২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কটিয়াদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৬ মাস বেতন পাচ্ছেন না

-

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার ৮১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনভাতা প্রায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। বেতনভাতা না পাওয়ায় নাগরিক সেবায় নিয়োজিত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বিষয়টি নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত কটিয়াদী পৌরসভায় কর্মরত স্থায়ী ৩৬ জন এবং চুক্তিভিত্তিক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী ৪৫ জনসহ ৮১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। ২০১৮ নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পযর্ন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬ মাসের টাকা পাওনা রয়েছে পৌরসভার কাছে। বর্তমানে দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা হলেও তুলনামূলকভাবে পৌরসভায় আয়ের পরিধি না বাড়ায় এবং রাজস্ব আয় সঙ্কটের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারী, মেয়রসহ কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময় মতো বেতন পাচ্ছেন না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করায় নাগরিক সেবা দেয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কটিয়াদী পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও কর আদায়কারী সালাহ উদ্দিন পরিবার-পরিজনের কষ্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, ছয় মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় পাঁচ সদদ্যের পরিবার নিয়ে টানাপড়েন চলছে।
কটিয়াদী পৌর চতুর্থ শ্রেণী সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৬ মাস ধরে বেতনভাতা পাই না। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি’।
কটিয়াদী পৌরসভা সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও অফিস সহকারী কোহিনূর বেগম বেতনভাতা না পেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে অফিস করি। কিন্তু মাস শেষে কোনো বেতন পাই না। এতে আমাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ভীষণ বিপাকে আছি।
এদিকে কটিয়াদী পৌরসভার সচিব আলমগীর বেতনভাতা বকেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৩ থেকে ৪ মাসের বেতন পাবে। রাজস্ব আয় অনুযায়ী ব্যয় বেশি হওয়ায় তাদের বেতনভাতা নিয়মিত প্রদান করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
কটিয়াদী পৌরসভার মেয়র শওকত উসমান বলেন, পৌরসভার আয় থেকে বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় মাসের বেতন বকেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করব তাদের এক মাসের বেতন প্রদান করার।

 


আরো সংবাদ



premium cement