২১ মে ২০২৪, ০৭ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলকদ ১৪৪৫
`


কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক গ্রেফতারের পর ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশ প্রহরার আহ্বান প্রেসিডেন্টের

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক গ্রেফতারের পর ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশ প্রহরার আহ্বান প্রেসিডেন্টের - সূত্র : আল-জাজিরা

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যাপক গ্রেফতার অভিযানের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোচে ১৭ মে পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশের শত শত সদস্য মঙ্গলবার রাতে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছে। গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলন দমাতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ গ্রেফতার অভিযানের পর কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনোচে বলেছেন, ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীরা যাতে আন্দোলন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশকে ১৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকতে বলা হয়েছে।

এর আগে ১৮ এপ্রিল পুলিশ কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লনে প্রতিষ্ঠিত গাজা সলিডারিটি ক্যাম্প ভেঙ্গে দেয় পুলিশ এবং সেখান থেকে ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ আন্দোলন মার্কিন অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্সাহিত করেছিল।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানায়, তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাসপেন্ড করার কাজ শুরু করেছে।

পুলিশ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সময় জানায়, আমরা সবকিছু পরিষ্কার করছি।

কলম্বিয়া স্টুডেন্টস ফর জাস্টিজ ইন প্যালেস্টাইন এক এক্স পোস্টে জানায়, পুলিশ অফিসাররা 'দাঙ্গার সরঞ্জাম পরেছে, কয়েকটি ব্যারিকেড সরিয়ে ফেলেছে।'

তবে পুলিশের উপস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা 'স্বাধীন, স্বাধীন, স্বাধীন ফিলিস্তিন' ধ্বনি দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনীতিবিদ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ নামানোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। তারা ক্যাম্পাসকে 'সামরিকরণের' নিন্দা জানিয়েছেন।

এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, আন্তর্জাতিক আদালতের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ হামলায় কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৪৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরো প্রায় ৭৭ হাজার ৫৭৫ জন।

গাজার উপর ইসরাইলি এ আগ্রাসনের কারণে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সঙ্কটের মধ্যে ভূখণ্ডের প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসঙ্ঘের মতে, এ হামলায় ছিটমহলের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement