৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক

‘আফগানিস্তানকে ত্যাগে মানবিক সংকট সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে’

যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক - ছবি : টুইটার

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, বিশ্বের উচিত হবে না আফগানিস্তানকে ত্যাগ করা। আফগানিস্তানকে ত্যাগে দেশটিতে মানবিক সংকট জোরদারের ঝুঁকি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে এক সাইডলাইন বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণের পর মার্কিন প্রশাসন ও পাকিস্তানের ইমরান খান প্রশাসনের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে এটিই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।

এদিকে বৈঠকের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে তারা দুই দেশের একত্রে কাজের গুরুত্বের সাথে সাথে আফগানিস্তান ও আফগানিস্তানের উন্নতি বিষয়ে আলোচনা করবেন।

অপরদিকে শুক্রবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সাথে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের নেয়ার পর দেশটিতে ‘নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা’ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, কুরেশি ব্লিনকেনকে বলেন, ‘তালেবানের যেমন তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করা উচিত, তেমনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে আফগানিস্তানে বাড়তে থাকা মানবিক সংকট মোকাবিলায় আফগান জনগণকে সহায়তা করা।’

বিবৃতিতে বলা হয়, আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার মতো ভুল বিশ্ব আর করবে না বলে আশা করেন কুরেশি।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবানের প্রথম শাসনের মেয়াদে পাকিস্তানসহ মাত্র তিনটি দেশ আফগানিস্তানের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো।

২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন আগ্রাসনের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান।

দীর্ঘ ২০ বছর যুদ্ধের পর ২০২০ সালে দোহা চুক্তির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। চুক্তি অনুযায়ী আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সরকারের সাথে তালেবান সমঝোতার চেষ্টা করলেও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় একে একে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে তালেবান যোদ্ধারা।

১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুল পৌঁছালে সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি আফগানিস্তান ছেড়ে পালান। এতে সরকার কাঠামো ভেঙে পড়লে কাবুলে প্রবেশ করে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

এই মাসের শুরুর দিকে দলটি একটি অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা দেয়। তবে এখনো কোনো দেশই তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেয়নি।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সহায়তাহীন অবস্থায় আফগানিস্তানে গুরুতর মানবিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে শংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement