৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্বর্ণালঙ্কার নয়, বিয়েতে ১ লাখ টাকার বই চান পাকিস্তানি লেখিকা

স্বর্ণালঙ্কার নয়, বিয়েতে ১ লাখ টাকার বই চান পাকিস্তানি লেখিকা -

খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর পূর্বের শহর মার্দানের এক তরুণী তার হবু স্বামীর কাছে তাদের বিয়ের জন্য এক অদ্ভূত শর্ত রেখেছেন।

পাকিস্তানের এ অঞ্চলের বিয়েতে নববধূকে যে আবশ্যক যৌতুক দিতে হয় তা ‘হক মেহের’ নামে পরিচিত। এ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, গৃহস্থালি সামগ্রী, ফার্নিচার বা অন্য কোনো সম্পদ আকারে দিতে হয়। 

এ ‘হক মেহেরের’ ওপর একমাত্র মেয়েদেরই অধিকার আছে। ইসলামী আইন ও প্রথা অনুসারে এটি অবশ্যই দিতে হয়।

মার্দানের নায়লা সামাল একজন তরুণ লেখক যিনি আরেক লেখককে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তিনি প্রথাগত চাহিদা অনুসারে স্বর্ণ, টাকা অথবা সম্পদ চাচ্ছেন না। তিনি এমন কিছু চাচ্ছেন যা এসব বস্তুগত সম্পদ থেকেও বেশি মূল্যবান। তিনি এক লাখ টাকার বই চেয়েছেন।

একটি রেকর্ড করা ভিডিওতে তরুণীকে বিয়ের সাজে চমৎকার সুন্দর দেখাচ্ছিল। তিনি সোফার ওপর বসে ছিলেন তার পিছনে ছিল বুক সেলফ। ওই ভিডিও বার্তায় তিনি ব্যাখা করেছেন তিনি কেন এমন অদ্ভূত ‘হক মেহের’ চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ সময়ে হক মেহেরের দামি জিনিসপত্র সংগ্রহ করা সবার জন্যই কষ্টকর। কারণ, এখন মুদ্রাস্ফীতি চলছে। 

এ কথার পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যায় তিনি আরো বলেন, ‘আমি বই চাচ্ছি। এর প্রথম কারণ, সবকিছুই এখন খুব ব্যয়বহুল। আমরা এসব জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারব না মুদ্রাস্ফীতির জন্য। এছাড়া আমি এমনটা করেছি এ কারণে যে আমাদের এ সকল প্রধার অবসান করতে হবে। এসব প্রথার কারণে আমাদের জীবন খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

তার মতে, ‘প্রত্যেক নারী স্বর্ণ ও অর্থ চায়। কিন্তু, একজন লেখক হিসেবে আমি বই চেয়েছি। যদি একজন লেখক হিসেবে আমি বইয়ের মূল্য না দেই, তাহলে আমি কেমন করে আশা করতে পারি যে অন্য সাধারণ মানুষেরাও বইয়ের মূল্য দেবে? হক মেহেরের জন্য আমি যে বই চেয়েছি তার মূল কারণও এটা। আমাদের নিজেদেরই বইয়ের মূল্য দিতে হবে। যেমন আমরা অন্যদের বইয়ের মূল্য দিতে বলি। ’

তার এ চিন্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টুইটার প্লাটফর্মে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মূল পোস্ট প্রকাশ হবার সাথে সাথে ১ হাজার ৪০০ লাইক পায়।

বিজে জয়নব নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘এ দম্পতি খুবই সৌবাগ্যবান যে তারা এক অপরকে পেয়েছে। তারা অবশ্যই একে অপরের সান্নিধ্যে থেকে ভালো লিখতে পারবে। এ একসাথে থাকাটা তাদেরকে আরো শক্তিশালী করবে।

আমির সরদার নামের আরেক টুইটার ব্যবহারকারী বলেন, ‘এ ধরনের কোনো কিছু আমরা আমাদের সংস্কৃতিতে দেখি না। এটা খুই মহৎ চিন্তা।’
সূত্র : জিও নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement
শৈলকুপায় মামাতো ভাইদের লাঠির আঘাতে ফুফাতো ভাই নিহত আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য : ভারতের মুসলিমরা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৪ রাজনীতির মাঠে যেভাবে খেলছেন ইউসুফ পাঠান মার্কিন রণতরীতে হাউছিদের হামলা ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত ফিলিপাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, বাড়তে পারে আরো শিখ নেতা পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিলেন ‘র অফিসার’ : ওয়াশিংটন পোস্ট দিল্লিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

সকল