০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


থামানো যাচ্ছে না বালুদস্যুদের তাণ্ডব নাগর নদে ফের মাটি ও বালু উত্তোলন

-

উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়ন এলাকায় নাগরনদের তলদেশ থেকে ভেকু ও ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে ফের মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। ফলে এলাকার শত শত একর আবাদি জমি বসতবাড়িসহ বাঁধ হুমকির মুখে পড়লেও কোনো ক্রমেই থামানো যাচ্ছে না মাটি ও বালুদস্যুদের এই অবৈধ তাণ্ডব।
আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের আবাদি জমি ও বসতবাড়ি বন্যার গ্রাস থেকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ২০ বছর আগে নাগরনদের ধার ঘেঁষে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। এ দিকে কুন্দগ্রাম ইউনিয়নের হারভাঙ্গা, সরদারদহ, ফুলবাগিচা, কালিতলা পালংকড়ি ও চাঁপাপুর ইউনিয়নের বাঘাদহ ও জুগনিতলাসহ কয়েকটি এলাকায় রুহুল; শাহিন, রাজা, শাহজাহান, খোকনসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নাগরনদের তলদেশ থেকে শ্রমিক লাগিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে অভিনব কায়দায় বাঁধ ঘেঁষে মাটি কেটে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি করছে।
এ ছাড়া শ্যালো চালিত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালানো হচ্ছে। তারা প্রশাসনকে উপেক্ষা করে দিন-রাত নদ থেকে মাটি কেটে ও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এসব মাটি ও বালু ট্রাকে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। নদের তলদেশ থেকে গভীর পর্যন্ত মাটি খনন করায় বাঁধের পাড় দেবে ও ভেঙে পাশের কয়েকটি গ্রামের বসতবাড়ি, বাঁধ ও শত শত একর ফসলি জমি ফাটল ধরে হুমকির মুখে পড়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরঞ্জাম জব্দ করে ধ্বংস করলেও থামছে না এসব কারবার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বিষয়টি পাশ কাটিয়ে সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়ার ব্যবস্থা নিবেন।


আরো সংবাদ



premium cement