২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয় জেলায় নিহত ৭

এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনো সমাধান নয়

-

গতকালের পত্রপত্রিকার খবর : দেশের ৬ জেলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র মতে, এরা মাদক কারবারসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিল। কুষ্টিয়ার মিরপুরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন দু’জন। যশোরের মনিরামপুরে নিহত হয়েছেন সদ্য কারামুক্ত এক আসামি। পুলিশের দাবি প্রতিপক্ষের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২২ মামলার এক আসামি। কেরানীগঞ্জে নিহত হয়েছে দুই ডজন মামলার আসামি। নাটোরের বড়াইগ্রামে নিহত হয়েছে এক মাদক কারবারি। রাজশাহীর চারঘাটে পুলিশের গুলিতে আহত মাদক কারবারি আবদুল মালেক গতকাল হাসপাতালে মারা গেছে।
স্বাভাবিকভাবে দেখলে মনে হবেÑ পুলিশ সূত্র মতে, ওই সাতজনের মধ্যে কেউ মাদক কারবারি, আবার কেউ বহু মামলার আসামি। অনেকেই মনে করতে পারেন এত মামলার আসামি যারা এবং যারা মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত তাদের এভাবে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়াটাই উচিত; কিন্তু আইনের শাসনে যারা বিশ্বাসী তারা নিশ্চয়ই চাইবেন যে, যত বড় অপরাধীই হোক তাকে বিচারবহির্ভূত হত্যা করা হবে না। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিচারবহির্ভূত কোনো ব্যবস্থাই নেয়া এ ক্ষেত্রে আইনের শাসনের ব্যাঘাত ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বিবেকবান মানুষ চায় এ ধরনের তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে মানুষ হত্যা বন্ধ করা হোক। তা ছাড়া এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের একটি অপকৌশল হিসেবে ব্যবহার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু দিন আগে কক্সবাজারে পরিচালিত মাদকবিরোধী অভিযানে একজন কমিশনারকে হত্যা করার ব্যাপারে এ ধরনের জোরালো অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ঢাকায় জাতীয় প্রেস কাবে ‘ফ্যাসিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ ও জনগণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা দাবি করেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সরকার কঠোর থেকে কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সঙ্কুচিত করে রেখেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামকে পুলিশি নির্যাতন ও দলীয় বাহিনী দিয়ে আক্রমণ করে দমন করছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি বদরুদ্দিন উমরের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেনÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকরাম হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী শিরীন হক, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিনয়ন চাকমা প্রমুখ।
আমরা মনে করি, একটি দেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে না। বরং তা আরো নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি করে। তা ছাড়া এ ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের শামিল বলে সর্বমহলে স্বীকৃত। আমরা চাই সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে এ ধরনের উপলব্ধি আসুক। সে সূত্রে বন্ধ হোক এ ধরনের বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা। এর বদলে যেকোনো অপরাধীকে আনতে হবে আইনের আওতায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় গণহত্যায় জার্মানির সহায়তা, রায় ৩০ এপ্রিল কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং

সকল