দেশের কোথাও নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই। বছরের পর বছর বিরোধী দলকে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান অনির্বাচিত সরকার। আমরা মনে করেছিলাম তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ ও প্রশাসন নির্বাচন কমিশনারের নিয়ন্ত্রণে নেই। তারা সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্য দলীয় নেতাকর্মী ও অস্ত্রধারীদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন যেখানে মওদুদ সেখানে প্রতিরোধ।
আমাকে গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না, কোথাও সমাবেশ দিলে সেখানে পাল্টা সমাবেশ দিচ্ছে। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৩ আসনের প্রার্থী বরকত উল্লা বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের প্রার্থী মো: শাহাজাহান, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও, নোয়াখালী-২ আসনের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নোয়াখালী-১ চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনের বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আরো বলেন, প্রতিদিন হেলমেট পরা সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী এলাকায় ঢুকে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করছে।
মওদুদ বলেন, গতকাল শনিবার জেলা শহর আসার আগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে বললাম আমি মাইজদী যাবো নিরাপত্তা দিন তিনি আমাকে বলেন, সোজা চলে যান কোথাও দাঁড়াতে পারবেন না। এ হলো নির্বাচনী এলাকার পরিবেশ প্রশাসনের আচরণ।
বরকত উল্লা বুলু ড. কামাল হোসেন ও আসম রবসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারে আজ্ঞাবহ নির্বচান কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় দলের ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করা সঠিক ছিল। মো: শাহাজাহান বলেন, কয়েক দিন আগে এওজবালিয়ায় বিএনপির উঠান বৈঠকে একদল ডাকাত ককটেল ও গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষ চলাকালে যুবলীগ কর্মী মারা যায়। তাদের হামলায় যুবলীগ কর্মী মারা গেছে অথচ এ ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জেলাপর্যায়ে প্রায় প্রথম সারির সব নেতাসহ ৩৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আর মামলার বাদি হয়েছে সন্ত্রাসী সুমন। তিনি বলেন, ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর তাহের কন্ট্রাক্টর মারা গেছে তিনিও এ মামলায় আসামি হয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলায় একেক জনের নাম দুই-তিনবার লেখা হয়েছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সাজানো মামলা দিয়ে গত ১০ দিনে ৬০ নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা