২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিআরটিসির অচল বাস সচলের চেষ্টা বগুড়ায়

-

গত ৬ বছরেও বিআরটিসির বগুড়া ডিপোতে নতুন বাস মেলেনি। ডিপোতে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা পুরনো লক্কড় ঝক্কর বাস মেরামত করে রাস্তায় নামানোর চেষ্টা চলছে। অপর দিকে বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১১টি বাস পড়ে থাকলেও তা বিক্রির কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে সরকারি মূল্যবান এ সম্পদ রোদ ও বৃষ্টিতে দিনে দিনে নষ্ট হয়ে তা ভবিষ্যতে বিক্রিরও অযোগ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি রয়েছে। এ ব্যাপারে বিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট মহলের নজর দেয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) বগুড়া ডিপো সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া ডিপোর আওতায় বগুড়ার সাথে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২০টি রুটে ৩৪টি বাস যাত্রী পরিবহন করে। দিন দিন বাসগুলো পুরনো হয়ে তা অচল হয়ে গ্যারেজে বন্ধ হয়ে পড়ছে। গত দশ বছরে বাস কমার কারণে রুট সংখ্যা অর্ধেকে নেমে গেছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এসি ও ননএসি মিলে বগুড়া ডিপোতে ১৭টি বাস বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যে বর্তমানে ছয়টি অচল হয়ে পড়ে আছে গ্যারেজে। বাকিগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। তাই অচল ১২টির মধ্যে মেরামত করে রাস্তায় নামানোর জন্য আটটির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দু’টি বাস রাস্তায় চলাচলের মতো উপযোগী হয়েছে। প্রতিটি বাস মেরামতে ৫০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে ভারত থেকে অনেক বাস আমদানি করে তা দেশের বিভিন্ন ডিপোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও বগুড়া ডিপোতে নতুন বাস বরাদ্দ দেয়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মাসের মধ্যে কিছু সংখ্যক বাস বরাদ্দ দেয়া হতে পারে।
এ দিকে অকেজো ১১টি বাস নিলামের কোনো উদ্যোগ নেই। বছরের পর বছর গ্যারেজে পড়ে থাকার কারণে এসব বাসের বডি রোদ ও বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশের অচল এসব গাড়ি নিলামের উদ্যোগ নেয়ার কথা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।
বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপো ম্যানেজার (অপারেশন) ওমর ফারুক বলেন, ডিপো গ্যারেজে অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকা বাসগুলো চলাচল উপযেগী করে রাস্তায় নামানো হবে এবং যেগুলো সচল হবে না সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নিলামে বিক্রির নিয়ম রয়েছে। যাত্রীসেবা বাড়ানোর জন্যই ক্রটিপূর্ণ বাস মেরামত করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement