২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৩৫তম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে ইতিহাস জোকারের

৩৫তম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠে ইতিহাস জোকারের - ছবি : সংগৃহীত

রজার ফেডেরারের রেকর্ড ছোঁয়ার অপেক্ষা! আর এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে নোভক জোকোভিচ। ঘাসের কোর্টে ফেডেক্সের নজির স্পর্শ করে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মহাকাব্যে বলিষ্ঠ অক্ষরে নিজের নাম লিখে ফেলবেন- তা মনে হচ্ছে নিশ্চিতই। ইতিমধ্যে রাফায়েল নাদালকে ছাপিয়ে সর্বোচ্চ (২৩টি) গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের নজির গড়ে ফেলেছেন। এবার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি ফেডেক্সের আটবার এই ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডকেও স্পর্শ করতে যাচ্ছেন। সেইসাথে ২৪তম গ্র্যান্ডস্লাম জিতে ইতিহাস গড়তে জোকার।

শুক্রবার কার্যত একপেশে লড়াইয়ে অষ্টম বাছাই ইয়ানিক সিনারকে উড়িয়ে উইম্বলডনের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন জোকোভিচ। শুক্রবার সেন্টার কোর্টে সেমিফাইনালে ম্যাচে সিনারকে ৬-৩, ৬-৪, ৭-৬ গেমে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন জোকোর। এই নিয়ে ঘাসের কোর্টে টানা ৩৪টি ম্যাচ জিতলেন সার্বিয়ার তারকা। পাশাপাশি ৩৬ বছরের তারকা এই নিয়ে রেকর্ড ৩৫তম গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠলেন। তিনি ছাপিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিস এভার্টকে। এভার্ট ৩৪টি গ্র্যান্ড স্লামে ফাইনাল খেলেছেন।

বয়স বাড়লেও খিদেটা এতটুকু কমেনি জোকোভিচের। উউম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে যদি দেখা যায়, তবে জোকোভিচের পরিসংখ্যান কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। ফাইনাল পর্যন্ত ২০২৩ উইম্বলডন সফরে মাত্র দু’টি সেট খুইয়েছেন জোকার। শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনাল ম্যাচে সিনারের মতো তরুণ উঠতি প্রতিভাকে যে একপেশেভাবে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠবেন জোকোভিচ, সেটা অনেকেই হয়তো ভাবেননি। কিন্তু জোকারের সামনে এদিন যেন গুটিয়ে গেলেন সিনার। সে ভাবে প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। শেষ সেটে কিছুটা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু প্রথম দু'টি সেট তো হাসতে হাসতে জিতলেন জোকোভিচ।

প্রথম সেটে সিনারকে ৬–৩ গেমে উড়িয়ে দেন সার্বিয়ার তারকা। প্রথম সেটের প্রথম গেমেই জোকোভিচের সার্ভিস ব্রেক করতে পারতেন সিনার। ০-৩০ পিছিয়ে থাকা অবস্থাতেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন সিনার। দু’টি ব্রেক পয়েন্ট পেয়েছিলেন। কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি। এর পর আর সুযোগ দেননি জোকার। প্রথম গেম জিতে নেন তিনি। পরের গেমে জোকারই সার্ভিস ব্রেক করেন সিনারের। এর পর আর কেউ কারো সার্ভিস ব্রেক করতে পারেনি। যে যার সার্ভিস ধরে রাখায় প্রথম সেট পকেটে পোড়ে জোকোভিচ।

দ্বিতীয় সেটে আবার নাটকীয় মোড় দেখা যায়। প্রথম দু'টি গেমে যে যার সার্ভিস ধরে রাখে। কিন্তু তৃতীয় গেমে সিনারের ভুলের সুযোগ নিয়েই তার সার্ভিস ব্রেক করেন জোকার। প্রথম দু'বার সিনার ব্রেক পয়েন্ট বাঁচালেও, তৃতীয় বার আর পারেননি। কিন্তু চতুর্থ গেমে হঠাৎই জোকোভিচের বিরুদ্ধে আম্পায়ার খেলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ আনেন। যার ফলে তাকে সতর্ক করার পাশাপাশি সিনারকে এক পয়েন্ট দিয়ে দেন। এই নিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় জোকোভিচের। কিন্তু এত কিছুর পরেও চতুর্থ গেম জিতে ৩-১ এগিয়ে যান জোকোভিচ। পরে সেটটি তিনি ৬-৪ জিতে নেন।

হারের মুখে দাঁড়িয়ে তৃতীয় সেটে কিছুটা লড়াইয়ে ফেরেন সিনার। এ কারণে এই সেটটি টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়ায়। এই সেটে একটা সময়ে ফল ছিল ৫-৪। আর সিনার এগিয়ে গিয়েছিলেন ৪০-৩০-এ। সেখান থেকে সেট জিততে পারেননি তিনি। আটকাতে পারেননি হার। বরং দু'টি সেট পয়েন্ট বাঁচিয়ে দেন জোকোভিচ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় তুলে নিয়ে শেষ হাসি হাসেন সার্বিয়ার তারকাই। এবার ফাইনাল জিতলে উইম্বলডন জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলবেন জোকোভিচ।


আরো সংবাদ



premium cement