২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


লুটেরা গোষ্ঠীর কালো থাবা-২

লুটেরা গোষ্ঠীর কালো থাবা-২ - নয়া দিগন্ত

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশে বর্তমানে যে লুটপাটের সংস্কৃতি চলছে ইতিহাসে এর আগে কখনো এ রকম পরিস্থিতি দেখা যায়নি। পরিণতিতে নির্মাণকাজসহ সরকারের ক্রয়কৃত ও সরবরাহ করা সব সেবা ও পণ্যের মান একদিকে যেমন নিম্নমানের, তেমনি মূল্য হচ্ছে আকাশচুম্বী। কোনো নির্মাণকাজ, পণ্য ও সেবা ক্রয় করতে সরকারের যা খরচ হওয়া উচিত, বর্তমানে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি অর্থ ব্যয় হয়। সরকারি ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া বর্তমানে ‘চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই’ চক্রের হাতে চলে গেছে। এখন তারা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এমনকি ৩০০ টাকার বালিশ তিন হাজার টাকায় কিনতেও কোনো বাধা নেই। কারণ এসবই দেশের সম্পদ লুট করার নাটক। আইন এদের স্পর্শ করতে পারে না। কারণ দেশে এখন আর আইনের সমপ্রয়োগ হয় না। বস্তুত আইনের শাসন বলতে যা বোঝায় তার কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরতন্ত্র চালু করার সাথে সাথে লুটেরাতন্ত্র যোগ করে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির সাথে সমাজকেও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই সাথে প্রিয় মাতৃভূমিতে আমরা এখন ‘আইনের শাসনের পরিবর্তে- আইন ও বিধি-বিধান দ্বারা শাসিত (Rule of Law VS Rule by Law)।’

দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের খবর
বাংলাদেশে খবরের কাগজ ও টেলিভিশনের খবর অনেকটাই স্বেচ্ছানিয়ন্ত্রিত। অনেক মাধ্যম সত্য ঘটনাকে এঁকিয়ে বেঁকিয়ে, পেঁচিয়ে-পুচিয়ে উপস্থাপন করে। প্রকৃত সত্য ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার কোনো ত্রুটি করে না। তারপরও এই ‘সিন্ডিকেট’ টেন্ডারে নিজেদের ইচ্ছেমতো মূল্য বাড়িয়ে কাজ ভাগিয়ে নিতে কোনো অসুবিধায় পড়ে না। অনেক সময় কাজ না করেও ভুয়া বিল জমা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিতে পারে। এর অর্থ অনেক খাতে অঢেল অর্থ খরচ করলেও কাজ হয় নামমাত্র। অর্থাৎ ‘কাজীর গরু খাতায় আছে; কিন্তু গোয়ালে সব হিসাবে মেলে না’। পুকুর চুরির মাধ্যমে জনগণের যে অর্থ লোপাট করা হচ্ছে সেই টাকা, ভোটারবিহীন বা ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচিত দাবিদার অসাধু জনপ্রতিনিধি, দলবাজ অসাধু সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সরকার সমর্থক বায়বীয় ব্যবসায়ী, যাদের দুই হাত ও এক পা বিদেশে, তারা সবাই এই লুটের টাকা ভাগ করে নেন। ইদানীংকালে প্রহসনের নির্বাচনে যারা ক্ষমতাসীন দলের পুনঃমনোনয়ন পেয়েছেন, তাদের আগের ও বর্তমান হলফনামার বিচার-বিশ্লেষণ করলে উপরিউক্ত বাক্যগুলোর কিছুটা হলেও সত্যতা মিলবে। এখানে সেখানে কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও ব্যতিক্রম কোনো বিধি-বিধান নয় (exception is not the rule)।

বর্তমানে বাংলাদেশে, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সব সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিক কোনো না কোনো সিন্ডিকেটের সদস্য। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় খবর নিয়ন্ত্রিত রাখা সত্ত্বেও প্রতিদিন টেলিভিশন ও খবরের কাগজে দুর্নীতির অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। এই খবরগুলোর মধ্যে কিয়দংশ আবার মালিকরা নিজেই একে অপরের বিপক্ষে বলতে বা লিখতে প্রভাবিত করে। এতদসত্ত্বেও দৈনিক পত্রিকার শিরোনামগুলো দেখলে পাঠক বাংলাদেশে বর্তমানে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, জমি দখল, ব্যাংক লুট ও দুর্নীতির যে মহোৎসব চলছে তার বাস্তব ও খোলামেলা চিত্র পাবেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে তাদের এই লুটপাট কেবল সরকারি ব্যয়ে জঘন্য নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। অর্থনীতির তত্ত্বানুযায়ী এসবই অর্থনীতির অংশ। অতএব বলা যায়, দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি বা আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনার ফলে জনগণের প্রাপ্য সেবা ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও অর্থনৈতিক সমস্যার বাইরে নয়। সত্যিকার অর্থে, এসব কার্যক্রমের পরিণতি হিসেবে দেশ, সমাজ, দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির মূল ভিত্তিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে ফেলেছে। যা দেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের তাত্ত্বিক ভিত্তিকেই দুর্বল করে দিয়েছে।

জনতুষ্টির নামে কর্তৃত্ববাদী শাসন
এ ধরনের চুরি, লুটপাট, রাজস্ব অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার বীজ পরিলক্ষিত হয়েছিল ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে। ওই সময়কালে পৃথিবীর অনেক দেশে যেমন, দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনা (হুয়ান পেরন) ও পেরুতে (মোরালেস), আফ্রিকার কংগো ব্রাজাভিলে (মবুতে সেসে সেকো) বা সমসাময়িককালে ফিলিপিন (মার্কোস), যুগোস­াভিয়া (টিটো), ভেনিজুয়েলায় (শ্যাভেজ), জিম্বাবুয়ের (রবাট মুগাবে) বা আশির দশকে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, আলবেনিয়া ও সুদানের স্বৈরশাসকদের শাসনামলে। বর্তমানে একই চরিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে নিকারাগুয়া, হাইতি, গুয়াতেমালা, মিসর, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশে।

১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক বেষ্টনীর লেবাসের আড়ালে বিশ্বের বহু দেশে একনায়কতান্ত্রিক নেতারা এক ধরনের তথাকথিত কল্যাণমুখী ‘জনতুষ্টিবাদী (Populist) শাসনের নীতি’ কায়েম করে। ওই শাসনব্যবস্থার লেবাসের আড়ালে, মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল কর্তৃত্ববাদী ও একনায়কতান্ত্রিক শাসন। ফলে ওই সব দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের কাছাকাছি চলে যায়। যদিও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এবং বেশ সম্পদশালী ছিল। সমাজে উপরের স্তরে দেখলে সব শান্ত মনে হলেও রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দেশগুলোকে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় ফেলে, রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল। যার কারণে ওইসব দেশে আজো সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বিধাদ্বন্দ্ব এবং অস্থিরতার রেশ কাটেনি। দেশগুলো এখনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হোঁচট খাচ্ছে। ফলে দীর্ঘ পাঁচ দশক পরও এই দেশগুলো এখনো সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ধ্বংসাবশেষের রেশ টানছে।

সিন্ডিকেট তত্ত্ব
এসব একনায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসকরা অল্প কিছুকালের জন্য জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। জনপ্রিয়তা ও পরিচিতির কলেবর বৃদ্ধি এবং ক্ষণস্থায়ী কৃত্রিম জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য তারা এক নতুন শাসনব্যবস্থা বা নীতি অনুসরণ করেছিলেন। কর্তৃত্ববাদী শাসনের সুযোগে ওই দেশগুলোতে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ আমলা, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বায়বীয় (টুকটাক) ব্যবসায়ী ও সুযোগসন্ধানী পেশাজীবীরা একত্রে মিলেমিশে নতুন নতুন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর জন্ম দেয়। ওই গোষ্ঠী সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে অবাধে দেশের সম্পদ লুটপাট করার সুযোগ পায়। ব্যবসার নামে লুটপাট করতে তাদের কোনো বাধা ছিল না। অতি দ্রুত তারা ধনী বনে যান। এই গোষ্ঠী অবৈধ ও অনৈতিক পন্থায় সম্পদ করায়ত্ত করার লক্ষ্যে, যথেচ্ছভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অবাধ সুযোগ পায়। সেই সুযোগে এসব গোষ্ঠীর সদস্যরা দেশের প্রশাসন বা দেশ শাসনের ক্রিয়া-প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেয়।

অন্য দিকে, নির্বাচনের নামে প্রহসনের মাধ্যমে তথাকথিত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও আমলারা একত্রে মিলেমিশে, যোগসাজশের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারও খালি করে দিয়েছিল। ফলে এক দিকে পণ্য ও সেবা ক্রয়ে সরকারি খরচ বেড়ে যায়, অন্য দিকে রাজস্ব আয় কমে যায়। অতিরিক্ত দেশী-বিদেশী ঋণ নেয়া ছাড়া সরকারের খরচ নির্বাহ করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। একই সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা চালু রাখতে ও দলীয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে দুর্নীতিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে বড় বড় প্রকল্প হাতে নেয়। ফলে সরকারের খরচ ও ঋণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়।
প্রহসনের নির্বাচন, আইনের শাসনের পরিবর্তে বিধি-বিধানের শাসন, স্বজনপ্রীতি, দলীয় প্রীতি ও নীতি এবং দুর্নীতির ফলে সাংবিধানিক ও আইনের বলে প্রতিষ্ঠিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে পড়ে। সেই সুযোগে কর্তৃত্ববাদী গোষ্ঠী সহজেই এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেমন- সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, রাজস্ব বিভাগ, আমলাতন্ত্রকে নিজেদের কব্জায় নিয়ে আসে। বলা যায় করায়ত্ত করে ফেলে। ফলে এসব পথভ্রষ্ট স্বৈরশাসকের বেআইনি কর্তৃত্বে বাধা দেয়ার জন্য কোনো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান বা বিরোধী দল টিকে থাকতে পারেনি। নামেমাত্র বিরোধী দল থাকলেও, অনেকটাই বর্তমান বাংলাদেশের গৃহপালিত বিরোধী দলের মতো। নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হতো বিধায় বিরোধীরা রাজপথে সরব থাকলেও সংসদে ছিল যৎসামান্য। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত নেতারাই ছিল ভোটচুরির সর্দার। তাই সংসদে এসব স্বৈরশাসককে কখনো শক্তিশালী বিরোধী দলের মোকাবেলা করতে হয়নি। অনুরূপ নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধীদের নির্মূল করার লক্ষ্যে যে কয়েকটি দেশ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি লাভ করেছে এগুলোর প্রথম সারিতে হলো- নিকারাগুয়া, হাইতি, গুয়াতেমালা, মিসর, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশ।

সামাজিক বেষ্টনীর লেবাস-সামাজিক ও আয়ের বৈষম্য
এসব স্বৈরশাসকের সমর্থকদের মধ্যে বৃহদাংশ ছিল গরিব ও দুর্বল। তাদের লুণ্ঠন করার শক্তি ও সামর্থ্য ছিল না। তাদের লাগাতার সমর্থন ধরে রাখার জন্য এবং সাধারণ জনগণকে পথভ্রষ্ট করার লক্ষ্যে, সামাজিক বেষ্টনীর নাম করে বিভিন্ন চমকদার ও চটকদার ‘কল্যাণমুখী’ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। যেমন- বাংলাদেশে সবার জন্য ঘর, একটি বাড়ি একটি খামার, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সর্বজনীন পেনশন, ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে চিকিৎসা, ঘরে ঘরে চাকরি এবং বিভিন্ন ধরনের ভাতা। এসবের কোনো সমভিত্তিক বণ্টন হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকার সমর্থকরা এসবের দানগ্রহীতা বা স্বত্বভোগী। যেমন আজকাল অনেক নৌকা মার্কা মনোনীত প্রার্থীর লেন্সারদের (বলমধারী সৈনিক) মুখে শোনা যায়, ‘নৌকায় ভোট না দিলে ভাতা পাওয়ার তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে।’ এসবের আসল উদ্দেশ্য হলো সরকার সমর্থকদের তুষ্ট রাখা ও তাদের সমর্থন ধরে রাখা। এগুলোর প্রায় সবই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। ফলে ভর্তুকির কলেবর অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। সমাজে দুর্নীতি দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করে। গরিবের সম্পদ চুরি ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি কোষাগার থেকে লুণ্ঠন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তাতে সমাজে আয়ের বৈষম্য বা ধনী-গরিবের বৈষম্য বেড়ে যায় ও সর্বজনীন নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটে।

অন্যদিকে বাজেট-ঘাটতি, বাণিজ্যিক ঘাটতি, বিদেশের সাথে লেনদেনের চলতি হিসেবে ও দায়স্থিতির ঘাটতি বেড়ে যায়। দেশী-বিদেশী ঋণের বোঝা বেড়ে যায়। মুদ্রা পাচার বেড়ে যায় ও মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে। এগুলো সব মিলেমিশে মূল্যস্ফীতির অন্তঃস্থলকে উসকে দেয়। একই সাথে এই ভ্রান্তনীতি অনুসরণ করার কারণে মূল্যস্ফীতির হার ব্যাপক আকার ধারণ করে। এমতাবস্থায় ওই সব দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় আইএমফের হস্তক্ষেপ বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। ওই সময় অর্থনীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ ওই সব দেশে অর্থনীতির কাঠামো সমন্বয় (Structural adjustment) নীতি অনুসরণে বাধ্য করে। নীতি প্রক্রিয়া অনুসরণ বাধ্যতামূলক, ওই নীতি ক্রমান্বয়ে ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস বা মতৈক্য’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে বাংলাদেশে উপরোক্ত সমস্যাগুলো পুরোপুরি বিদ্যমান। অতএব আইএমএফের হস্তক্ষেপ কেবল সময়ের ব্যাপার।

লেখক : সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই
কৃষি অর্থনীতিবিদ


আরো সংবাদ



premium cement