাতে দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ।
গতকাল নয়া দিগন্ত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ট্র্যান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) বরাত দিয়ে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। প্রতিবেদন মতে, দেশে তৈরী পোশাক খাতের শ্রমিকের মজুরি নিয়ে মালিকপক্ষ শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়েছে। ঘোষিত নতুন কাঠামো অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও তা কার্যত বাড়েনি। বরং উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দাবি করেছে টিআইবি। টিআইবি তাদের গবেষণার সূত্রে আরো জানিয়েছে, ১২ শ’ পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় তৈরী পোশাক শিল্প খাতে প্রায় চার লাখ শ্রমিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এদের মধ্যে মাত্র চার-পাঁচ হাজার শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। অন্য দিকে বিজিএমইএ সরকারের নির্দেশনা না মেনে ইউটিলাইজেশন ডিক্লারেশন সুবিধা ২০০ নন-কমপ্লায়েন্ট কারখানায় অব্যাহত রেখেছে। আর শীর্ষ ১০০ ঋণখেলাপির তালিকায় এই খাতে ২৬ প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ঋণ ১০ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে ন্যূনতম মজুরি ২০২ ডলার বা ১৭ হাজার টাকা হওয়া উচিত। টিআইবি গত বুধবার রাজধানীতে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসব তথ্য তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনটির শিরোনাম দেয়া হয়েছেÑ ‘তৈরী পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’।
প্রতিবেদনে উল্লিখিত সমস্যাগুলো ভয়াবহ, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। যেখানে পোশাক শ্রমিকেরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে সোচ্চার, সেখানে মজুরি ২৬ শতাংশ কমিয়ে দেয়া সত্যিই উদ্বেগের বিষয়। এর ফলে এ খাতে শ্রমিক অসন্তোষ নিশ্চিতভাবেই বেড়ে যেতে পারে। কোন যুক্তিতে এভাবে শ্রমিকদের মজুরি কমে গেল বা কমিয়ে দেয়া হলো তা বোধগম্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও পক্ষগুলো এ সমস্যা দ্রুত দূর করায় জরুরি পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসবে সেটিই কাম্য।
উল্লিখিত গবেষণা প্রতিবেদনে টিআইবি এ খাতের জন্য ১২টি সুপারিশ করেছে। এ গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এপ্রিল ২০১৩ থেকে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত সময়ের তৈরী পোশাক খাতকে। বেশিসংখ্যক তৈরী পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এমন এলাকা অর্থাৎ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভার থেকে ৮০টি কারখানা এ প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
টিআইবি গবেষণায় বলা হয়েছে, উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে কারখানা সংস্কারে তহবিল গঠনের ইতিবাচক উদ্যোগ সত্ত্বেও যথাযথ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতার কারণে জাইকার তহবিল দীর্ঘ দিন ধরে কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। আবার গ্রিন ফ্যাক্টরিতে কার্যাদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বায়াররা যথাযথ মূল্য না দেয়ায় গ্রিন ফ্যাক্টরি তৈরিতে নিরুৎসাহিত হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। রিপোর্টে এ ছাড়াও দেশের তৈরী পোশাক শিল্পের নানামাত্রিক সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে এ খাতের উন্নয়নে কিছু সুপারিশ রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, এসব সমস্যা ও সুপারিশগুলো যতœসহকারে খতিয়ে দেখে এ খাতের উন্নয়নে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। বিশেষ করে মজুরি সমস্যা সম্পর্কিত অচলাবস্থা দ্রুত দূর করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
এক মাসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ চট্টগ্রাম বিমান বন্দর : ৩ কোটি টাকার সৌদি রিয়াল ও ডলার উদ্ধার ‘পাকিস্তানে ৯ মের সহিংসতায় দায়বদ্ধতার স্থান থেকে তিন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা বরখাস্ত করা হয়েছে’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ বুধবার গাজা-ইসরাইল ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের হামলা তরুণ্যেই অর্ধশতাধিক ইসলামী সঙ্গীতের রচয়িতা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের যত ভোগান্তি ইসরাইলের রাফা অভিযান : জার্মানির কড়া প্রতিক্রিয়া চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে সিএমপি ও চসিক রাফায় ইসরাইলি অভিযানে ‘আমি বিরক্ত ও ব্যথিত’ : জাতিসঙ্ঘ প্রধান ৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ

সকল