৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সানরাইজার্সে নতুন কম্বিনেশন চান সাকিব!

-

বিসিবির চাহিদা মোতাবেক চলেই আসবেন সাকিব। কিন্তু উইকেটরক্ষক-কাম ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্ট্রোর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সানরাইজার্স সাকিবকে ছাড়েনি। প্রথম ম্যাচ খেলার পর সাকিবের মতো একজন তারকা খেলোয়াড়কে কাটাতে হয়েছে ড্রেসিংরুমেই। সুযোগ হয়েছে গত পরশু ম্যাচে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সুযোগ পাননি। বোলিংয়ে তার চার ওভারে দিয়েছেন ২৭। উইকেটশূন্য। ম্যাচের ফল সানরাইজার্স পরাস্ত। তবে তার দায়ভার যে সাকিবের ওপর তা নয়। তবু ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।
ম্যাচ না খেলে ড্রেসিংরুমে থাকাটা বাড়তি চাপ কি নাÑ এমন এক প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আসলে একজন প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে এটা কোনো মানসিক চাপ নয়। আমরা জানি আমাদের কাজটা কী। আমরা যারা বিদেশী ক্রিকেটার রয়েছি, এর মধ্যে আমাকে তারা একাদশে নেয়নি। এখানে সুযোগও নেই। কারণ ভেতরটা তো আমরা জানি কী হচ্ছে। আমাদের (বিদেশী) মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্ট্রো অন্তত ৭০ শতাংশ রান করে যাচ্ছেন। কেন উইলিয়ামসন অধিনায়ক। রশিদ (খান) তো রশিদ। ফলে এখানে একাদশে সুযোগ পাওয়া খুবই কষ্টের।’
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি চাই এটুকু নিশ্চিত করতে যে, যদি এর মধ্যে কখনো সুযোগ আসে সেটা যেন শতভাগ দিয়েই দলের সাফল্যে ভূমিকা রাখতে পারি।’ বেয়ারস্ট্রো সানরাইজার্সের হয়ে খুবই ভালো পারফর্ম করেছেন। সাকিবের প্রত্যাশা ম্যানেজমেন্ট তার গ্যাপটা পূরণে ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বেয়ারস্ট্রো চলে যাওয়ার পর আমাদের আলাদা প্লানের প্রয়োজন। টিম ম্যানেজমেন্ট প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন বিবেচনা করে সেরা একাদশ চূড়ান্ত করবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই শক্তিশালী একটা স্কোয়াড। দলে অন্তত ছয়-সাতটি কম্বিনেশন রয়েছে।’
বেয়ারস্ট্রো থাকা সত্ত্বেও সাকিব খেলেছেন চেন্নাইয়ের সাথে গত ম্যাচটি। যাতে হেরেছে সাকিবরা। ওয়াটসন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছেন অসাধারণ পারফর্ম করে। সানরাইজার্সের করা ১৭৫/৩ এর জবাবে চেন্নাই এক বল হাতে রেখে জিতে যায় ম্যাচ। শেন ওয়াটসন করেন ৫৩ বলে ৯৬ রান। ম্যাচ সেখানেই শেষ! সাকিব বলেন, ‘সে (ওয়াটসন) ৫-৬ ওভার একটু দেখেশুনে খেলেছেন। এরপর যা করেছে, সেখানে তাকে আউট করা সত্যিই কষ্টদায়ক। সে চার ছক্কা হাঁকানোর বিষয়ে দুর্দান্ত ছিলেন।’ সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে সে সূচনায় যখন বল কিছুটা মুভমেন্ট করছিল তখন কিছুটা স্ট্রাগল করছিল। কিন্তু সব কিছু যখন আয়ত্তে নিয়ে গেছেন এরপর যা হওয়ার তাই। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমার মন্তব্য হলোÑ ম্যাচে হয় এ তার উইকেট নাও না হয় ম্যাচ ছেড়ে দাও।’
উল্লেখ্য, সাকিবের আইপিএলে থেকে যাওয়া মূলত বিশ্বকাপের ভালো একটা প্রস্তুতির জন্যই। দলের সাথে থেকে অনুশীলন আর আইপিএলে থেকে ম্যাচ খেলার মধ্যে আসলেই তো অনেক পার্থক্য।

 


আরো সংবাদ



premium cement