২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শত্রু-মিত্র সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তনশীল

শত্রু-মিত্র সময়ের বিবর্তনে পরিবর্তনশীল - ফাইল ছবি

ব্রিটিশ ভারতভুক্ত বঙ্গ প্রদেশটি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও স্বাধীন বাংলাদেশ সমন্বয়ে গঠিত ছিল। বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত বৃহত্তর সিলেট জেলা ব্রিটিশ শাসনামলে আসামের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাজনের সময় গণভোটের রায়ে সিলেট পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। যদিও গণভোটের রায় সত্ত্বেও সিলেটের করিমগঞ্জ মহকুমাটি আসামের সাথে পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমে মূল ভারতের যোগাযোগ রক্ষার স্বার্থে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আগে বঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা মুসলিম শাসনকর্তার শাসনাধীন ছিল। বঙ্গ সামগ্রিকভাবে বরাবরই মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য ছিল; তবে পৃথকভাবে পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু অধ্যুষিত ও পূর্ববঙ্গ মুসলিম অধ্যুষিত ছিল।

মুসলিমদের পরাভূত করে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষের শাসনভার করায়ত্ত করায় ইংরেজ শাসনকালীন তাদের কাছে মুসলিমদের চেয়ে ভারতবর্ষের অপর ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দুদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল বেশি। ব্রিটিশদের শাসনামলে তাদের আনুকূল্যে ভারতবর্ষের হিন্দু সম্প্রদায় ব্যবসাবাণিজ্য, চাকরি ও শিক্ষায় মুসলিমদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। এভাবে বঙ্গসহ সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে অর্থনৈতিকভাবে হিন্দুরা মুসলিমদের চেয়ে বেশি সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে। বঙ্গের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায়ের তুলনায় পূর্ববঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায় অনেক পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর।

ব্রিটিশরা পৃথিবীর সর্বত্র তাদের উপনিবেশগুলোর স্বীয় কর্তৃক ও আধিপত্য অক্ষুণ্ন রাখার জন্য বিভাজন ও শাসন নীতি অনুসরণ করত। পূর্ববঙ্গের মুসলিম নেতৃবৃন্দের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে ব্রিটিশরা পূর্ববাংলার অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ মুসলিম সম্প্রদায়কে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী করার প্রয়াসে পূর্ববঙ্গ ও আসাম সমন্বয়ে একটি পৃথক প্রদেশ গঠনে সম্মত হয়। ১৯০৫ সালে প্রদেশটির শুরুর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায় বাংলা বিভাজনকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী গণ্য করে এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের তীব্র আন্দোলন ও কঠোর অবস্থানের কারণে ছয় বছরের মাথায় ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে পূর্ববঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায় ভীষণভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত হয়। পূর্ববঙ্গের মুসলিমদের মর্মবেদনা উপশমে ব্রিটিশরা অঞ্চলটির শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ ও অনগ্রসর মুসলিদের অবস্থার উন্নয়নে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করলে এটি তীব্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের বাধার সম্মুখীন হয়। যাই হোক, সব বাধা অতিক্রম করে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা করলে দেখা যায়, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী উভয় ক্ষেত্রে সংখ্যায় হিন্দুরা মুসলিমদের চেয়ে অনেক অগ্রে।

ভারতবর্ষ বিভাজন পূর্ববর্তী বঙ্গে আইনসভার দু’টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উভয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে মুসলিম লীগ সরকার গঠন করে। আসামেও মুসলিম লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। জাতিগতভাবে আসামের অধিবাসীরা ভারতের মূল ভূখণ্ডের জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে পৃথক সত্তাবিশিষ্ট। ব্রিটিশ শাসনামলে পূর্ববঙ্গ হতে ব্যাপকহারে বাঙালি কৃষিশ্রমিকের আসামে প্রবেশ ঘটে। পূর্ববঙ্গের কৃষিশ্রমিকরাই কঠোর পরিশ্রম করে জঙ্গলাকীর্ণ আসামকে পরিচ্ছন্ন করে অঞ্চলটিকে চাষাবাদের উপযোগী করে। এসব কৃষিশ্রমিকের একটি বড় অংশ ছিল বাঙালি মুসলিম। ব্রিটিশ শাসনামলে সামগ্রিকভাবে আসামে খ্রিষ্টান, মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বসবাস ছিল। আসামের মতো আগেকার বার্মা এবং বর্তমান মিয়ানমার ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৩৫ সালের ভারতশাসন আইনে বার্মাকে ভারতবর্ষ থেকে পৃথক করা হয়।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভাজনের সময় বঙ্গ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু নেতৃবৃন্দের নীতিতে বৈপরীত্ব পরিলক্ষিত হয়। ১৯০৫ সালে বঙ্গের বিভাজন সে সময়কার হিন্দু নেতৃবৃন্দের কাছে তাদের স্বার্থের প্রতিকূল পরিগণিত হলেও ১৯৪৭ সালে এর উল্টো চিত্রটি দেখা যায়।

ব্রিটিশদের ক্যাবিনেট মিশন পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ হিসেবে বঙ্গ ভারতবর্ষের বিভাজিত মুসলিম রাষ্ট্রভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু নেতাদের দাবির মুখে ব্রিটিশরা নতিস্বীকার করে বঙ্গকে বিভাজিত করে পক্ষপাতমূলকভাবে পশ্চিমবঙ্গকে বিভাজিত হিন্দু রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করে। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অবস্থানের কারণে মুসলিমদের স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভারতের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের আসামসহ এর পার্শ্ববর্তী ছয়টি রাজ্য ১৯৭২ সালে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে সেভেন সিস্টার্স নামে অভিহিত হতে থাকে। সেভেন সিস্টার্সভুক্ত সাতটি রাজ্যের মধ্যে বর্তমানে মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল এই চার রাজ্য খ্রিষ্টান অধ্যুষিত। অন্য দিকে আসাম, মনিপুর ও ত্রিপুরা হিন্দু অধ্যুষিত হলেও আসামে বাংলাভাষী মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ রয়েছে। সেভেন সিস্টার্স বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন দ্বারা তিন দিক দিয়ে স্থলবেষ্টিত হওয়ায় এটি ২১-৪০ কিলোমিটার প্রস্থ ও ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চিকেন নেক নামে একটি সরু করিডোর দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। চিকেন নেকের একপ্রান্তে বাংলাদেশ এবং অপরপ্রান্তে নেপাল, ভুটান এবং ১৯৭৪ সালে ভারত অধিকৃত সিকিম। সেভেন সিস্টার্সভুক্ত সাতটি রাজ্যের প্রতিটিতেই স্বাধীনতাকামীদের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। এ রাজ্যগুলো ব্রিটিশ কর্তৃক ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্তি এসব রাজ্যের জনমানুষের একটি বড় অংশের আকাক্সক্ষার বিপরীতে ছিল। এসব রাজ্যের স্বাধীনতাকামীদের প্রতি পার্শ্ববর্তী শক্তিধর রাষ্ট্র চীন সহানুভূতিশীল। ভারতের উত্তর সীমান্তবর্তী নেপাল ও ভুটান দীর্ঘ দিন ধরে ভারতের মিত্র হিসেবে অভিহিত হয়ে এলেও সম্প্রতি নেপালের সাথে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরেছে; অন্য দিকে ভুটানের সাথে সম্পর্কও ক্রম অবনতির দিকে। বিপরীতে এই দুই রাষ্ট্রের সাথে চীনের সম্পর্ক উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। ভারতের আশঙ্কা চীনের সাথে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সম্পর্ক ক্রম উন্নতির দিকে এগুলে যেকোনো আকস্মিকতায় চীন চিকেন নেক করিডোর দখলে নিয়ে সেভেন সিস্টার্সকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলে সাতটি রাজ্য ভারতের হস্তচ্যুত হবে। এ বাস্তবতায় ভারত বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে কালাদান বহুমুখী ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট প্রকল্পের অধীন সিত্ত সমুদ্রবন্দর ও সেখান থেকে রাখাইন রাজ্যের ভেতর দিয়ে মিজোরামের রাজধানী আইজল পর্যন্ত সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ভারতের নীতিনির্ধারকদের ধারণা, চিকেন নেক করিডোর আক্রান্ত হলে এই বিকল্প পথ ব্যবহার করে সেভেন সিস্টার্সের সাথে যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রাখতে পারবে দিল্লি। কিন্তু সম্প্রতি মিয়ানমারের শাসনক্ষমতা সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর আরাকান তথা রাখাইন প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি যেটিকে দেশটির সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে আসর্ছিল; সেটিকে সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসী তালিকা থেকে অকস্মাৎ অবমুক্ত করে। সন্ত্রাসী তালিকা থেকে অবমুক্ত হওয়ার পর সংগঠনটি ভারতকে কালাদান বহুমূখী ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্ট প্রকল্প থেকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। আরাকান আর্মি সেভেন সিস্টার্সের স্বাধীনতাকামীদের মতো চীনের আনুকূল্য ও সমর্থন যে ভোগ করছে তা অনেকটা স্পষ্ট।

আরাকান আর্মি রাখাইনের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দীর্ঘকালযাবৎ আন্দোলন করে আসছে। আরাকান আর্মি ইউনাইটেড লিগ অব অরাকানের সামরিক শাখা। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার বিদ্যমান থাকাবস্থায় আরাকান আর্মি চীনের কাছ থেকে সামরিক সাহায্য পেয়ে আসছিল। আরাকানের প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায় রোহিঙ্গারা প্রদেশটির সামগ্রিক জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। ১৯৪৮ সালে মিয়ানমার ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভকালীন রাখাইনের নাম ছিল আরাকান এবং এটির আয়তন ছিল ২০ হাজার বর্গমাইল। মিয়ানমার প্রদেশটির নাম পরিবর্তন করে এটির আয়তনও সংকোচিত করে ১৪ হাজার ২০০ বর্গমাইলে সীমাবদ্ধ করে। সমগ্র মিয়ানমারে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সাত লাখ এবং এর অর্ধেকের বসবাস ছিল রাখাইনে। মিয়ানমারের শাসকগোষ্ঠীর নিষ্পেষণ, অত্যাচার, নিপীড়ন ও বিতাড়নের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২৫ লাখে এসে ঠেকেছে। অবশিষ্ট ১০ লাখ বর্তমানে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার বর্তমানে নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার না করলেও রাষ্ট্রটির প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পর তাদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার ছিল। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকে রাখাইন থেকে বিতাড়ন করা হয়। বিতাড়ন পরবর্তী বিষয়টি জাতিসঙ্ঘে উত্থাপিত হলে চীন মিয়ানমারের সপক্ষে অবস্থান নেয় এবং ভারত ভোটদানে বিরত থাকে। অন্য দিকে পাকিস্তান বাংলাদেশের সপক্ষে ভোট দেয়।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন চলাকালীন চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের অবস্থান ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র ৪ এপ্রিল ১৯৭২ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় সৌদি আরব ও চীনের স্বীকৃতি লাভ ঘটেনি। সৌদি আরব ১৬ আগস্ট ১৯৭৫ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। অন্য দিকে চীন স্বীকৃতি দেয় ৩১ আগস্ট ১৯৭৫। সৌদি আরব ও চীন স্বীকৃতি না দেয়ার পেছনে যে যুক্তি প্রদর্শন করে আসছিল তা হলো দেশটি ভারতের অধীনস্থ এবং প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও সার্বভৌম নয়।

দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে সার্ক গঠন করলেও ভারতের আধিপত্যবাদী নীতির কারণে জোটটি কোনো ক্ষেত্রেই আশানুরূপ সফলতা দেখাতে পারেনি। ২০০৭ সালে সার্কে নতুন সদস্য হিসেবে আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও পৃথিবীর অপরাপর আঞ্চলিক জোটের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সফলতার তুলনায় এটির সফলতা অনেকটা শম্বুকসম।

বাংলাদেশ অভ্যুদয়-পরবর্তী বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘সকলের প্রতি বন্ধুত্ব কারো প্রতি বৈরিতা নয়’ নীতি অনুসরণ করে এলেও এটি যে সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে; কথাটি জোর দিয়ে বলা যাবে না। অনুরূপ বাংলাদেশ যাদের বন্ধু হিসেবে মনে করে এদের কারো কারো কাছ থেকে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এমন আচরণ লাভ করেছে, যা কোনোভাবেই বন্ধুত্বের মানদণ্ডে প্রত্যাশা জাগানিয়া নয়। আর তাই সময়ের বিবর্তনে কে শত্রু কে মিত্র এটি আগাম পরখ করে বলা অনেকটা দুরূহ।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement