০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা ভাবছে এরদোগানের দল

স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যা ভাবছে এরদোগানের দল - সংগৃহীত

তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (এ কে পার্টি) গত রোববার অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে। গতকাল দলটির ডেপুটি চেয়ারম্যান নূমান কুরুতুলুস এ কথা জানিয়েছেন। নির্বাচনে এ কে পার্টি ব্যাপক বিজয় পেলেও রাজধানী আঙ্কারা ও অন্যতম প্রধান শহর ইস্তাম্বুলে হেরে গেছে বলে খবরে বলা হযেছে।

প্রাথমিক ফলাফলের বিষয়ে তিনি সোমবার বার্তা সংস্থা সিএনএন তুর্ককে বলেছেন, ‘কেন এটি হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ভোটাররা অস্তিত্বের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেছিলেন। অর্থনৈতিক বিষয়টিও ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বিশ্বাস করেন না যে, এ কে পার্টি স্বাভাবিকের তুলনায় সর্বশেষ নির্বাচনে অর্থনৈতিক কারণে কম সফল হয়েছে। তার দল নির্বাচনের আপত্তি জানানোর বিষয় পর্যালোচনা করছে।

তিনি বলেন, ‘প্রায় তিন লাখ বাতিল ভোট রয়েছে। কিছু জেলায় এর পরিমাণ আরো বেশি। আমাদের প্রতিষ্ঠান আপত্তি জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টিও (সিএইচপি) এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে।’ নতুন করে গণনা করা হলে ফলাফল পাল্টে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, বিরোধী দল সিএইচপি তুরস্কের বৃহত্তম তিনটি শহর আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল ও ইজমির পাশাপাশি বিলেসিক, বলু ও কিশেহিরের কেন্দ্রীয় আনাতোলিয়ান প্রদেশগুলোতে মেয়র পদে জিতেছে, যা এর আগে এ কে পার্টির হাতে ছিল।

এদিকে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের এ কে পার্টি তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুলে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারে এমন গুরুতর অনিয়ম প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা দিয়েছে। দলটির প্রাদেশিক চেয়ারম্যান বায়রাম সেনোকাক বলেছেন, নির্বাচনী বোর্ডের ঘোষিত ফলাফল অপ্রাসঙ্গিক। ২৫ হাজার ভোট নিয়ে প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির আকরাম ইমামওগলু এগিয়ে রয়েছেন। একে পার্টির প্রার্থী বিনালি ইলদিরিমের ভোটের কিছু ব্যালট ভুলভাবে রেকর্ড করা হয়েছে যেন তারা সিএইচপির প্রার্থী ইমামওগলুকে ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে পারে এমন গুরুতর কিছু অনিয়ম রয়েছে। এ কে পার্টি এগুলো প্রমাণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে, বাতিল ভোটগুলো ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে।

এবারে অনুষ্ঠিত ৩০টি প্রধান শহর, ৫১টি প্রাদেশিক রাজধানী ও ৯২২টি জেলার মেয়র নির্বাচনে ভোটার ছিল পাঁচ কোটি ৭০ লাখ। বড় শহরগুলোতে ভোটররা মহানগর মেয়র, জেলা মেয়র, পৌর পরিষদ ও একটি আশপাশের প্রশাসকের জন্য ভোট দিয়েছেন। বড় শহরে বিপর্যয় সত্ত্বেও রজব তাইয়্যিপ এরদোগানের ক্ষমতাসীন দল এবং তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী দল দেশটির অর্ধেকেরও বেশি শহরে জয়লাভ করেছে। বিরোধী দল পেয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ ভোট। কিন্তু বড় বড় শহরে এরদাগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির পরাজয়ে দলটির গায়ে বড় ধরনের ঝাঁকুনি লেগেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

সূত্র : ডেইলি সাবাহ


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা-ইসরাইল ক্রসিংয়ে ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের হামলা তরুণ্যেই অর্ধশতাধিক ইসলামী সঙ্গীতের রচয়িতা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের যত ভোগান্তি ইসরাইলের রাফা অভিযান : জার্মানির কড়া প্রতিক্রিয়া চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে একসাথে কাজ করবে সিএমপি ও চসিক রাফায় ইসরাইলি অভিযানে ‘আমি বিরক্ত ও ব্যথিত’ : জাতিসঙ্ঘ প্রধান ৩ দিনের সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে তুরস্ক নৌবাহিনীর জাহাজ আশুলিয়ায় ৫ টাকার উন্মুক্ত কবরস্থান উদ্বোধন গাবতলী বাস টার্মিনাল হবে মাল্টিমোডাল স্টেশন রাবিতে ছাত্রদল নেতাকে হলরুমে আটকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে খুলনার পিপির আইন পেশা পরিচালনার ওপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা

সকল