জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট এখন বেসামাল। কে সান্ত্বনা দেবে? কি-ই বা বলবে। ক্রিকেটারদের সামনে ঘোর অন্ধকার। বিষয়গুলো সহজে সমাধানযোগ্য নয় বিধায় অনেকেই ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সিকান্দার রাজা, অলরাউন্ডার সলোমন মায়ারও অবসর নিয়েছেন। অন্যরাও ভাবছেন, কোন পথে হাঁটবেন তারা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে সরকারি হস্তক্ষেপে আইসিসি তাদের সদস্যপদ স্থগিত করেছে। এর অর্থ আইসিসি থেকে যে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা ছিল সেটাও স্থগিত হয়ে গেছে। এমনিতেই আর্থিক দৈন্যতা দীর্ঘদিন ধরেই। আইসিসি থেকে যা কিছু পেত সেটা দিয়েই তারা চলে আসছে। এখন তাহলে কিভাবে চলবে তাদের ক্রিকেট? এমন প্রশ্ন সবার সামনে। অবসর বা ক্রিকেট আর না খেলার সিদ্ধান্ত এসব কারণেই।
এ দিকে টালমাটাল জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের এমন অবস্থায় অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে বাংলাদেশে তিন জাতি টুর্নামেন্ট। জিম্বাবুয়ে ছাড়া অপর দল আফগানিস্তান। আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার পর থেকেই বিসিবিতে নেমে আসে দুশ্চিন্তা। তিন জাতি ক্রিকেটের কী হবে? বিসিবি অবশ্য টুর্নামেন্ট আয়োজনে বদ্ধপরিকর। এখন তিন জাতির পরিবর্তে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হতে পারে। এ দিকে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অমন অনিশ্চয়তায় তাদের সব ধরনের ক্রিকেটের ওপরই প্রভাব পড়েছে। মহিলা ক্রিকেট দল থেকে শুরু করে এজ লেভেলেও। মহিলা ক্রিকেট দলের আয়ারল্যান্ড সফরও বাতিল হয়ে গেছে। এর আগে তারা আফ্রিকা অঞ্চল থেকে টি-২০ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু সে খেলাও তাদের অনিশ্চয়তায়।
তবে জানা গেছে, জিম্বাবুয়ের এ দুর্দিনে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন পাশে দাঁড়িয়েছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের। ইতোমধ্যে তারা আবেদন করেছে আইসিসির কাছে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য। যুক্তি হিসেবে তারা বলেছে, জিম্বাবুয়ের সরকার তাদের বোর্ডের ওপর হস্তক্ষেপ করছে এটা ঠিক, কিন্তু ওই সিদ্ধান্তে তো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা