২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মালয়েশিয়ায় নির্বাচন : কে কার শত্রু

আনোয়ার ইব্রাহিম ও মাহাথির মোহাম্মদ - ছবি : সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার রাজনীতি এখন উত্তপ্ত। আগামী মাসের কোনো একদিন ১৫তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিন তারিখ নিয়ে বিভিন্ন দল বিভিন্ন সময় জানিয়েছে কমিশনকে। অতিবৃষ্টি, বন্যা ও জলপথে কুমিরের উপদ্রব সমস্যা সৃষ্টি করছে। রাজনীতিতে অনেক কথাই আছে, মালয়েশিয়ার বেলায় রাজনীতিতে কেউ বন্ধু নয়, যেন একে অপরের শত্রু। এটিই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে এবারের নির্বাচনে। মালয়েশিয়ায় নেতারা সার্বিকভাবে দুর্নীতির বিপক্ষে, মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এই নিবন্ধে আমরা দেখব কিভাবে হঠাৎ মালয় রাজনীতি এত উত্তপ্ত হলো। প্রথমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েও পক্ষগুলো গরম গরম কথা বলছেন।

সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞ, ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মালয়েশিয়ার (ইউটিএম) আইন ও নীতির সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ ফাতি ইউসুফ বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংসদ ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে। তিনি রূপরেখা দেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন নেই। তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় এই বিষয়ে কোনো লিখিত গাইডলাইন নেই। কিন্তু সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতি রেখে সাংবিধানিক রীতিনীতি কিছু সীমাবদ্ধতার সাথে মেনে চলতে হবে।
মুহাম্মাদ ফাতি বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যে নির্বাহীর ক্ষমতার ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার ভ‚মিকা সরকারি বিষয়গুলো মসৃণভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য মৌলিক প্রশাসনিক ভ‚মিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তিনি আরো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুমতি দেয়া উচিত নয় যা একটি নতুন সরকারের দিকে পরিচালিত করতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাধারণ নির্বাচনে প্রচারণার সময় রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য সরকারি তহবিল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারে না। জাতীয় অধ্যাপক পরিষদের সদস্য অধ্যাপক নিক আহমদ কামাল জানান, ফেডারেল সরকারের প্রধান নীতি হচ্ছে- সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত না হলে কোনো ব্যয় করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব চলতি ১০ অক্টোবর সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, এখন ৬০ দিনের মধ্যে একটি আগাম নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ঘোষণা প্রত্যাশিত হলেও কিছুটা বিস্ময়ের। কেননা, তার প্রশাসন ৭ অক্টোবর পরের বছরের ফেডারেল বাজেট পেশ করেছিল। বিশ্লেষকরা মনে করেন, উমনো একটি প্রারম্ভিক নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে আর ভোটাররা অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। ইসমাইল সাবরি তখন বিরোধী শাসনের অধীন রাজ্যগুলোকে তাদের রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানান। সেলাঙ্গর, পেনাং ও নেগরির নিয়ন্ত্রণে থাকা বৃহত্তম বিরোধী জোট পাকাতান হারাপান ২০২৩ সালের আগে রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে। তারা জোর দিয়ে বলেছিল, বন্যা হ্রাস পাওয়ার পরই নির্বাচন হওয়া উচিত।
ইসমাইল সাবরি বলেন, ‘আমি সুপারিশ করব যে- সাবাহ, সারাওয়াক, মেলাকা ও জোহর সরকার ব্যতীত অন্যান্য রাজ্যপ্রধানরা সংসদীয় পর্যায়ে সাধারণ নির্বাচনের একই তারিখে নিজ নিজ রাজ্য বিধানসভা ভেঙে দেয়ার পদক্ষেপ নেবে, এমনকি বেশ কয়েকটি রাজ্য তা না করার সিদ্ধান্তও নেয়।’ ইসমাইল সাবরি ও উমনো নভেম্বরের প্রথম দিকে একটি সাধারণ নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে এমন জল্পনার মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণাটি এসেছে, যখন বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিক প্রচারপর্ব কবে থেকে শুরু হবে এবং ভোটের দিনক্ষণ কখন তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

ইসমাইল সাবরি আগামী বছরের জুনের আগে জাতীয় নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যখন ১৪তম মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে, মাত্র চার বছরের মধ্যে তিনটি প্রশাসনের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটানোর সর্বোত্তম সমাধান বলে অনেকে মনে করেছেন। রাজার সাথে বিশেষ সম্পর্ক থাকার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় তিনি বলেন, আগাম নির্বাচন বর্তমান সরকারের বৈধতা নিয়ে সব সন্দেহের অবসান ঘটাবে। তিনি মিডিয়ায় জানান, ‘জনগণের ম্যান্ডেট হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রকাশ ও একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের শক্তিশালী প্রতিকার যা ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের পর স্থিতিশীল হবে ও গণতন্ত্রের জন্য দেশ সম্মানিত এবং প্রশংসিত হবে। এদিকে নাজিব রাজাক দলের টিকিট পাওয়ার জন্য গোপনে দেনদরবার করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের উমনু থেকে বিশেষ সহায়তা পাওয়া উচিত নয় বলে শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন। মোহাম্মদ হাসান উমনুর ডেপুটি প্রেসিডেন্ট কঠিনভাবে বলেন, ‘দুর্নীতির কারণে তার জেলে থাকাই উচিত।’ তিনি জানান, ‘আদালত এমন একটি জায়গা যেখানে থেকে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা যায়; কিন্তু তিনি তা করেননি। আমরা ক্ষমা করলেও জেলের সাজা ভোগ করার পর তা বিবেচনা করা যাবে হয়তো।’ বিরোধী দলগুলো নাজিব ও তার স্ত্রীর দুর্নীতি ও সাজাভোগের ইস্যুটি রাজনীতির মাঠে গড়িয়ে দিয়ে সুবিধা নিতে চাইছে।

UMNO United Malay National Organization, জাতীয়তাবাদী ডানপন্থী থেকে অতি ডানপন্থী রাজনৈতিক দল। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে মালয়েশিয়ার প্রাচীনতম দল। ইউএমএনও একসময় মালয়েশিয়ার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী ইউএমএনও প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তারা সুন্নি ইসলামের সমর্থক। মালয়েশিয়ায় এই দলের লাখ লাখ সমর্থক-কর্মী রয়েছে। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা তুলনামূলক অনেক সৎ। তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি, অর্থপাচার, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ বা হারাম উপায়ে অর্জন বিষয়ে অভিযোগ নেই। জনাব মাহাথির, আনোয়ার ইব্রাহিমের মতো ক্ষমতা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তারা সবার সাথে কথা বলেন ও সবার উন্নয়নের কথা ভাবেন। আনোয়ার বা মাহাথির দেহরক্ষী ছাড়াই সর্বত্র যাতায়াত করেন। তবে রাজনীতিতে চাল বা পলিটিক্যাল করাপশন বলে যে কথা রয়েছে সেটি মালয় রাজনীতিতেও রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা অনুমান করছেন, ইউএমএনও সভাপতি জাহিদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবের মধ্যে ব্যক্তিগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। অপরাধমূলক দুর্নীতির শাস্তি বহাল রাখা হলে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তারপরও একই দলের নেতারা তাদের কোনো ছাড় দিতে নারাজ। সহ-সভাপতি বলেন, ‘গত চার বছর ধরে আমরা নিজেরাই পিছিয়ে পড়েছি। আমরা লড়াই করছি।’

এবারের নির্বাচনে আরো একটি উল্লেখযোগ্য ইস্যু মাহাথির মোহাম্মদ নিজে। তিনি ফের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মাহাথির। দেশটির আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে নিজ সংসদীয় আসন লঙ্কাবি থেকে লড়বেন ৯৭ বছরের এই প্রবীণ রাজনীতিক। প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে কে অংশ নেবেন সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেননি, তবে এ জন্য পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। ২০১৮ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তার সরকারের পতন হয়। রাজা প্রশাসনিক কার্যক্রমে মনোনিবেশ করলে বিভিন্ন গুঞ্জন শুরু হয়। আনোয়ার ইব্রাহিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেখিয়ে সরকার গঠন করতে চাইলে রাজা প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। এমনকি রাজার ক্ষমতাবহিভর্‚ত কাজ অবৈধ ঘোষণার ও রাজার কর্মপরিধি শক্তভাবে বেঁধে দেয়ার আওয়াজ ওঠে। এরকম চরম মুহূর্তেও নির্বাচনের আওয়াজ উঠলে মাহাথির মোহাম্মদ আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে জানান। তবে তিনি প্রচার করেন, দেশের সঙ্কট মুহূর্তে তাকে সহায়তার জন্য ডাকা হলে তিনি দেশের জন্য কাজ করবেন। রাজনৈতিক সঙ্কট ও চরাই উৎরাইয়ের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন শুরু হলে তিনি হঠাৎ করে অংশগ্রহণ করার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বর্তমানে অসুস্থ ও কয়দিন আগে আইসিইউ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। পাকাতানের আনোয়ার ইব্রাহিম ও তার সহযোগীরা মাহাথিরকে আর বিশ্বাস করছেন না, তার সাথে জোট বাঁধছেন না। আসন্ন নির্বাচনে তার দল ১২০টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই মুহূর্তে বন্যার কারণে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা লঙ্কাবিতে রয়েছেন। বিরোধীরা তাকে এবার তার এলাকায় অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।

কোথাও দুর্নীতি না হলেও নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনেকেই সোচ্চার হয়েছেন। সেটি বিরাট বাজেট। নির্বাচন কমিশন এক হাজার মিলিয়ন আরএম অর্থাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় টাকা ২১ হাজার ৭০০ মিলিয়ন চেয়ে পাঠিয়েছে। নির্বাচন শুরু হলে এই ব্যয় বা দাবি আরো বেড়ে যাবে এমনই বলছেন সমালোচকরা। এশিয়ার অনেক দেশের মতো মালয়েশিয়ার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অস্বচ্ছ কার্যক্রমে অনেকে অসন্তুষ্ট। ইসির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল গনি সালেহ তার পূর্বসূরিদের মতো একই রকম। একটি ভালো নির্বাচনের মহৎ লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য যাদের নিযুক্ত হয়েছে তারা নজরদারি, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভক্ত নয়, মালয়েশিয়ার জন্য এটি দুঃখজনক।

কমিশনের লোকজন যতটা সম্ভব একা থাকতে পছন্দ করেন; মনে করেন এবং আশা করেন যে মালয়েশিয়ার জনগণ ফলাফল বিশ্বাস করবে। এ ছাড়া ঘণ্টা বাজানো হলে জনগণের মেনে নেয়া ছাড়া করার কিছু থাকে না। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন কমিশনের চেয়েও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী, প্রয়োজনে কমিশনকে সব প্রমাণ করতে বা দেখাতে হয়। এশিয়ার দেশগুলোতে তেমন ব্যবস্থা নেই। মিয়ানমারে সু চির সময় যে ফলাফল দিয়েছিল আজ সু চিসহ তারাই জেলে রয়েছে। মালয়েশিয়ার থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অনুভব করছে, বিতর্কিত বিষয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে দূরে থাকতে হবে এবং আস্থার ঘাটতি দূর করতে হবে। মালয়েশিয়ানদের মধ্যে ২২২টি সংসদীয় জাতিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস তৈরি না করে কোনো বিপর্যয় সৃষ্টির ক‚টকৌশল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। ইসি চেয়ারম্যান বিদেশী ভোটারদের বিষয়ে নীরব। ইসি কি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে? ফিলিপাইন ও ভারতের কাছে কি সেগুলো নেই? খোদ যুক্তরাষ্ট্রে ভোটিং মেশিনের ফলাফল অগ্রাহ্য করে বুশ কি হাতে গণনা করা ফলাফল নিয়ে প্রেসিডেন্ট হননি? আসল ছবিটা তাহলে কী? চরমপন্থী সমালোচকরা বলছেন, ইভিএম ইসি চেয়ারম্যানের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুদের রক্ষা করার একটি অস্থাবর সম্পত্তি। ইসি ওদিকে মনস্থির করে আছে। ক্ষমতাসীনরা উত্তর দিতে চায় না। ক্ষমতার ব্যবহারকে যৌক্তিক দেখায় তা যতই অর্থহীন হোক। উত্তর দিতে বাধ্য করার অন্যতম হাতিয়ার হলো নির্বাচন। এটি সম্ভবত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনগণের সর্বোত্তম ও একমাত্র হাতিয়ার।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল সিভিল সার্ভেন্টস, ব্যুরোক্র্যাটস ও বেসামরিক কর্মচারীরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে একটি পরিচ্ছন্ন সরকার প্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন বলে জানায়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ার স্থানীয় চ্যাপ্টার সভাপতি মুহাম্মদ মোহন বলেন, হুইসেল বাজানো, তদন্ত, মামলা, অডিট রিপোর্ট উদ্ধার এবং দুর্নীতিবাজদের কঠোর ও ন্যায্য শাস্তি প্রদান থেকে শুরু করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারি কর্মচারীরা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কারো লেজুড়বৃত্তি করেনি। আদালত নিরপেক্ষ থেকে দেশকে দেউলিয়াত্ব থেকে রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হিসেবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই সব ধরনের চাঁদাবাজি, হুমকি, ভোট কেনা, সরকারি সম্পদ ও যন্ত্রপাতির অপব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশন ও এমএসিসিকে সব ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে রিপোর্ট করতে হবে। অবশ্যই আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মনে করিয়ে দিতে হবে যে, একটি বিলুপ্ত সংসদ আইনশৃঙ্খলাবিহীন রাষ্ট্র নয়।’

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার

 


আরো সংবাদ



premium cement