২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডেল্টার দৌরাত্ম্য ও আনন্দ-বেদনার গল্প

ডেল্টার দৌরাত্ম্য ও আনন্দ-বেদনার গল্প -

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ধরন বিশ্বজুড়ে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে দিয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ সারা বিশ্বে আবার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের যেসব দেশে করোনা কমে এসেছিল, সেখানেও সংক্রমণ বাড়ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ডেল্টা ধরন পৃথিবীকে ভোগাবে।

ইতোমধ্যে করোনার ১৯ মাসের সংক্রমণে গত শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত ১৯ কোটি ৪২ লাখ ১৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য মতে, এ সময়ে করোনায় মারা গেছে ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৫ জন। সংক্রমণের দিক দিয়ে এখনো যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে। এরপর ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ফ্রান্স। ডেল্টা ধরন যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই ৫০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এ জন্য তারা টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। পাশাপাশি টিকা উন্নীতকরণেও বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ল্যানসেট, নেচারসহ বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বলা হয়, ডেল্টা ধরনের ক্ষেত্রে অনেক টিকাই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে না। ফলে ডেল্টা ও করোনার আরো মারাত্মক ধরনের কথা মাথায় রেখে টিকার উন্নীত করতে হবে। ডেল্টা রোধে মডার্নার টিকা কার্যকর বলা হলেও এরও আরো উন্নয়ন দরকার।

এশিয়ায় করোনা মহামারীর কেন্দ্রস্থল এখন ইন্দোনেশিয়া। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মৃত্যু তিনগুণ বেশি। ইন্দোনেশিয়ায় ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮০ হাজারের বেশি। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে দেশটিতে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতে করোনা বিশেষ করে ডেল্টা ধরনের আগ্রাসী থাবা এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে মৃত্যুহার ২ দশমিক ১৪। এখন পর্যন্ত ভারতে চার লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ১৩ লাখ। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাংলাদেশে এরই মধ্যে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, যে হারে মৃত্যু বাড়ছে তাতে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজারের ঘরে যেতে বেশি সময় লাগবে না। করোনার ডেল্টা ধরন বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এত দিন গ্রামগুলো করোনামুক্ত থাকলেও এখন গ্রামেও সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ২৩ জুলাই ২০২১ থেকে দেশব্যাপী ১৪ দিনের লকডাউন চলছে।

লকডাউন করোনা কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলা মুশকিল। তবে আশার কথা চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ টিকা এসে পৌঁছেছে। রাশিয়ার টিকাও অচিরেই পৌঁছাবে। টিকাদান কার্যক্রম পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে পারলে বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ শহরে ও গ্রামে ক্যাম্প করে টিকাদান বাধ্যতামূলক করতে হবে। তবে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি জটিল। এভাবে সবাইকে টিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না। গার্মেন্টে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপুল জনগোষ্ঠীকে এভাবেই টিকা দিতে হবে। সরকার মাসে এক কোটি টিকা দেয়ার চিন্তা করছে। এটি সফল হলে খুবই ভালো।

অস্বাভাবিক পৃথিবীর আনন্দ-বিষাদের গল্প!
করোনা অতিমারীতে পৃথিবী এখন অস্বাভাবিক। অস্বাভাবিক পৃথিবীতে মানুষ আনন্দ-বেদনার নানা ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। কোনো ঘটনা আনন্দের, কোনোটা বিষাদের। কোনো ঘটনা আশাজাগানিয়া, আবার কোনোটায় মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। কিছু দিন ধরে যদি আমরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের দিকে তাকাই, এমন অনেক ঘটনা ও গল্পের মুখোমুখি হবো।
বাংলাদেশের কথাই ধরি। কয়েক দিন হলো আমরা ঈদুল আজহা উদযাপন করেছি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করা হয়। এই এক সপ্তাহে অনেকেই ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন, সাধ্যমতো কেনাকাটা করেছেন।

ঈদ করতে বাড়ি গেছেন। মোবাইল ফোনের ‘সিম’ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এক কোটি পাঁচ লাখ লোক ঢাকার বাইরে ঈদ করতে গেছেন। ২২ জুলাই ঢাকায় ফিরেছেন আট লাখ লোক। রিপোর্ট বেরিয়েছে, মানুষ ঈদ উদযাপন করলেও অন্য বছরের চেয়ে এবার কোরবানি কম হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, কোরবানির জন্য অনেকে খামার তৈরি করেছিলেন। কিন্তু এবার ২৮ লাখ ২৪ হাজার পশু অবিক্রীত রয়ে গেছে। পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম কোরবানি হয়েছে। কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৯ লাখ। কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার। আগে যারা গরু কোরবানি দিয়েছেন, এবার অনেকেই গরুর পরিবর্তে ছাগল কোরবানি করেছেন।

করোনার হতাশার মধ্যেও বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন দেশের দু’জন নাগরিক। একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি টোকিও অলিম্পিকসে এবার ‘অলিম্পিক লরেল’ সম্মাননা পেয়েছেন। ২৩ জুলাই অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মার্চপাস্টের আগে ভিডিওয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সম্মানিত হন। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মান।

দ্বিতীয়জন ঢাকার বিক্রমপুরের মেয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কিশোয়ার চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের গ্রামবাংলার প্রিয় খাবার পান্থাভাত ও আলুভর্তা পরিবেশন করে জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া’য় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। বাংলাদেশী একটি খাবারকে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনেন। এ প্রতিযোগিতায় তিনি খাসির রেজালা, নেহারি, লাউ-চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক প্রভৃতি খাবার বিভিন্ন ইভেন্টে পরিবেশন করে বাজিমাত করেন। চূড়ান্ত পর্বে তিনি ফাইনাল ডিশ হিসেবে পরিবেশন করেন আলুভর্তা, পান্থাভাত ও সার্ডিন মাছ, যে মাছের স্বাদ অনেকটা ইলিশের মতো।

বাংলাদেশে ঈদের পর গত শুক্রবার করোনায় গণসঙ্গীতের প্রখ্যাত শিল্পী ফকির আলমগীরের মৃত্যু দুঃখে ভারাক্রান্ত করেছে। তার ‘ও সখিনা, গেসস কিনা ভুইলা আমারে’ গানটি খুবই জনপ্রিয়। এ ছাড়া মে দিবসে তিনি গাইতেন ‘নাম তার ছিল জন হেনরি’, নেলসন ম্যান্ডেলাকে নিয়ে ‘নেলসন ম্যান্ডেলা তুমি, শুভ হোক তোমার জন্মদিন’ এবং কালো কালো মানুষের দেশে। মায়ের একটির দুধের দাম গানটিও জনপ্রিয়।

করোনার এ সময়ে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীও বাড়তে শুরু করেছে। বর্ষাকাল এডিস মশার ডিম পাড়ার সময়। এডিস মশার কামড়েই ডেঙ্গু রোগ হয়। ডেঙ্গু রোগ করোনাকালে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে।

করোনার এ দুঃসময়েই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। ইউরোপে ৬০ বছরের মধ্যে এবার ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে জার্মানি ও বেলজিয়ামে বন্যায় প্রায় ২০০ লোকের মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। বন্যা হয়েছে সুইজারল্যান্ডে। এশিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের মহারাষ্ট্র, চীনের হেনান প্রদেশ ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত। ঝড়বৃষ্টিতে ফিলিপাইনেও দেখা দিয়েছে বন্যা। ভারতীয় ঢলের পানিতে বাংলাদেশেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার জন্য বিশেষজ্ঞরা জলবায়ু পরিবর্তনকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার মতে, করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বে চরম দারিদ্র্যের শিকার হতে যাচ্ছে শত কোটি মানুষ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে এক দিনে ১ দশমিক ৯০ ডলার বা তার কম আয় করা মানুষেরা অতিদরিদ্র। করোনায় সবচেয়ে বাজে চিত্রটি হচ্ছে মাথাপিছু আয় বা ভোগ ২০ শতাংশ কমে যাওয়া। এর ফলে চরম দারিদ্র্যসীমায় বাস করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১১২ কোটি হতে পারে। চরম দারিদ্র্যের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। আবার এ অঞ্চলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে ভারত। করোনায় বাংলাদেশের দারিদ্র্য হারও বাড়িয়ে দিয়েছে। পিপিআরসির হিসাবে দারিদ্র্য বেড়ে ৪৩ শতাংশ হয়েছে। আর সিপিডি বলেছে, এ হার ৩৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে বলা হয়েছে, বেকারত্ব ১০ গুণ বেড়েছে। বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বা কাছাকাছি বাস করছে। করোনা মহামারী দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় বাংলাদেশে নতুন দরিদ্র হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

মহামারীর এ পরিস্থিতিতে দেশগুলো ও মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস ও যুক্তরাজ্যের ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসনের শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে কয়েক মিনিটের মহাকাশ ভ্রমণ দরিদ ও অসহায় মানুষকে উপহাসেরই শামিল। খবর বেরিয়েছে জেফ বেজোসের সাথে ১০ মিনিটের মহাকাশ যাত্রায় ব্যয় ২৩৮ কোটি টাকা এবং ব্র্যানসনের ভ্রমণে প্রতিটি টিকিটের মূল্য আড়াই লাখ ডলার।

টোকিও অলিম্পিকস-২০২০ করোনায় প্যানডেমিকের কারণে এক বছর স্থগিত থাকার পর গত ২৩ জুলাই উদ্বোধন হয়েছে। ২০৭টি দেশের ১১ হাজার ৩০০ অ্যাথলেট এতে অংশ নিয়েছেন। দর্শকবিহীন টোকিও অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উদ্বোধন হয় ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ হিসেবে বিবেচিত অলিম্পিক গেমস। আতশবাজিসহ নানা আয়োজন চোখধাঁধানোই ছিল। তবে টিভি সেটের সামনে বসেই ক্রীড়ামোদীদের তা উপভোগ করতে হয়েছে। স্টেডিয়ামে শুধু ছিলেন বিশেষ আমন্ত্রিত ভিভিআইপি অতিথি, অংশ নেয়া ক্রীড়াবিদ ও অলিম্পিক কমিটির নির্বাচিত সাংবাদিকরা। মাস্ক, কোয়ারেন্টিন, লালা পরীক্ষা আর ফাঁকা গ্যালারির অলিম্পিকস গেমস অনেকটা খাপছাড়া ছিল।

এবার অলিম্পিক আয়োজনে ১৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হচ্ছে। এক বিলিয়ন ডলার হচ্ছে বাংলাদেশী টাকায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে এ গেমস আয়োজনে বাংলাদেশী মুদ্রায় এক লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। অনেকেরই মত ছিল, এবার অলিম্পিক গেমস বাতিল করে ওই টাকা করোনা মোকাবেলা ও মানবকল্যাণে ব্যয় করা হোক। কিন্তু সে আহ্বানে সাড়া মেলেনি।

করোনা মহামারীকালে সাম্প্রতিক আরেকটি খবর মানুষকে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে। সেটি হলো বিভিন্ন দেশের সরকার ইসরাইলি কোম্পানি এনএসওর কাছ থেকে পেগাসাস নামে একটি নজরদারি সফটওয়্যার কিনে রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীদের ফোন হ্যাকিং করে নজরদারি করেছে। লন্ডনের গার্ডিয়ানসহ ১৬টি সংবাদমাধ্যমে একযোগে এ-সংক্রান্ত তদন্তের ফল প্রকাশ করেছে। পেগাসাস নামে স্পাইওয়্যার সম্পর্কে ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য মঁদ ও আরো ১৪টি সংবাদমাধ্যমে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার কিছু দিনের মধ্যে তার বাগদত্তা হাতিশ চেংগিজের ফোনও পেগাসাস দিয়ে হ্যাক করা হয়। সিএনএন, আলজাজিরা, নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ ১৮০ জনের বেশি সাংবাদিকের নাম আছে এ তালিকায়; যাদের ফোন হ্যাক করা হয়। তেমনি রাষ্ট্রপ্রধান, রাজপরিবারের সদস্যসহ বড় রাজনীতিক, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীর এক হাজার জনের নামের তালিকাও তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এ গোপন নজরদারি বর্তমান নাজুক সময়ের একটি বড় দুঃখজনক ও নিষ্ঠুর ঘটনা হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক,
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব


আরো সংবাদ



premium cement