ট্রাম্প হারলে মার্কিন গণতন্ত্রের পতন ঘটবে!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি হেরে গেলে আমেরিকায় কী কী হতে পারে, এখন থেকেই সেই ভবিষ্যদ্বাণী করে রাখলেন ট্রাম্প। হুঁশিয়ারি দিলেন, তিনি নির্বাচনে হেরে গেলে আমেরিকায় রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। ভেঙে পড়বে গণতন্ত্র। ট্রাম্পের এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

রিপাবলিকান এক প্রার্থীর সমর্থনে ভোট চাইতে ওহায়োতে একটি মিছিলের আয়োজন করেছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই ভাষণ দেয়ার সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন। চীনের সাথে আমেরিকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘শি জিনপিং, আপনি আমেরিকায় যে গাড়িগুলো বানাচ্ছেন, আমরা তার উপর ১০০ শতাংশ কর প্রয়োগ করব। আমাদের এখানে গাড়ি বানিয়ে এখানেই বিক্রি করবেন, তা হতে দেব না। তবে যদি এখানে আমি নির্বাচিত না হই, চারদিকে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। আমি যদি ভোটে না জিতি, হয়তো আমেরিকা আর কখনো কোনো নির্বাচন দেখতে পাবে না।’

ট্রাম্পের বেফাঁস মন্তব্যের পর পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তার মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানান, জো বাইডেনের নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক দিক থেকে রক্তের বইয়ে দিয়েছে। ট্রাম্প তা-ই বলতে চেয়েছেন।

ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বাইডেন। তার দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতিহিংসাপরায়ণতা, সংহিসতার প্রতি আগ্রহ এবং চরমপন্থী আগ্রাসী নীতিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বাইডেনের মুখপাত্র একটি সভায় বলেন, ‘এটাই ট্রাম্পের আসল রূপ। তিনি ৭০ লাখের বেশি ভোটে হেরে যাওয়ার পর ভুল শুধরে নেয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক সহিংসতার হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেন।'

২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ট্রাম্প। তাকে হারিয়ে ২০২১ সালে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট পদে বসেন বাইডেন। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এবং তার পরও একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছেন ট্রাম্প। তার বিভিন্ন নীতির সমালোচনা হয়েছে নানা মহলে। ২০২৪-এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার বাইডেনের বিপরীতে তাকে দেখা যেতে পারে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা