৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নানা সমস্যায় রাবির শামসুজ্জোহা হল ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

-

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ শামসুজ্জোহা আবাসিক হলে বিরাজ করছে নানা সমস্যা। বিশেষ করে ভবনের বিভিন্ন রুমের ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়া, বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কট, মানসম্মত খাবার না দেয়া, গতিবিহীন ইন্টারনেট সংযোগ, ভালো মানের রিডিং রুমের ব্যবস্থা না থাকাসহ হলটির বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। হল কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবেই শিক্ষার্থীরা এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে হল কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, শিক্ষার্থীরা কোনো সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে গেলে তা সমাধান করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলের বেশ কয়েকটি কক্ষও ওয়াশরুমের ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ছে। কিছু জায়গায় পলেস্তরা খসে পড়ে ইট-সুরকি ও রড বেরিয়ে গেছে। বেশ কিছু স্থানে ফাটল ধরেছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকবার অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। শুধু পলেস্তরা খসে পড়া নয়, হলে বিভিন্ন সমস্যাও রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিল্টার ব্যবস্থা থাকলেও এই হলে পর্যাপ্ত টিউবওয়েলও নেই। হলে মাত্র তিনটি টিউবওয়েল রয়েছে। যে টিউবয়েলগুলো আছে সেগুলো থেকে ছোট ছোট পাথরের টুকরাও পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ফলে বিশুদ্ধ পানির জন্য শিক্ষার্থীদের রীতিমতো ভোগান্তি পোহাতে হয়।
বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলের তুলনায় এই হলের খাবারের মান অনেক নি¤œমানের। আর ডাইনিংয়ে রাত ৮টার পরে আর খাবার পাওয়া যায় না। ফলে যারা টিউশনিসহ বিভিন্ন কাজ সেরে একটু রাতে রুমে ফেরেন তাদের খাবারের জন্য ছুটতে হয় অন্য কোথাও, কেউবা আবার রান্না করেও খান। এতে একদিকে সময় অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে পড়ালেখারও ক্ষতি হচ্ছে।’
শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ রাউটার প্রয়োজন তার ব্যবস্থা নেই। ফলে অনেক রুম ইন্টারনেটের আওতায় আসে না। আর যে রাউটারগুলো আছে তা অনেক সময় কানেক্ট হয় না। ফলে ধীর গতির নেটের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার ভালো রিডিংরুমের ব্যবস্থাও নেই। ছোট একটা রিডিংরুম আছে যেখানে অল্প সংখ্যক বেঞ্চ আর তিনটা টেবিল রয়েছে। ফলে অনেকে চাইলেও রিডিংরুমে পড়তে যেতে পারেন না।
সার্বিক বিষয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েন বলেন, শিক্ষার্থীরা যখনই কোনো সমস্যা বা অভিযোগ নিয়ে আসে তা আমরা দ্রুতই সমাধানের চেষ্টা করি। তবে তারা যেসব অভিযোগ করছে তার সবগুলোর সত্যতা নেই। যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা অতিদ্রুত সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও জানান তিনি। এরই মধ্যে রিডিংরুম সম্প্রসারণ, হলের ইন্টারনেট সংযোগের জন্য টেন্ডার পাস হয়েছে। আগামী মাস থেকে কাজ শুরু হবে। হলের ছাদ থেকে পলেস্তরা খসে পড়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি প্রকৌশল দফতরে জানিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ফলে হলে কাজ করতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement