২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফরিদপুরে অপারেশনের ছয় মাস পরে বের করা হলো গজ

-

সিজার অপারেশন হওয়ার ছয় মাস পরে পেট থেকে বের হলো গজ ব্যান্ডেজ। ছয় মাস আগে সিজারিয়ান অপারেশন করে পেটে গজ ব্যান্ডেজ রেখেই সেলাই করে দিয়েছিল ডাক্তার। এরপরেও পেটের ব্যথা না কমায় ছয় মাস ধরে বিভিন্ন হাসপাতাল আর ডাক্তার ঘুরে ফরিদপুরে এসে ধরা পড়ে বিষয়টি। এরপর পুনরায় অপারেশন করে তার পেটের গজ ব্যান্ডেজ বের করা হলেও সঙ্কট কাটেনি। ওই প্রসূতির পেটের ভেতরে পচন ধরায় চিকিৎসকেরা তার সুস্থতার বিষয়ে এখনই কিছুই বলতে পারছেন না। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই প্রসূতি।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সোফিয়া বেগম (৪০)। তিনি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার শিকার মঙ্গল ইউনিয়নের চরফতেবাহাদুর গ্রামের তোতা হাওলাদারের স্ত্রী। সোফিয়ার আগেও দু’টি বাচ্চা আছে যা স্বাভাবিকভাবে প্রসব করেছেন। তৃতীয় সন্তান প্রসবের সময় সিজার করা হয় তার পেটে।
সোফিয়ার স্বামী তোতা হাওলাদার জানান, ছয় মাস আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মাদারীপুরের নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি করান স্ত্রীকে। সেখানকার ডাক্তার রুনিয়া নামে একজন চিকিৎসক তাকে দেখে বলেন জরুরি সিজার করতে হবে। ডাক্তারের কথা শুনে সিজারে রাজি হলে সেদিনই সিজার করে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে সোফিয়ার পেটে ব্যথা হতে থাকে। প্রায় ১৫ দিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফেরার পর অপারেশনের ক্ষত থেকে পুঁজ বের হতে থাকে। আবারো ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পেটে প্রথমে ইনফেকশন পরে টিউমারের কথা বলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন।
তোতা হাওলাদার জানান, এরপরেও তার স্ত্রী সুস্থ না হওয়ায় মাদারীপুরেই অন্য এক গাইনি চিকিৎসককে দেখান ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। তারপর যান ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে। এরপর বরিশাল হাসপাতালে। কিন্তু কোথাও স্ত্রীর রোগ ধরতে পারেনি, সুস্থও হননি। এরপর গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার পেটে অপারেশন করে ছয় মাস আগের অপারেশনের গজ বের করা হয়।
বেসরকারি ওই হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা: ফজলুল হক বলেন, ওই নারীর পেট থেকে পুঁজ আর তীব্র দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। অপারেশন করে তার পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ বের করা হয়েছে। রোগীর পেটের ভেতরে নাড়িতে পচন ধরেছে। তার অবস্থা এখন খুবই ক্রিটিক্যাল।


আরো সংবাদ



premium cement