২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রিটেনের রাজ পরিবারে বর্ণ বিদ্বেষ, মুখ খুললেন রাণী

ব্রিটেনের রাজ পরিবারে বর্ণ বিদ্বেষ, মুখ খুললেন রাণী - ছবি : সংগৃহীত

হ্যারি-মেগানকে বর্ণ বিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল! তাও রাজপরিবারের অন্দরে! এমনকি প্রথম সন্তান ধারণ করার পর আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন মেগান? রাজপরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসা দুই অন্যতম সদস্যের সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ডায়ানার সন্তান বলেই কি হ্যারিকে এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে? শুধু বিষয়টি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্দরেও। যা নিয়ে এবার নীরবতা ভাঙল বাকিংহাম প্যালেস।

কুইন এলিজাবেথ দ্য সেকেন্ডের তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে একান্তে সমস্যা মেটানোর কথা বলল বাকিংহাম। মঙ্গলবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের তরফ থেকে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিগত বছরগুলিতে প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের জীবনে যে চরম দুঃসময় নেমে এসেছিল, সে কথা জানতে পেরে অত্যন্ত দুঃখিত রানি সহ গোটা পরিবার। বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হবে, এ কথাও স্পষ্ট জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। তবে যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক, তাই গোপনেই সমস্যার সমাধান করা হবে, জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। হ্যারি ও মেগানের যাবতীয় অভিযোগ অনুযোগকে মান্যতা দেয়ার পাশাপাশি প্রিন্স, ডাচেস অফ সাসেক্স এবং তাদের সন্তান আর্চি যে রাজপরিবারের অত্যন্ত প্রিয়, সে কথাও জানানো হয় এদিন।

আলো, হিরে, সম্পদে মোড়া আলোর প্রাসাদে কালোর কোনো জায়গা নেই, নারী দিবসের দিন ব্রিটেন রাজ পরিবারের পুত্রবধূ মেগান মার্কেল এমনটাই জানিয়েছিলেন। তার কথায়, ‘আমার গায়ের রং কালো। সেক্ষেত্রে আমার সন্তান হলে তাদের গায়ের রং কতটা কালো হবে তা নিয়ে দিনরাত আলোচনা চলত রাজপ্রাসাদে।’

বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে এর আগে সরব হয়েছেন বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্দরমহলেও গায়ের রং নিয়ে এই বাছবিচারে অবাক গোটা বিশ্ব। মেগানের দাবি, গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন তার স্বামী তথা ব্রিটিশ রাজকুমার হ্যারিকে ডেকে বলা হয়েছিল, যদি তাঁদের ছেলের গায়ের রং কালো হয়, তাহলে তাকে রাজকুমার বলে মেনে নেওয়া হবে না। ‘রাজপরিবারের বড় ঘরে এই নিম্ন আলোচনার মধ্যে মাঝে মাঝে আত্মহত্যার কথাও মনে হত’, বিস্ফোরক মেগান। উল্লেখ্য, অফ দ্য রেকর্ডে হ্যারি নাকি জানিয়েছিলেন, তার দিদা (কুইন এলিজাবেথ দ্য সেকেন্ড) বা দাদু (প্রিন্স ফিলিপ)-র কোনো ভূমিকা ছিল না গোটা বিষয়টিতে।

প্রসঙ্গত, মেগানের বাবা শেতাঙ্গ হলেও মা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। আর মায়ের গায়ের রং পেয়েছেন মেগান। ব্রিটিশ রাজপরিবার তাকে বাড়ির অন্দরমহলে সাদরে গ্রহণ করেছিল। হ্যারি-মেগানের বিয়ে ছিল চোখ ধাঁধানো। কিন্তু নববধূর গায়ের রং নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল না রাজপরিবার, জানিয়েছেন মেগান। তিনি আরো বলেন, এই যাবতীয় সমস্যার সমাধানের জন্য রাজপরিবারের অন্যতম প্রবীণ এবং ক্ষমতাশালী মানুষের কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনিও মেগানের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি।


আরো সংবাদ



premium cement