২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

-

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক বছর পর আবারো পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গতকাল মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মোশারফ হোসেইন মৃধা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এর আগে তার ছেলে আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলকে গ্রেফতার করেছিল দুদক। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক রাসেল পরে জামিনে ছাড়া পান। তখন তার আরেক ছেলে আশফাক আজিজ রুবেলকেও তলব করেছিল দুদক। হাসেম ও তার দুই ছেলেকে এর আগে ২০১৪ সালে চিনি আমদানিতে দুর্নীতির একটি অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর হাসেমকে ডেকে ছয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ‘রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দখলসহ দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার’ অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে।
এ ছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্পমূল্যে পণ্য আমদানি করে নথিতে বেশি দাম দেখিয়ে তিনি শত শত কোটি টাকা বিদেশ পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং নোয়াখালী-২ (বেগমগঞ্জ-সোনাইমুড়ী) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সরকারের মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক পালাবদলের মধ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে। আরো অনেক ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদের মতো হাসেমও তখন গ্রেফতার হন।
পরের বছর জামিনে মুক্তির পর বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই ব্যবসায়ী। প্রায় আট বছর রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর ২০১৬ সালে বিএনপি মহাসচিবকে চিঠি দিয়ে তিনি পদত্যাগের কথা জানান।


আরো সংবাদ



premium cement