২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ম্যারাডোনাই চিনিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে

-

সেই সুদূর ল্যাতিন আমেরিকার সর্বদক্ষিণের দেশ আর্জেন্টিনা। ১৯৮২ সালের ফকল্যান্ড যুদ্ধের সময় আর্জেন্টিনা সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় সর্বসাধারণের। এরপর সে বছরই স্পেন বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার নৈপুণ্য। যদিও তার লাল কার্ড আর ব্রাজিলের কাছে হেরে ছিটকে পড়া সে আসর থেকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে আর কোনো বাধা নয়। আর্জেন্টিনাকে অপরাজিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। সে বছর থেকেই মূলত বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য অঞ্চলের মানুষ চিনতে শুরু করে আর্জেন্টিনাকে। এখন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যে শত শত কোটি আর্জেন্টিনার ভক্ত সেটির সূত্রপাত ম্যারাডোনার কল্যাণেই। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালেও ছিল আর্জেন্টিনার উপস্থিতি। সে ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে মেক্সিকান রেফারি কোডেসালের বিতর্কিত পেনাল্টি পরবর্তী সময়ে আর্জেন্টিনার হার এবং পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনার কান্না টিভি পর্দার সামনে চোখের পানি ফেলতে বাধ্য করে কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী তথা আর্জেন্টাইন ভক্তকে।
১৯৮৬-এর পর আর বিশ্বকাপ জেতা হয়নি আর্জেন্টিনার। তবে প্রতি বিশ্বকাপেই আর্জেন্টিনাকে ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা লেগেই থাকে। দেশে-বিদেশে তাদের বিশাল বিশাল পতাকা ওড়ানো হয়। আর বাংলাদেশকেও আর্জেন্টিনার জনগণ চেনে আর্জেন্টিনার ভক্ত হিসেবেই। বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বাংলাদেশীদের আর্জেন্টিনার প্রেম, বড় বড় আর্জেন্টিনার পাতাকা ওড়ানো সারা দেশে; সবই জানে আর্জেন্টিনার মানুষ। এসবেরই নেপথ্য ম্যারাডোনা। প্রথমে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়। এরপর অধিনায়ক এবং কোচ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন আর্জেন্টিনার ক্লাব জিমন্যাসিয়ার কোচ। তবে সব সময়ই তিনি থাকতেন আলোচনায়। এখন তিনি স্মৃতির পাতায়।
ম্যারাডোনার পর অনেক নতুন ম্যারাডোনার জন্ম হয়েছে। ওর্তেগা, তেভেজ, মেসি, অ্যাগুয়েরো, স্যাভিওলা, আইমার, রিকুয়েলমে, গ্যালার্দো এবং হাল আমলের মেসি। তবে তাদের করো পক্ষেই জেতা হয়নি বিশ্বকাপ।


আরো সংবাদ



premium cement