যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাবিদদের একটি প্রচারণার পর জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর থেকে নতুন অর্থায়নের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
সোমবার কর্তৃপক্ষ এ কথা নিশ্চিত করেছে।
গত বছর জাতিসঙ্ঘের সাবেক জলবায়ু পরিবর্তন দূত নাইজেল টপিংয়ের একটি প্রতিবেদনের সুপারিশ পর্যালোচনা না হওয়া পর্যন্ত তহবিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কেমব্রিজ শুক্রবার বলেছে, শূণ্য কার্বন বিশ্বে রূপান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রতিশ্রুতির বিষয়ে স্থগিতাদেশ গৃহীত হয়েছে।
টপিংয়ের রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়টি শিল্প অংশীদারদের কাছ থেকে তুলনামূলকভাবে কম অনুদান পায়, যা সমস্ত গবেষণা বা জনহিতৈষী তহবিলের পাঁচ দশমিক এক শতাংশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত ছয় বছরে গড়ে প্রতিবছর ৩৩ লাখ জীবাশ্ম জ্বালানি তহবিল গবেষণা বা জনহিতৈষী তহবিলের শূণ্য দশমিক চার শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয়ের শূণ্য দশমিক এক শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তটি প্রথম সোমবার ‘ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস’ রিপোর্ট করেছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৬ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে তেল জায়ান্ট বিপি এবং শেল থেকে ১৯ দশমিক সাত মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৩৮ সালের মধ্যে নেট-শূণ্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিতে সমস্ত প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ বিনিয়োগ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছে।
টপিংয়ের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় জলবায়ু জরুরি অবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।’
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা