৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


রাজনৈতিক নিস্পৃহবাদ

রাজনৈতিক নিস্পৃহবাদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ‘হিস্ট্রি রিপিটস ইটসেলফ’। তাত্ত্বিকরা বলেন, থিসিস অ্যান্টিথিসিস ও সিনথেসিস-ধারণা, বিপরীত ধারণা ও সমন্বয়। এভাবে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা। আমরা গণতন্ত্রের জন্য সেই প্রাচীন গ্রিসে ফিরে যাই। এর উৎস, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা সেখানেই। গণতন্ত্রে ভালো-মন্দ দুটোই ছিল এবং আছে। ভালো এই যে, সবার মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সবাই সুখী থাকে। সবাই মনে করে, ‘দায় ও দায়িত্ব আমার’।

আবার মন্দটা হলো- নানা মুনির নানা মত। মতের মিল হওয়াটা খুবই কঠিন। সবার মন জুগিয়ে চলা এক দুরূহ কাজ। ফলে কাজ হয় না। পড়ে থাকে। ঝগড়া লাগে। অনিশ্চিত অবস্থার সৃষ্টি হয়। কাজকর্ম সম্পর্কে একধরনের অনীহা-অনাগ্রহ তৈরি হয়। দেখেও দেখে না। শুনেও শুনে না। গায়ে মাখে না কোনো কিছু। তারা নীরব, নির্বিকার এবং নিস্পৃহ। আমাদের দেশ-জাতি-রাষ্ট্র এমন অবস্থায় চলছে বলে মনে করেন সমাজতাত্ত্বিকদের কেউ কেউ। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়ের গ্রিসে। আমাদের বর্তমান অবস্থার সাথে তার মিল আছে অনেকটা। ইতিহাস হিসাব-নিকাশ করে সৃষ্টি হয় না। ঘটনা ঘটে যায় চিরায়ত গতিতে- থিসিস অ্যান্টিথিসিস-সিনথেসিস- এভাবে। মানুষ তার মনের মতো করে ব্যাখ্যা দেয়। বিশ্লেষণ করে। গ্রিকরাও তাই করেছিল। গ্রিক গণতন্ত্রের অবশেষে যে অবসাদ তৈরি হলো, তারও একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যা তৈরি হলো। সেই অবকাশ- অবসাদেও যুক্তি খুঁজে পেল তারা। এর যৌক্তিক ভিত্তি নিয়ে এগিয়ে এলেন চিন্তাবিদরা। তাদের এ চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় তত্ত্ব। তত্ত্বকে কেতাবি ভাষায় বলা হয় ‘দর্শন’।

সেই দর্শনের খানিকটা বয়ান শোনা যাক আমাদের অন্যতম সেরা রাষ্ট্র দার্শনিক সরদার ফজলুল করিমের ভাষায়। তিনি তার দর্শন কোষে লিখেছেন : “খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতকে গ্রিক সভ্যতায় স্টয়সিজম বা নিস্পৃহতামূলক একটি দার্শনিক তত্ত্বের উদ্ভব ঘটে। জেনোকে এই দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা মনে করা হয়। ...এই দর্শন বিকাশের পটভূমি হচ্ছে এককালের বীর্যবান এবং ঐশ^র্যময় এথেন্স এবং অন্যান্য গ্রিক রাষ্ট্রের ক্ষয়গ্রস্ত সঙ্কটাপন্ন অবস্থা। বিপুলসংখ্যক দাসের শোষণের ভিত্তিতে যে গ্রিক গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করেছিল, সে গণতন্ত্র ‘নগররাষ্ট্রে-নগররাষ্ট্রে’ আত্মধ্বংসী যুদ্ধে, রাজনীতিক ও সমরনায়কদের দুর্নীতি, ষড়যন্ত্র এবং দেশদ্রোহিতায় জনগণের কাছে শান্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপনে অক্ষম শাসনব্যবস্থা হিসেবে বর্জনীয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় জীবনে সক্রিয় অংশগ্রহণের যে আকর্ষণ গ্রিক নাগরিকদের মধ্যে একদিন ছিল সে আকর্ষণ বিগত। নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কে মোহমুক্ত। যে ব্যক্তি একদিন নগররাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বের মধ্যে নিজেকে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত রেখেছে এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের বাইরে নিজের কোনো অবস্থানের কথা চিন্তা করেনি, সে নাগরিক এখন তার ব্যক্তিক জীবনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের বাইরে নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের উপায় অন্বেষণ করছে।” এই পটভূমিতেই মিল খুঁজে পাওয়া যায় বর্তমান সময়ের সাথে।

ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জল অধ্যায় আমাদের স্বাধীনতা। আর স্বাধীনতার উৎসমূল গণতন্ত্রেই নিহিত। বাংলার প্রাচীন পাল বংশে গোপাল নামে একব্যক্তি রাজা হয়েছিলেন গণতন্ত্রের মাধ্যমে। লোকজন গোপালকে নির্বাচিত করেছিলেন রাজা হিসেবে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেন, তুর্কি, পাঠান, মোগল ও ইংরেজরা সুদীর্ঘকাল রাজত্ব করেছে বটে, এ জাতির গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষা- স্বাধীনতার চেতনা অবলুপ্ত হয়নি কখনো। ১৯৪৭ সলে দেশ উপনিবেশমুক্ত হলে গণতন্ত্রের জন্য জাগরণ লক্ষ করা যায়। পাকিস্তানের ২৩ বছরে এ অঞ্চলের মানুষ বারবার গণতন্ত্রের জন্য রক্ত ঢেলে দেয়। অবশেষে ১৯৭১ সালে ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ জাতি লাভ করেছে স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার কারণ ও ফলফল গণতন্ত্র। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতৃত্বের হাতে সমর্পিত যদি হতো ক্ষমতা, তাহলে ইতিহাস অন্যভাবে লিখিত হতো। পাকিস্তানের ‘নিরেট নির্বোধরা’ গণতন্ত্রকে অস্বীকার করায় অস্ত্র তুলে নিতে হয় আমাদের।

তারপর বিজয়ের ইতিহাস। মানুষের আকাশচুম্বী আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। ‘ধন-ধান্যে পুষ্পে ভরা’ বাংলাদেশে মানুষ সুখী জীবন যাপন করবে- এটাই ছিল স্বপ্ন। শাসক এলিটরা লুটপাট-চোটপাটের মধ্যেও একটা ভালো কাজ করেছিল, তা ছিল- ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’। পাকিস্তান তাদের স্বাধীনতার দীর্ঘ ১০ বছর পরে দিয়েছিল অগ্রহণযোগ্য সংবিধান। সে ক্ষেত্রে মাত্র এক বছরের মাথায় বাংলাদেশের সংবিধান রচনা এক গৌরবময় ঘটনাই বটে। সংবিধানে ভালো ভালো কথা ছিল। কিন্তু তা ছিল কেবল কেতাবি। আচরণে গণতন্ত্রের কোনো আঁচ ছিল না। তাদের শাসনব্যবস্থায় গণতন্ত্রের বিপরীত সবকিছুই প্রতিভাত ছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে যে সংসদ নির্বাচনটি তারা করেছিলেন, তাও ছিল অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যতার উল্টো কিছু। ‘নির্বাচিতদের মধ্যে ১০ জনের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীই ছিল না। দাঁড়াতে সাহস পায়নি অথবা দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।’ ভোলায় ডাক্তার আজহার (মেজর হাফিজের বাবা) জাসদ প্রার্থী হিসেবে ছিলেন অপ্রতিদ¦ন্দ্বী। তাই সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু স্বয়ং। তাতেও তারা আশ^স্ত হননি। নির্বাচনের দিন তারা হাইজ্যাক করেছিলেন ডাক্তার আজহারকে যাতে তিনি নমিনেশন পেপার সাবমিট করতে না পারেন। বিশ^াস করা হয় যে, মেজর জলিল জিতেছিলেন বরিশালের নিজ আসনে। অভিযোগ রয়েছেÑ হরনাথ বাইনকে জেতানোর জন্য ব্যালট সব ঢাকায় আনা হয় হেলিকপ্টারে করে। সেই শুরুতে যে প্রবণতা ছিল, তা ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে এখন বিষবৃক্ষের আকার ধারণ করেছে। প্রবাদ আছে, সকাল দেখেই বিকেল বোঝা যায়। এখন ২০১৪ বা ২০১৯ দেখেই বোঝা যাবে ভবিষৎ কেমন যাবে।

