৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মালালাকে হামলাকারীর শেষ পরিণতি কী হয়েছে?

মালালাকে হামলাকারীর শেষ পরিণতি কী হয়েছে? - সংগৃহীত

পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাইকে যে গুলি চালিয়েছিল, সেই তালিবান নেতা ফজলুল্লাহ মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে। 

মার্কিন ড্রোন হামলায় মৃত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির কথা বলতে গিয়ে এদিন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে ফজলুল্লাহকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান ফজলুল্লাহ 'মুল্লাহ রেডিয়ো' নামে পরিচিত। 

মার্কিন ফোর্সেস-আফগানিস্তানের মুখপাত্র মার্টিন ও'ডনেল জানিয়েছেন, 'আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সীমান্তের কুনার প্রদেশে গত ১৩ জুন সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়েছিল আমেরিকা। একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের এক শীর্ষ নেতাকে টার্গেট করা হয়েছিল।' তবে ফজলুল্লাহকেই আমেরিকা টার্গেট করেছিল কি না তা স্পষ্টভাবে জানাননি তিনি। 

মার্কিন ড্রোন হামলায় ফজলুল্লাহের মৃত্যুর খবর এর আগেও ছড়িয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে চারবার তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ওয়াশিংটন ডিসির শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল কুগেলম্যান এ কথা টুইটেও জানিয়েছেন। 

আমেরিকার দাবি, ২০১২ সালে কিশোরী মালালাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ফজলুল্লাহ। তিনিই নাকি স্কুল বাস থামিয়ে জিজ্ঞেস করেন, 'মালালা কে?' মালালা পরিচয় দিলে তার মাথায় গুলি চালায় ফজলুল্লাহ।

ছয় বছর পর পাকিস্তানে ফিরলেন মালালা
এএফপি

শান্তিতে নোবেলজয়ী কিশোরী মালালা ইউসুফজাই গতকাল ছয় বছর পর প্রথম পাকিস্তানে ফিরে গেছেন। মেয়েদের শিক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ছয় বছর আগে পাকিস্তানি তালেবানের হামলার শিকার হন মালালা। তারপর এই প্রথম মালালা তার জন্মভূমিতে ফিরে গেলেন। দেশে ফিরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। কর্মকর্তারা একথা জানান।

মালালা তার সাহস ও কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক প্রশংসিত হলেও পাকিস্তানে এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। পাকিস্তানের অনেকে তাকে একজন পশ্চিমা এজেন্ট হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন, যা দেশটির জন্য এটি লজ্জার বিষয়। স্পর্শকাতর হওয়ার কারণে তার সফর সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। স্থানীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বাবা-মায়ের সাথে থাকা ২০ বছর বয়সী এ শিক্ষার্থীকে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যেতে দেখা যায়।

২০১২ সালের ৯ অক্টোবর সোয়াত উপত্যকায় স্কুল বাসে এক তালেবান বন্দুক হামলায় মালালা আহত হওয়ার পর তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানবাধিকারের প্রতীক হয়ে উঠেন। আর তখনই প্রশ্ন ওঠে মালালাকে কেন গুলি করা হলো? হামলার শিকার হওয়ার পর মালালা ব্রিটেনের বার্মিংহাম নগরীতে চিকিৎসা নেন এবং সেখানে তার স্কুল শিক্ষা শেষ করেন। ২০১৪ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি মালালা তার নারী শিক্ষা প্রচারণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল দেশে ফেরার পর পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসির সাথে সাাৎ করেছেন মালালা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে পাকিস্তানের সম্প্রচারবিষয়ক মন্ত্রী মরিয়ম আরোঙ্গজেব, তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী আনুশা রেহমান এবং মারভি মেমন। মালালা দেশে আসছেন বলে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা ছিল না। নিরাপত্তাজনিত কারণে তার দেশে ফেরার কথা গোপন রাখা হয়েছিল। মালালা, তার পরিবার এবং মালালা ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা দুবাই হয়ে ইসলামাবাদ আসেন। বার্মিংহাম থেকে দুবাইয়ে অন্য একটি ফাইটে এসেছিলেন তারা। আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মালালার পাকিস্তানে থাকার কথা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসতিসকার নামাজে পুলিশের বাধা ও গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের হবিগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড পর্যটন গন্তব্য থেকে যেভাবে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য দেশে ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড পিরোজপুরে আ’লীগ নেতার চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা স্থগিত শ্রমিকের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র সাময়িক বরখাস্ত, প্যানল মেয়রকে দায়িত্ব অর্পণ বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের জরিমানার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে : আইনমন্ত্রী রাজশাহীতে ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ‘বন্ডের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ করলে জনগণের ওপর কর চাপ কমবে’

সকল