২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হিন্দু ভোট পেতে মমতার ‘নরম হিন্দুত্ব’!

হিন্দু-ভোট পেতে প্রচারের শেষলগ্নে নিজের গোত্রের পরিচয়ও জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। - ছবি : সংগৃহীত

নন্দীগ্রামে কঠিন লড়াইয়ে ‘নরম হিন্দুত্ব’র পথ বেছে নিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। হিন্দু-ভোট পেতে তিনি প্রচারের শেষলগ্নে নিজের গোত্রের পরিচয়ও জানিয়েছেন।

এর আগে জনসভায় চণ্ডীপাঠ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। একের পর এক মন্দির দর্শন করেছেন। প্রচার শেষ হওয়ার আগে জনসভায় নিজের গোত্রের পরিচয়ও জানিয়ে দিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, তার গোত্র হলো শাণ্ডিল্য।

সহজ কথায়, হিন্দুদের ক্ষেত্রে গোত্র মানে কোন ঋষির বংশধর সেটা জানা। মন্দিরে পূজা দিতে গেলে সাথে গোত্রের নাম দিতে হয়। এটা হলো সনাতন হিন্দুদের প্রথা। অভিযোগ, মমতা তার শাণ্ডিল্য গোত্রের উল্লেখ করে নিজের ব্রাক্ষ্মণ পরিচয় স্পষ্ট করতে চেয়েছেন।

নন্দীগ্রাম নিয়ে ভোটের প্রতিবেদনে ডয়চে ভেলে আগেই জানিয়েছিল, সেখানে এবার মেরুকরণ, বিভাজন প্রায় সম্পূর্ণ। একসময় যে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের সময় হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছিল, সেখানেই এখন তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে সমানে অভিযোগ করছে। নন্দীগ্রামে একটু ঘুরলেই বোঝা যাবে এ বাস্তব পরিস্থিতির কথা। নন্দীগ্রামে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট। বাকিটা মূলত হিন্দু। এ বিভাজনের আবহাওয়া মমতা বুঝতে পারছেন। তাই যেটা তিনি অন্যত্র করছেন না, ওই চণ্ডীপাঠ, মন্দির দর্শন, গোত্র বলার কাজটা নন্দীগ্রামে করছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবেই হিন্দুদের মন পেতে চাইছেন তিনি।

নন্দীগ্রামের জনসভায় তিনি মঙ্গলবার বলেছেন, ‘আমি ত্রিপুরায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিতে গেছিলাম। আমাকে পুরোহিত মহাশয় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, মা, তোমার গোত্রটা কী? আমি বলে ফেলেছিলাম, মা মাটি মানুষ গোত্র। আজকেও যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি বললাম, আমার একটা পার্সোনাল গোত্র আছে, সেটা শাণ্ডিল্য। কিন্তু আমি মনে করি, আমার গোত্র হলো মা মাটি মানুষ।’

রাহুল গান্ধী গত লোকসভা নির্বাচনের সময় এ কাজটাই করেছিলেন। তিনি পুস্করের মন্দিরে পূজা দিয়েছিলেন। পরে পুরোহিত জানিয়েছিলেন, রাহুল জানিয়েছেন, তার গোত্র হলো ভরদ্বাজ। তিনি কাশ্মিরের কল ব্রাক্ষ্মণ। নরম হিন্দুত্বের লাইন নিয়ে নিজেকে হিন্দু ব্রাক্ষ্মণ প্রমাণ করে রাহুলের কোনো রাজনৈতিক লাভ হয়নি। মমতার হবে কি না, তা ভোটের ফল বলবে। কিন্তু তার আগে বিরোধী রাজনীতিকরা তার প্রবল সমালোচনা করেছেন।

বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেছেন, ‘বোঝা যাচ্ছে, মমতাদিদি ভয় পেয়েছেন। তিনি হারতে চলেছেন। তাই এখন গোত্রের কথা বলছেন।’

এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসির মতে, ‘আমার মতো মানুষের তাহলে কী হবে? আমি শাণ্ডিল্য গোত্রের নই, আমার পৈতেও নেই। কোনো একজন দেবতার ভক্ত নই। চালিশা বা কোনো পাঠ করি না। প্রত্যেকটা দলই মনে করে, তার হিন্দু পরিচয়টা জানাতে হবে। এটা নীতিহীন ও অপমানকর। এ নীতি কাজে আসবে না।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
মাদারীপুরে মাহিন্দ্র উল্টে চালকসহ নিহত ২ জর্ডান ও ইসরাইল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবার আগে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের মার্কিন ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার ৯০০ নির্বাচনের আগে ‘সিএএ’ চালু করে ভোট টানার কৌশল ব্যর্থ বিজেপির ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ পালনের আহ্বান কানাডায় বেকারত্ব বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে রাফাতে ইসরাইলি হামলায় এক পরিবারের ৯ সদস্য নিহত আজ ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতারের মধ্যেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত হলান্ডের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ম্যানসিটির জয়

সকল