এ অবস্থায় জনগণের মানসিক অবস্থা ব্যাখ্যার জন্য আমরা নিস্পৃহবাদ শব্দটি গ্রহণ করেছি গ্রিক স্টয়িসিজম প্রত্যয় থেকে। সাধারণভাবে এর আরো বাংলা প্রতিশব্দ রয়েছে- যেমন নিষ্ক্রিয়তা, নির্লিপ্ততা, নির্বিকার ইত্যাদি। আরো দুু’টি শব্দ এখন ব্যবহৃত হচ্ছে- ডি-পলিটিসাইজেশন, পলিটিক্যাল অ্যাপেথি। বাংলা অনুবাদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বিরাজনীতিকরণ এবং রাজনৈতিক বিরূপতা। নিস্পৃহবাদ বলতে আমরা যা বোঝাতে চাই- এ দুটো প্রত্যয় দিয়ে হুবহু সেরকম কিছু না বোঝালেও বিরাজনীতিকরণ ও রাজনৈতিক বিরূপতার ফলাফল এটি। আমাদের দেশ জাতিরাষ্ট্র বলে এবং সময় সংশ্লিষ্টতায় পলিটিক্যাল অ্যাপেথি বা রাজনৈতিক বিরূপতা অধিকতর প্রাসঙ্গিক। রাজনৈতিক বিরূপতার অর্থ দু’রকম হতে পারে। একটি অবরোহ, অপরটি আরোহ। সরকার বা সমাজ কর্তৃত্ব থেকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ বা জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সম্পর্কে যখন নেতিবাচক সিদ্ধান্ত, কার্যসূচি বা দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়, তখন তা হয় আরোপিত বিষয়। আর যখন সেই গ্রিক নগররাষ্ট্রের মতো জনসাধারণ সরকারের ওপর হয় ত্যক্তবিরক্ত, তারা রাজনীতি বিষয়ে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের মামলা-হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও গুম-খুন বাধ্য করে জনসাধারণকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে। এ ছাড়া সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ, ঘোষিত আইন-অধ্যাদেশের মাধ্যমেও জনসাধারণকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখা হতে পারে। বর্তমান এই ভয়াবহ ভাইরাসের মধ্যেও ডিজিটাল মামলা হয়েছে অনেক। যতবারই বিরোধীদল সমাবেশ বা অবরোধ বা কর্মসূচির আয়োজন করেছে, ততবারই সরকার ‘সরকারি হরতাল’ কার্যকর করেছে। সবচেয়ে আলোচিত ও সবচেয়ে সর্বনাশের কাজ হলো, নির্বাচনকে নির্বিচারে জনশূন্য করা। জনগণের ভোট নিস্পৃহতা এতটাই প্রকট হয়ে ওঠে যে, শীর্ষ নেতৃত্ব হতাশা ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার একে সর্বনাশের লক্ষণ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদের অনিশ্চিত গন্তব্যে যাত্রা করেছে’।

রাজনৈতিক নিস্পৃহতার দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে- বিরাজনীতিকরণ। এর দ্বিবিধ উপায়Ñ প্রথমত সরকার, সমাজ ও নেতৃত্ব যে বিষয়গুলো সংবেদনশীল, অসম্ভব ও অকার্যকর মনে করে সে বিষয়গুলো অন্যভাবে সম্পাদন করে। এভাবে সরকার ত্রাণকার্যক্রম, ঋণ বিতরণ, এমনকি উন্নয়ন কার্যক্রমও সরকারি সংস্থা ভিন্ন অন্য সংগঠন দিয়ে সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশের জন্ম থেকেই অক্সফাম, ব্র্যাক ও প্রশিকার মতো প্রতিষ্ঠান উল্লিখিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ড্যানিডা বা জাইকার মতো আন্তর্জাতিক এনজিও বা দাতা দেশের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই বিরাজনীতিকরণের দৃশ্যত নেতিবাচক দিক না থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তারা সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অন্যায় ও অনিয়মের জন্য আস্থার সঙ্কটে ভোগে। তারা এনজিওদের টাকা দেয়। এভাবে দেখা যায়, ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠান সরকারের চেয়েও অর্থে ও সামর্থ্যে অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের এনজিও তথা সিভিল সোসাইটি বাস্তব ক্ষেত্রে বিরাজনীতিকরণ করলেও ক্ষামতাসীনদের সাথে বরং রাজনীতিকরণের শিকার হচ্ছে। (আহমদ শাকিল : ২০১১, জানুয়ারি) গণতন্ত্রের কথা বললেও এদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে উন্নয়নের সাথে। (ফাহিমুল কাদির ও ইউটাকা সুজিনকা, ২০১৫)

সরকারের বিরাজনীতিকরণের বিপজ্জনক দিক হচ্ছে- জনগণের জন্য স্বাভাবিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্র সঙ্কুুচিত করা। নাগরিকের মৌলিক রাজনৈতিক অধিকার অস্বীকার করা বিরাজনীতিকরণের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলাদেশ এই সময়ে এই রোগে বেশি আক্রান্ত। করোনাভাইরাসের মতো ২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত ক্রমশ বিস্তার লাভ করেছে এই প্রবণতা। এখন সার্বিকভাবেই সমাজকে গ্রাস করেছে এই ভাইরাস। বিরাজনীতিকরণের সাথে অনিবার্যভাবেই জড়িত রাজনীতিকরণ। বিরাজনীতিকরণ তো বিরোধীদের জন্য। আর নিজের দলের অন্তর্ভূক্ত করার নামই রাজনীতিকরণ। দেশে এখন একজন নাবালকও বোঝেÑ ক্ষমতাসীনদের সাথে থাকলে সাত খুন মাফ। অন্যায়-অপরাধ যাই হোক দলের লোকের কিছু হবে না। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি জনগণকে নিস্পৃহ-নিরাসক্ত করে তুলছে।

আসলে হীনম্মন্যতায় ভুগছে মানুষ। দাসসুলভ মনোভাবে আক্রান্ত তারা। দাস-সমাজ সম্পর্কে লেনিন তিন অবস্থার কথা বলেছেন। ‘একদল থাকবে যারা বুঝবে না তারা দাস। এরাই হচ্ছে প্রকৃত দাস। আরেক দল পাওয়া যাবে যারা দাসত্বকে উপভোগ করবে এবং প্রশংসাও করতে থাকবে। আর তৃতীয় দল রুখে দাঁড়াবে তাদের। ছিন্ন করতে চাইবে বন্ধন। তারা হচ্ছে বিপ্লবী।’ এই উপলব্ধি সবার।

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বাংলাদেশের একজন শীর্ষ বুদ্ধিজীবী প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর উপলব্ধি ও উপসংহার এরকম : ‘সাধারণ মানুষ অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ। এই বিক্ষোভ প্রকাশের পথ দুই দলের রাজনীতির ভেতর নেই। প্রকাশ পাবে হয় বাম দিক দিয়ে নয়তো ডান দিক দিয়ে। সবাই মিলে বাম দিকের পথটাকে দিয়েছে বন্ধ করে। ফলে এই বিক্ষোভ ডান দিকে ধাবিত হচ্ছে। মৌলবাদের এই লালনভূমিকে অবজ্ঞা করা ভুল হবে।’ 

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Mal55ju@yahoo.com

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার?

সকল