৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আর্থিক দৈন্যের কারণ দূষিত রাজনীতি

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ক্যাশ ডিভিডেন্ট বা নগদ লভ্যাংশ বিতরণের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে। আসলে চাপে পড়ে এটি করতে হয়েছে। দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক শতভাগ স্থানীয় উদ্যোক্তা ও শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ব্যাংকগুলো শেয়ারহোল্ডারদের মুনাফা দিতে না পারার কারণ হলো এই মুনাফা ঋণখেলাপিরা খেয়ে ফেলছে। ব্যাংক যে ঋণ বিতরণ করে, তা যদি সময়মতো আদায় না হয় তা হলে এর বিপরীতে ব্যাংকের লাভের টাকা থেকে অর্থ রেখে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক কার টাকা রাখছে? এই টাকা তো শেয়ারহোল্ডারদের।

সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী পার্লামেন্টে দেশের ঋণখেলাপিদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে দেখা গেছে, এসব খেলাপির কাছে এক লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা আটকে আছে (জানুয়ারি, ২০২০-এর হিসাব)। এই খেলাপিরা যখন রাজনীতির সাথে জড়িত হবে বা রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে সক্ষম হবে, তখন কিন্তু প্রশাসনের বস্তুনিষ্ঠতা থাকবে না। সেটিই আমাদের দেশে হয়েছে। এখন ঋণখেলাপিদের বিশাল চক্র তৈরি হয়েছে। যেসব উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে ঋণ নেন তাদের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা। কিন্তু আমরা দেখি, অনেক খেলাপি এমনসব কাজে ব্যস্ত যেখানে অর্থনৈতিক তৎপরতা গৌণ। ঋণখেলাপিরা শেয়ারহোল্ডারদের টাকা নিয়ে কোথায় কী কাজ করছে, তা জনগণের কাছে তুলে ধরতে এদের শ্রেণিবিন্যাস করা দরকার বলে আমি মনে করি।

এর জন্য সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন। কিন্তু ঋণখেলাপির তালিকায় যখন সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের নাম দেখব, তখন আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছা কাজ করবে না। প্রশাসনও দিকভ্রান্ত হয়ে পড়বে। এরা যখন রাজনৈতিক নেতাদের ঘিরে থাকে, তখন দেশকে নেতৃত্বদানকারীরা চাইলেও অনেক কিছু করতে পারেন না। এরা তা করতে দেয় না। কোনো দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যদি ঋণখেলাপি হন, তা হলে ওই প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কতটুকু অগ্রসর হওয়া সম্ভব? ওই উপদেষ্টা তো নিজের স্বার্থই দেখবে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এমন ঋণখেলাপিদের বিমান ভাড়া করে দেশ থেকে চলে যেতে দেখছি। এদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করা কি সহজ হবে? এই ঋণের বোঝা এখন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের বইতে হবে। তাই আমি মনিটারি ইকোনমি, ডেভেলপমেন্ট ইকোনমি ও ফিসক্যাল ইকোনমি বোঝেন এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সৎ, যোগ্য ও নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে একটি স্বাধীন কমিশন করে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাব।

একটি শ্রেণী কিভাবে রাজনীতিকে দূষিত করছে সে ব্যাপারে কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমার সহধর্মিণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৪-র ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার সহপাঠীদের অনেকে সচিব, মন্ত্রী হয়েছেন। তাদের অনেকে আমার বাসায় আসতেন এবং আসেন। ফলে তাদের সাথে আমারও ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনা করার সুযোগ হয়েছে। এর মধ্যে একজন দেশের অতি পরিচিত রাজনীতিক। তিনি এক দিন কথা প্রসঙ্গে দেশের একজন বড় শিল্পপতির নাম করে আমাকে বলেন, আমি ওনার কাছে দুই লাখ টাকা পাবো। আমি কিছুটা অবাক। উনি যে শিল্পপতির নাম করেন তার কাছে দুই লাখ টাকা কোনো বিষয়ই না। আমি বিষয়টি আরো খোলাসা করে জানতে চাইলে বলল যে, নির্বাচনের সময় ওই শিল্পপতি দুই লাখ টাকা দেবেন বলে ওয়াদা করেছিলেন। কিন্তু পরে আর দেননি। আমি তখন ওই শিল্পপতিকে ফোন করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আপনি পাঠিয়ে দেন আমি টাকা দিয়ে দিচ্ছি। এভাবে আরো কয়েকজনের সাথে আলাপ করার পর পুরো বিষয়টি আমার কাছে পরিষ্কার হয়। নির্বাচন এলে এরকম শিল্পপতিরা ৪০ বা ৫০ জন প্রার্থীকে টার্গেট করেন। এরা প্রার্থীদের জন্য শ্রেণী অনুযায়ী চাঁদার অঙ্ক ঠিক করে বাজেট তৈরি করে। অর্থাৎ যার জয়ের সম্ভাবনা বেশি তার জন্য এক রকম এবং যার জেতার সম্ভাবনা কম বা নেই তাদের জন্য আরেক রকম। এমন ৫০ জনের জন্য হয়তো পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা বরাদ্দ করা হলো। যারা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা নিয়ে খেলাপি হন তাদের কাছে এই অঙ্ক কিছুই নয়। কিন্তু ওই লোকটি যখন নির্বাচনে জয়ী হবেন তখন তিনি স্বাভাবিকভাবেই চাঁদাদানকারী ওই শিল্পপতির অনুগত হবেন। বিষয়টি আমার কাছে ভয়াবহ লেগেছে।

এটা আমি নব্বইয়ের দশকের কথা বলছি। কিভাবে আমাদের দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দূষিত হয়েছে এখান থেকে কিছুটা অনুমান করা যায়। জনগণ তাদের কল্যাণ করা হবে ভেবে যাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়, তারা কিভাবে একটি শ্রেণীর অনুগত হয়ে সেই জনগণকেই উপেক্ষা করছে এখান থেকে সেই চিত্রটি পরিষ্কার হয়। এরকম একেকজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী যদি ৪০-৫০ জনকে টার্গেট করেন, তা হলে ৩০০ এমপিকে টার্গেট করতে কয়েকজনের দরকার হয়? সব জনপ্রতিনিধিই তো টার্গেট হয়ে গেলেন। নির্বাচিত হলে কৃতজ্ঞতাবশেই তিনি ওই ধনিক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট হবেন।
বেশ কয়েক বছর একটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে আমার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পরিচয় হয়েছে। এদের মধ্যে ধনিক শ্রেণীর মানুষ যেমন ছিলেন, তেমন একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের লোকজনও ছিলেন। আমি ৩৩ বছর বিদেশে যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তার সাথে এখানকার অভিজ্ঞতার পুরোপুরি অমিল দেখে অবাক হয়েছি। আমার আগের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে কোনো কাজে লাগেনি। এখানে তৃণমূল পর্যায়ে যা হয় সেই অভিজ্ঞতা আমার ছিল না। তৃণমূল পর্যায়ের অর্থনীতির অভিজ্ঞতা আমার এখানে হয়েছে। কিভাবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দূষিত হয়, টার্গেট হয়, জিম্মি হয় সেটি আমি এখানে এসেই দেখেছি।

আরেকটি ঘটনা বলছি। ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালে আমার এক ডাইরেক্টর এক দিন এসে আমাকে দু’টি চাবি দিয়ে বলে, স্যার, এগুলো রাখেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম এগুলো কী? বলল, আপনার দুই ছেলে-মেয়ে আছে তাদের জন্য দু’টি ফ্ল্যাটের চাবি। আমি বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আমি বললাম, না ভাই, ওরা তো এখানে এসে থাকবে না। তা ছাড়া ওরা এগুলো কিনতেও পারবে না। উনি বললেন, না, না, আমি গিফট হিসেবে এগুলো দিচ্ছি। তখন আমার কিছুটা হুঁশ হলো। আমি বললাম কেন? উনি বললেন, তার কয়েক কোটি টাকা লোন দরকার। আমি না বললে বোর্ডে পাস হবে না। সে বলল, তার একটি প্লট আছে। সেখানে ব্যাংকের টাকায় বিল্ডিং করে ভাড়া দেবে। সেই টাকা থেকে ব্যাংক ঋণ শোধ করবে। আমি বলি, এভাবে কি ব্যাংক ঋণ দেয়? আমি তাকে বসিয়ে রেখে, এমডিকে ডাকালাম। এমডি এলে তাকে আমি বলি, দেখেন উনি আমার কাছে টাকার জন্য এসেছেন। ওনার সাথে কথা বলে বুঝেশুনে বোর্ডে মেমো আনতে পারেন। এমডি ভাবলেন, আমি যখন বলেছি তখন নিশ্চয়ই আমি টাকা দিতে রাজি। উনি ঠিকই বোর্ড মেমো নিয়ে এলেন। আমি তখন তাকে বলি আপনি কত টাকা ঘুষ খেয়েছেন। এই মেমো কিভাবে আনলেন। তিনি বললেন, আপনি বলেছেন। আমি বললাম, আমি তো বলেছি ওনার কথা শুনে সেই মতো ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না তা বুঝে মেমো আনতে। আপনার কাছেই তো এটি আটকে যাওয়ার কথা। এখানে এটি কিভাবে আসে? আমি তখন সংশ্লিষ্ট পরিচালকের উপস্থিতিতেই পরিচালনা বোর্ডে ওই মেমো উপস্থাপন করি। কিন্তু একজন সদস্যও মেমোটি পাস করতে রাজি হলো না।

ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী শুধু চেয়ারম্যান ও এমডি বোর্ড মেমো আনতে পারতেন। আমিও মাঝে মধ্যে বোর্ড মেমো এনে বলেছি আপনারা চাইলে এই ঋণ অনুমোদন করতে পারেন, দায়িত্ব আমার।
আমরা ঋণ দিতাম তাকেই, যে টাকা ফেরত দেবে। সময়মতো টাকা ফেরত আসায় ‘রিকভারি’ বা তাগাদা দিয়ে আদায়ের দরকার প্রায় হতো না। এমনকি যারা এক লাখ বা দুই লাখ টাকার মতো সামান্য অঙ্ক ঋণ নিতেন, তাদেরকেও তদারকি করার জন্য আমি এমডিকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা কোথায় বিনিয়োগ করে, কিভাবে করে সেগুলো দেখতে বলেছি। দেখেছি এসব গরিব ঠিকমতো টাকা ফেরত দেয়। বেশির ভাগ সমস্যা সৃষ্টি করে তারা যারা বড় অঙ্কের ঋণ নেয়। তাই বলছি ঋণখেলাপিরা বড় ক্ষতি করছে শেয়ারহোল্ডারদের। ব্যাংক মুনাফা করছে, কিন্তু শেয়ারহোল্ডাররা এর সুফল পাচ্ছেন না। শেয়ারবাজারে ধস নামা, ব্যাংক চাঙ্গা না হওয়া প্রভৃতির অন্তর্নিহিত কারণ এগুলোই।

আমি মনে করি, এসব অনিয়ম দূর করার মূল উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি ঋণখেলাপিদের মতো লোকদের কাছে ঘেঁষতে না দেন, তা হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্বচ্ছ হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে যা ঘটছে তা গল্প বা কল্পকাহিনীর মতো মনে হয়, কিন্তু এটিই বাস্তব। এমন ঘটনা যে বিশ্বের কোনো দেশে ঘটে না, তা নয়। কিন্তু সেখানে জবাবদিহির ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর হওয়ায় তা সর্বব্যাপী রূপ লাভ করতে পারে না। আমাদের এখানে কয়েকজন ঋণখেলাপি জেলে আছে? দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের মালিকদের একটি বিলাসবহুল ‘রেঞ্জ রোভার’ গাড়ি নাকি আমাদের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জব্দ করেছে। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপি হয়ে বসে আছে তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করলে কি-ই-বা আসে যায়। একটি রেঞ্জ রোভারের দামই বা কত? দুই বা তিন কোটি টাকা। এটি কি তেমন কিছু তাদের কাছে? আমি আগেই বলেছি এরা রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দলগুলোকে প্রভাবিত করার জন্য প্রচুর পরিমাণে চাঁদা দেয়। তাই জনগণের জন্য যারা রাজনীতি করেন তাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত।

এ কারণে আমাদের অর্থনীতির অনেক সফলতা তৃণমূলের জনগণের কাছে পৌঁছে না। বলা হচ্ছে, আমাদের গড় মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলারের উপরে। এটি সুখবর। কিন্তু দুঃসংবাদ হলো এটি আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি। আমাদের এখানে ধনী ও গরিবের বৈষম্য প্রকট হয়েছে। গত বছর বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, ধনী-গরিব বৈষম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। এই তালিকায় বাংলাদেশের সামনে আছে ভারত, নাইজেরিয়া, কঙ্গো ও ইথিওপিয়া। বাংলাদেশে ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি বিশ্বে নজিরবিহীন। আমাদের গড় মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হওয়া মনে গরিবের ধনী হওয়া নয়; ধনীদের আরো ধনী হওয়া। আসলে মাথাপিছু আয়ের হিসাবটি প্রকাশ করা উচিত শ্রেণী অনুযায়ী; সামাজিক আয় হিসেবে। সামাজিক গ্রুপগুলো যেমন : রিকশাচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক প্রভৃতিরও মাথাপিছু আয় কতটা বেড়েছে সেটি দেখতে হবে। এই হিসাবটা প্রকাশ করা হলেই বোঝা যেত আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে কতটা এগিয়েছি। অর্থাৎ আমাদের জাতীয় আয় হিসাবের পদ্ধতিটাই পরিবর্তন করা দরকার। সেটি পশ্চিমা সমাজের অনুকরণে না করে আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে হওয়া দরকার (এ বিষয়ে আগে নয়া দিগন্তে বিস্তারিত লিখেছি)।

পশ্চিমা সমাজে যেসব বিষয় জিএনপিতে হিসাব করা হয় আমাদের এখানে তা হয় না। এই করোনা পরিস্থিতির কথাই ধরা যাক। এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে, এখানেও তাই। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে একজন মৃত ব্যক্তির সৎকারের পেছনে যে খরচ, সে রকম কিছু কিন্তু আমাদের এখানে হয় না। আমেরিকায় কেউ মারা গেলে তার সৎকারের পেছনে কয়েক হাজার ডলার খরচ হয়। এটি সেখানে রীতিমতো ব্যবসা, যা তাদের জিএনপিতে যোগ হয়। আমি আমেরিকায় থাকাকালে একবার হিসাব করে দেখেছিলাম অন্তত ১৫ হাজার ডলার ব্যয় হয় একজনকে সৎকার করতে। কিন্তু এখানে কেউ মারা গেলে আমরা দেখি প্রতিবেশীরা তার দাফন বা সৎকারের কাজে এগিয়ে আসছেন। এতে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে তেমন কোনো খরচই বহন করতে হয় না। এ সামাজিক মূল্যটি আমাদের জিএনপিতে যোগ হয় না। এমন আরো অনেক কিছুই যোগ হয় না, যা পশ্চিমা অর্থনীতিতে হিসাব করা হয়।

তাই আমি বলছি, আমাদের সমাজের এই অনিয়মগুলো দূর করতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছা। বিশ্বে যেসব নেতা দেশকে গঠন করতে চেয়েছেন, তারা সবাই এসব দুর্নীতিযুক্ত অনুশীলন থকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছেন। তারাই ইতিহাসে নাম লেখাতে পেরেছেন।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা

hmct2004@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
নারায়ণগঞ্জে তাপদাহে বিপর্যস্ত পশুপাখির পাশে টিম খোরশেদ দাগনভুঞায় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি ৩ তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা ইসরাইলিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট রুয়াং আবার অগ্ন্যুৎপাত, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ উল্লাপাড়ায় ধান কাটতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু বগুড়ায় মওসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ : আইএইএ প্রধানকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার হতে পারে নেতানিয়াহু সিংড়ায় তাপদাহে শ্রমিকদের পাশে পরিবেশ কর্মীরা চেলসি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন থিয়াগো সিলভা

সকল